গল্পসমগ্র-প্রথম খন্ড(হার্ডকভার)

(author),
450 TK 337 TK
- Pages
  • Save 113 Tk.

Description
বইটা শুরু হয়েছে 'ম্যাজিক' র মধ্য দিয়ে, ঠিক যেন জাদুর কাঠির পরশ বুলিয়ে লেখক তাঁর রাজ্যে আমাদের স্বাগতম জানালেন। আর তাঁর ম্যাজিকে আচ্ছন্ন হয়ে রইল বাংলা সাহিত্য। তারপর একে একে পড়তে লাগলাম প্রাগৈতিহাসিক, নেকি, ব্যাথার পূজা, চাপা আগুন, বৃহত্তর মহত্তর, শৈলজ শিলা, সরীসৃপ, চোর,আত্মহত্যার অধিকার, কুষ্ঠরোগীর বউ, আরো আরো গল্প। প্রতিটি গল্প পড়েই মুগ্ধ হয়েছি। 'প্রাগৈতিহাসিক' পড়ার পর এতটাই মুগ্ধ হয়েছি যে, মনে হয়েছে -পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে, এক দল প্রাগৈতিহাসিক পড়েছে, অন্য দল পড়েনি। 'নেকি' পড়ে অচেনা এক শিহরণে মন ভরেছে। শেষে মনে হয়েছে, এমন ভাবেও রোমান্স ফুটিয়ে তোলা যায়! গল্পটার একটা যায়গায় ঝড়ের একটা বর্ণনা আছে। আমি ভাবি, একজন লেখকের কি ক্ষমতা থাকলে তিনি স্রেফ একটা কলম দিয়ে কাগজের বুকে কি প্রবল ঝড়ের ই না সৃষ্টি করতে পারেন! 'ব্যাথার পূজা' পড়ার পর তীব্র হাহাকারে মন ভরেছে। সুখ যে কেবল মানুষের সুখের উৎস নয়, এক বুক কষ্ট নিয়েও যে মানুষ সুখে মরতে পারে, এই গল্পটা না পড়লে জানতাম না। গল্পের একটা লাইন বলি- 'আমার কাছেই পাথরের ফাটলে একটি বনফুলের চারায় একটি মাত্র ফুল ফুটেছিল। পাথরের বুকে রসের সংবাদ চারাটি কি করে পেয়েছিল সে-ই জানে, কিন্তু ভুল সংবাদ পায়নি। ফুল ফুটিয়ে তার প্রমাণ দিয়েছে।' 'শৈলজ শিলা' ব্যতিক্রমী এক গল্প। পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ঘটনা চক্রে এক লোকের কপালে একটি নবজাতক কন্যা শিশু জুটে যায়। পরে, ঐ শিশুটিকে লালল পালন করে সে বড় করে তোলে। পাহাড়ের শিলায় জন্ম বলে সে তার নাম রাখে শিলা। শিশু শিলা যখন ষোড়শী শিলা হল, তখন তার অঙ্গে এত রূপ কোত্থকে এল, সে হিসাব স্বয়ং ঈশ্বর ও মিলাতে পারেন না। এলাকার সবাই তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু লোকটার মতে, সে এই মেয়েকে কুড়িয়ে এনেছে, সুতরাং তার অধিকার ই সবার আগে। শিলাকে শুধু মাত্র সে'ই বিয়ে করার অধিকার রাখে। শিলা তাকে দাদু বলে ডাকত। একদিন সে শিলাকে ডেকে বলে-'নাতনী হয়ে তো অনেক থাকলি, এবার নাহয় আমার বউ হয়ে থাক'। এমনি কাহিনীতে গল্প চলতে থাকে। গল্পটা শেষ হয় এভাবে- by: মাহমুদুল করিম জিসান

