মুক্ত বাতাসের খোঁজে

(author),
230 TK 172 TK
- Pages
  • Save 58 Tk.

Description
অন্ধকার !! অন্ধকার নিয়ে কেউ লেখালেখি করে না, করতে চায় না। অন্ধকারকে সবাই ভয় পায়। অন্ধকার দেখলে পাশ কেটে চলে যায়। অন্ধকারকে অন্ধকারেই রেখে দেয়। ফলে সেই আঁধার আরো ঘন হয়। হয় আরো বিস্তৃত । বিস্তৃত অন্ধকার বিস্তীর্ণ হয়ে গ্রাস করে আলোর বাসিন্দাদেরকেও।অন্ধকার যাদের তৈরি, তারা বলে, মানুষ অন্ধকারে কিছুক্ষণ থাকলে অন্ধকার তাদের সয়ে যায় । কিন্তু এটা মুদ্রার এক পিঠের কথা মাত্র । মুদ্রার অন্য পিঠের কথাটা বড়ো ভয়ঙ্কর। বড়ো তিক্ত।পরম চরম বাস্তব এবং নির্মম সত্য । মুদ্রার অন্য পিঠের কথাটা হলো, -- অন্ধকারে মানুষ থাকলে ধীরে ধীরে সেই অন্ধকার মানুষের ভিতরে প্রবেশ করে। অন্ধকারে থাকতে থাকতে সে অন্ধ হয়ে যায় । অন্ধকারের বাসিন্দারা তখন আলো এবং আলোর বাসিন্দাদের সহ্য করে না, করতে পারে না । আলোর বাসিন্দাদেরকে তাদের মতোই অন্ধকারের বাসিন্দা বলে মনে করে বসে। কিছু কিছু অন্ধকারের ক্ষেত্রে মুদ্রার এই পিঠের কথাটাই একমাত্র সত্য । এমনি এক অন্ধকারের নাম 'নীল অন্ধকার'। ব্লু ফিল্ম । পর্নোগ্রাফি । এই নীল অন্ধকারের বাসিন্দা যারা, তাদের চিন্তা চেতনায় সবসময় থাকে সেক্স। এই চিন্তা থেকে জন্ম নেয় দুশ্চিন্তা। দুশ্চিন্তা থেকে হতাশা । হতাশায় চলে হস্তের কাজ, হস্তমৈথুন। আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় নিজেদের ।এর কারণে মড়মড় করে ভাঙছে পরিবার , ভাঙছে সমাজ, ভাঙছে আইন, মূল্যবোধ-- সুকুমারবৃত্তি। নষ্ট হচ্ছে জীবন। বাড়ছে ধর্ষণ । ধর্ষক হচ্ছে আমাদের 'ভাই' ।ধর্ষিতা হচ্ছে আমাদের বোন। এই নীল অন্ধকার এখন আমাদের দেশে, আলোঝলমল শহরে, নগরে, গ্রামের ঘরে ঘরে। শিশু কিশোর যুবক বৃদ্ধের হাতে হাতে। অথচ এই অন্ধকার নিয়ে কোন লেখালেখি হয় না। ভয় সংকোচ লজ্জা কাজ করে। এই অন্ধকার যাদের তৈরি, পর্ন ইন্ডাস্ট্রির লাভে লাভবান হয় যারা, তারা এই অন্ধকারকে সুস্থ বিনোদন হিসাবে প্রচার করে। এই অন্ধকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হস্তমৈথুনকে স্বাস্থ্যসম্মত প্রমাণ করতে বড় বড় আর্টিকেল প্রসব করে। এমনি এক সঙ্গীন মুহূর্তে এগিয়ে এল লস্ট মডেস্টি গ্রুপের ভাইয়েরা । হাতে কলম তুলে নিলেন। লিখতে থাকলেন এই মহামারীর ভয়াবহতা এবং তার প্রতিকার নিয়ে ।সেই লেখাগুলোরই গ্রন্থিত রুপ হলো মুক্ত বাতাসের খোঁজে । চলুন এবার সেই মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইয়ের ভিতরে, পর্নোগ্রাফির লাল বৃত্তে প্রবেশ করি। ----------- পর্নো। যে পর্নো ছাড়া থাকতে পারে না সে পর্নো আসক্ত । পর্নো আসক্ত মাদকাসক্তের মতোই । বরং পর্ন আসক্তি ক্ষতি এবং পরিণামের দিক দিয়ে মাদকাসক্তের চেয়ে আরো ভয়ঙ্কর । কীভাবে ? প্রমাণ কী ? এর জওয়াবেই দেওয়া হয়েছে বইয়ের প্রথম প্রবন্ধ "মাদকের রাজ্যে"। একজন মানুষ যতো বেশী পর্নো দেখে, তার মস্তিষ্কের তত ক্ষতি হতে থাকে এবং ক্ষতি পূরণ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় । • হস্তমৈথুনের জন্য কেউ পর্ন দেখে, কেউ পর্ন দেখে হস্তমৈথুন করে। হস্তমৈথুন আর পর্ন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদল মুর্খমানব হস্তমৈথুনের পক্ষে প্রচারণা চালায়-- " ধর্মে নিষেধ করেছে তো কী হয়েছে, বিজ্ঞান