গল্প টা মহীধরের যে কিনা বেজায় কিপটে লোক। সে প্রতিদিনের খরচা, দান-দক্ষিণা যাই হোক বাঞ্চারাম কে দিয়ে হিসেবের খাতায় তুলে রাখায়। এমন কি এক জোড়া ছেড়া জুতা দানের কথাটাও! তবে সে কিন্তু যে সে লোক নয়। দেড়শ বছরের জমিদারির গৌরব রয়েছে তার পূর্বপুরুষের।
কিন্তু সে এমনই কিপটে যে, মাসে দুই কেজি সরিষার তেল খরচের সংবাদেও মূর্ছা যায়।
তাই দেড়শত বছরের পুরনো, প্রায় দেড় দুই মণ ওজনের এর এক বিশাল ঘড়ি বন্ধ হয়ে যাবার খবর ও তাকে দেয়ার সাহস পায় না বাড়ির কেউ। কিন্তু কথায় কথায় বাঞ্চারামের মুখে এই খবর শুনে সে খুব নরম গলায় বলে, " তাই বলে আমায় একটা খবর টা জানাবিনে?" ভাবখানা এমন যে, জানালেই যেনো সে ঘড়ি সারিয়ে আনায়।
ঐদিকে দলে দলে লোক লেগেছে এই ঘড়ি হাতিয়ে নিতে। লালবাবু লাগিয়েছেন পটল আর গজা কে, দানুবাবুর আড়কাটি চরণদাস নজর রাখছে তাদের উপর। আর নীলকান্তবাবুর পাঠানো লোক খাঁদু নজর রাখছে পটল, গজা আর চরণদাসের উপর। এ যেন এক গোয়েন্দাগিরির মহোৎসব। সবাই ঘাপটি মেরে আছে, কে কাকে ডিঙ্গিয়ে ঘড়িটা হাতিয়ে নেয়া যায় এই ভাবনায় ! কিন্তু কেন? কি আছে এই ঘড়িতে? সবাই কেন পড়িমরি করে ছুটছে এই ঘড়ির পেছনে?
আর যন্ত্রমিস্ত্রী হাবুর সাথেই বা এর কি লেনাদেনা? সে যদি মিস্ত্রীই হয় তাহলে সে পুতুল দিয়েই বা করে টা কি? আর না হয় হাবুর একটা পুতুল আছেই! তাতে হাবুর পুতুলের সাথেই বা কি সম্পর্ক এই ঘড়ির?
Publisher:
আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত)
Category:
শিশু-কিশোর বই
ISBN:
Number of pages: -