Publisher: অবসর প্রকাশনা সংস্থা
ISBN:
Number of pages: -


REVIEWS
বইটা শুরু হয়েছে 'ম্যাজিক' র মধ্য দিয়ে, ঠিক যেন জাদুর কাঠির পরশ বুলিয়ে লেখক তাঁর রাজ্যে আমাদের স্বাগতম জানালেন। আর তাঁর ম্যাজিকে আচ্ছন্ন হয়ে রইল বাংলা সাহিত্য। তারপর একে একে পড়তে লাগলাম প্রাগৈতিহাসিক, নেকি, ব্যাথার পূজা, চাপা আগুন, বৃহত্তর মহত্তর, শৈলজ শিলা, সরীসৃপ, চোর,আত্মহত্যার অধিকার, কুষ্ঠরোগীর বউ, আরো আরো গল্প। প্রতিটি গল্প পড়েই মুগ্ধ হয়েছি। 'প্রাগৈতিহাসিক' পড়ার পর এতটাই মুগ্ধ হয়েছি যে, মনে হয়েছে -পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে, এক দল প্রাগৈতিহাসিক পড়েছে, অন্য দল পড়েনি। 'নেকি' পড়ে অচেনা এক শিহরণে মন ভরেছে। শেষে মনে হয়েছে, এমন ভাবেও রোমান্স ফুটিয়ে তোলা যায়! গল্পটার একটা যায়গায় ঝড়ের একটা বর্ণনা আছে। আমি ভাবি, একজন লেখকের কি ক্ষমতা থাকলে তিনি স্রেফ একটা কলম দিয়ে কাগজের বুকে কি প্রবল ঝড়ের ই না সৃষ্টি করতে পারেন! 'ব্যাথার পূজা' পড়ার পর তীব্র হাহাকারে মন ভরেছে। সুখ যে কেবল মানুষের সুখের উৎস নয়, এক বুক কষ্ট নিয়েও যে মানুষ সুখে মরতে পারে, এই গল্পটা না পড়লে জানতাম না। গল্পের একটা লাইন বলি- 'আমার কাছেই পাথরের ফাটলে একটি বনফুলের চারায় একটি মাত্র ফুল ফুটেছিল। পাথরের বুকে রসের সংবাদ চারাটি কি করে পেয়েছিল সে-ই জানে, কিন্তু ভুল সংবাদ পায়নি। ফুল ফুটিয়ে তার প্রমাণ দিয়েছে।' 'শৈলজ শিলা' ব্যতিক্রমী এক গল্প। পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ঘটনা চক্রে এক লোকের কপালে একটি নবজাতক কন্যা শিশু জুটে যায়। পরে, ঐ শিশুটিকে লালল পালন করে সে বড় করে তোলে। পাহাড়ের শিলায় জন্ম বলে সে তার নাম রাখে শিলা। শিশু শিলা যখন ষোড়শী শিলা হল, তখন তার অঙ্গে এত রূপ কোত্থকে এল, সে হিসাব স্বয়ং ঈশ্বর ও মিলাতে পারেন না। এলাকার সবাই তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু লোকটার মতে, সে এই মেয়েকে কুড়িয়ে এনেছে, সুতরাং তার অধিকার ই সবার আগে। শিলাকে শুধু মাত্র সে'ই বিয়ে করার অধিকার রাখে। শিলা তাকে দাদু বলে ডাকত। একদিন সে শিলাকে ডেকে বলে-'নাতনী হয়ে তো অনেক থাকলি, এবার নাহয় আমার বউ হয়ে থাক'। এমনি কাহিনীতে গল্প চলতে থাকে। গল্পটা শেষ হয় এভাবে- by: মাহমুদুল করিম জিসান
বইটা শুরু হয়েছে 'ম্যাজিক' র মধ্য দিয়ে, ঠিক যেন জাদুর কাঠির পরশ বুলিয়ে লেখক তাঁর রাজ্যে আমাদের স্বাগতম জানালেন। আর তাঁর ম্যাজিকে আচ্ছন্ন হয়ে রইল বাংলা সাহিত্য। তারপর একে একে পড়তে লাগলাম প্রাগৈতিহাসিক, নেকি, ব্যাথার পূজা, চাপা আগুন, বৃহত্তর মহত্তর, শৈলজ শিলা, সরীসৃপ, চোর,আত্মহত্যার অধিকার, কুষ্ঠরোগীর বউ, আরো আরো গল্প। প্রতিটি গল্প পড়েই মুগ্ধ হয়েছি। 'প্রাগৈতিহাসিক' পড়ার পর এতটাই মুগ্ধ হয়েছি যে, মনে হয়েছে -পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে, এক দল প্রাগৈতিহাসিক পড়েছে, অন্য দল পড়েনি। 'নেকি' পড়ে অচেনা এক শিহরণে মন ভরেছে। শেষে মনে হয়েছে, এমন ভাবেও রোমান্স ফুটিয়ে তোলা যায়! গল্পটার একটা যায়গায় ঝড়ের একটা বর্ণনা আছে। আমি ভাবি, একজন লেখকের কি ক্ষমতা থাকলে তিনি স্রেফ একটা কলম দিয়ে কাগজের বুকে কি প্রবল ঝড়ের ই না সৃষ্টি করতে পারেন! 'ব্যাথার পূজা' পড়ার পর তীব্র হাহাকারে মন ভরেছে। সুখ যে কেবল মানুষের সুখের উৎস নয়, এক বুক কষ্ট নিয়েও যে মানুষ সুখে মরতে পারে, এই গল্পটা না পড়লে জানতাম না। গল্পের একটা লাইন বলি- 'আমার কাছেই পাথরের ফাটলে একটি বনফুলের চারায় একটি মাত্র ফুল ফুটেছিল। পাথরের বুকে রসের সংবাদ চারাটি কি করে পেয়েছিল সে-ই জানে, কিন্তু ভুল সংবাদ পায়নি। ফুল ফুটিয়ে তার প্রমাণ দিয়েছে।' 'শৈলজ শিলা' ব্যতিক্রমী এক গল্প। পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ঘটনা চক্রে এক লোকের কপালে একটি নবজাতক কন্যা শিশু জুটে যায়। পরে, ঐ শিশুটিকে লালল পালন করে সে বড় করে তোলে। পাহাড়ের শিলায় জন্ম বলে সে তার নাম রাখে শিলা। শিশু শিলা যখন ষোড়শী শিলা হল, তখন তার অঙ্গে এত রূপ কোত্থকে এল, সে হিসাব স্বয়ং ঈশ্বর ও মিলাতে পারেন না। এলাকার সবাই তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু লোকটার মতে, সে এই মেয়েকে কুড়িয়ে এনেছে, সুতরাং তার অধিকার ই সবার আগে। শিলাকে শুধু মাত্র সে'ই বিয়ে করার অধিকার রাখে। শিলা তাকে দাদু বলে ডাকত। একদিন সে শিলাকে ডেকে বলে-'নাতনী হয়ে তো অনেক থাকলি, এবার নাহয় আমার বউ হয়ে থাক'। এমনি কাহিনীতে গল্প চলতে থাকে। গল্পটা শেষ হয় এভাবে- by: মাহমুদুল করিম জিসান

Publisher: অবসর প্রকাশনা সংস্থা
Category: রচনাসমগ্র/সংকলন
ISBN:
Number of pages: -

Related Products