আমাদের বলছে এটা শরীরের জন্য উপকারী"। এই উক্তিটি একটা চোরাবালি। এই চোরাবালিতে আটকে পড়েছে অনেকেই। এরকম আটকা পড়া কয়েকজন হতাভাগা ভাইয়ের জবানবন্দি বয়ান করা হয়েছে "চোরাবালি" প্রবন্ধে। তারপর - ''হস্তমৈথুন : বিজ্ঞানের আতশ কাচের নিচে'' প্রবন্ধ নিয়ে হাজির হয়েছে লস্ট মডেস্টির ভাইয়েরা । বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের কথার আলোকে হস্তমৈথুনকে পোস্টমর্টেম করেছেন। তুলে ধরেছেন এর ক্ষতিকর দিকগুলো । তুলোধোনা করেছেন মুর্খমানবদের বোকাসূলভ থিওরি এবং ডকুমেন্ট ।ফুটিয়ে তুলেছেন তাদের যুক্তির অসারতা। • পর্নগ্রাফির ক্ষতি শুধু পর্ন--আসক্তদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না। এর প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনে। বিষিয়ে তুলে পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনকে। এর থেকে মুক্ত নেই কেউ। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই তাতে আসক্ত । প্রতিটি পর্ন- আসক্ত ধর্ষক হয় না বটে, কিন্তু শতকরা নিরানব্বই পার্সেন্ট ধর্ষকই পর্নোআসক্ত। পর্নগ্রাফি পাল্টে দিচ্ছে যৌনতা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি । তৈরি হচ্ছে পর্নগ্রাফি প্রজন্ম। "১০৮টি নীল পদ্ম", "মৃত্যু ? দুই সেকেন্ড দূরে !" , "নীল রঙ্গের অন্ধকার", "অদ্ভৃত আঁধার এক !" প্রভৃতি প্রবন্ধাবলীর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো উপরের তথ্যগুলো ।জরিপ পেশ করে, বাস্তব অভিজ্ঞতা বয়ান করে, ভুক্তভোগীদের দুখ গাঁথা তুলে ধরে বিস্তৃত আকারে তা পরিবেশন করা হয়েছে । তথ্য এবং তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে সুন্দর আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে । by: Baki Billah

Publisher: ইলমহাউস পাবলিকেশন
ISBN:
Number of pages: -


REVIEWS
অন্ধকার !! অন্ধকার নিয়ে কেউ লেখালেখি করে না, করতে চায় না। অন্ধকারকে সবাই ভয় পায়। অন্ধকার দেখলে পাশ কেটে চলে যায়। অন্ধকারকে অন্ধকারেই রেখে দেয়। ফলে সেই আঁধার আরো ঘন হয়। হয় আরো বিস্তৃত । বিস্তৃত অন্ধকার বিস্তীর্ণ হয়ে গ্রাস করে আলোর বাসিন্দাদেরকেও।অন্ধকার যাদের তৈরি, তারা বলে, মানুষ অন্ধকারে কিছুক্ষণ থাকলে অন্ধকার তাদের সয়ে যায় । কিন্তু এটা মুদ্রার এক পিঠের কথা মাত্র । মুদ্রার অন্য পিঠের কথাটা বড়ো ভয়ঙ্কর। বড়ো তিক্ত।পরম চরম বাস্তব এবং নির্মম সত্য । মুদ্রার অন্য পিঠের কথাটা হলো, -- অন্ধকারে মানুষ থাকলে ধীরে ধীরে সেই অন্ধকার মানুষের ভিতরে প্রবেশ করে। অন্ধকারে থাকতে থাকতে সে অন্ধ হয়ে যায় । অন্ধকারের বাসিন্দারা তখন আলো এবং আলোর বাসিন্দাদের সহ্য করে না, করতে পারে না । আলোর বাসিন্দাদেরকে তাদের মতোই অন্ধকারের বাসিন্দা বলে মনে করে বসে। কিছু কিছু অন্ধকারের ক্ষেত্রে মুদ্রার এই পিঠের কথাটাই একমাত্র সত্য । এমনি এক অন্ধকারের নাম 'নীল অন্ধকার'। ব্লু ফিল্ম । পর্নোগ্রাফি । এই নীল অন্ধকারের বাসিন্দা যারা, তাদের চিন্তা চেতনায় সবসময় থাকে সেক্স। এই চিন্তা থেকে জন্ম নেয় দুশ্চিন্তা। দুশ্চিন্তা থেকে হতাশা । হতাশায় চলে হস্তের কাজ, হস্তমৈথুন। আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় নিজেদের ।এর কারণে মড়মড় করে ভাঙছে পরিবার , ভাঙছে সমাজ, ভাঙছে আইন, মূল্যবোধ-- সুকুমারবৃত্তি। নষ্ট হচ্ছে জীবন। বাড়ছে ধর্ষণ । ধর্ষক হচ্ছে আমাদের 'ভাই' ।ধর্ষিতা হচ্ছে আমাদের বোন। এই নীল অন্ধকার এখন আমাদের দেশে, আলোঝলমল শহরে, নগরে, গ্রামের ঘরে ঘরে। শিশু কিশোর যুবক বৃদ্ধের হাতে হাতে। অথচ এই অন্ধকার নিয়ে কোন লেখালেখি হয় না। ভয় সংকোচ লজ্জা কাজ করে। এই অন্ধকার যাদের তৈরি, পর্ন ইন্ডাস্ট্রির লাভে লাভবান হয় যারা, তারা এই অন্ধকারকে সুস্থ বিনোদন হিসাবে প্রচার করে। এই অন্ধকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হস্তমৈথুনকে স্বাস্থ্যসম্মত প্রমাণ করতে বড় বড় আর্টিকেল প্রসব করে। এমনি এক সঙ্গীন মুহূর্তে এগিয়ে এল লস্ট মডেস্টি গ্রুপের ভাইয়েরা । হাতে কলম তুলে নিলেন। লিখতে থাকলেন এই মহামারীর ভয়াবহতা এবং তার প্রতিকার নিয়ে ।সেই লেখাগুলোরই গ্রন্থিত রুপ হলো মুক্ত বাতাসের খোঁজে । চলুন এবার সেই মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইয়ের ভিতরে, পর্নোগ্রাফির লাল বৃত্তে প্রবেশ করি। ----------- পর্নো। যে পর্নো ছাড়া থাকতে পারে না সে পর্নো আসক্ত । পর্নো আসক্ত মাদকাসক্তের মতোই । বরং পর্ন আসক্তি ক্ষতি এবং পরিণামের দিক দিয়ে মাদকাসক্তের চেয়ে আরো ভয়ঙ্কর । কীভাবে ? প্রমাণ কী ? এর জওয়াবেই দেওয়া হয়েছে বইয়ের প্রথম প্রবন্ধ "মাদকের রাজ্যে"। একজন মানুষ যতো বেশী পর্নো দেখে, তার মস্তিষ্কের তত ক্ষতি হতে থাকে এবং ক্ষতি পূরণ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় । • হস্তমৈথুনের জন্য কেউ পর্ন দেখে, কেউ পর্ন দেখে হস্তমৈথুন করে। হস্তমৈথুন আর পর্ন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদল মুর্খমানব হস্তমৈথুনের পক্ষে প্রচারণা চালায়-- " ধর্মে নিষেধ করেছে তো কী হয়েছে, বিজ্ঞান আমাদের বলছে এটা শরীরের জন্য উপকারী"। এই উক্তিটি একটা চোরাবালি। এই চোরাবালিতে আটকে পড়েছে অনেকেই। এরকম আটকা পড়া কয়েকজন হতাভাগা ভাইয়ের জবানবন্দি বয়ান করা হয়েছে "চোরাবালি" প্রবন্ধে। তারপর - ''হস্তমৈথুন : বিজ্ঞানের আতশ কাচের নিচে'' প্রবন্ধ নিয়ে হাজির হয়েছে লস্ট মডেস্টির ভাইয়েরা । বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের কথার আলোকে হস্তমৈথুনকে পোস্টমর্টেম করেছেন। তুলে ধরেছেন এর ক্ষতিকর দিকগুলো । তুলোধোনা করেছেন মুর্খমানবদের বোকাসূলভ থিওরি এবং ডকুমেন্ট ।ফুটিয়ে তুলেছেন তাদের যুক্তির অসারতা। • পর্নগ্রাফির ক্ষতি শুধু পর্ন--আসক্তদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না। এর প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনে। বিষিয়ে তুলে পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনকে। এর থেকে মুক্ত নেই কেউ। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই তাতে আসক্ত । প্রতিটি পর্ন- আসক্ত ধর্ষক হয় না বটে, কিন্তু শতকরা নিরানব্বই পার্সেন্ট ধর্ষকই পর্নোআসক্ত। পর্নগ্রাফি পাল্টে দিচ্ছে যৌনতা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি । তৈরি হচ্ছে পর্নগ্রাফি প্রজন্ম। "১০৮টি নীল পদ্ম", "মৃত্যু ? দুই সেকেন্ড দূরে !" , "নীল রঙ্গের অন্ধকার", "অদ্ভৃত আঁধার এক !" প্রভৃতি প্রবন্ধাবলীর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো উপরের তথ্যগুলো ।জরিপ পেশ করে, বাস্তব অভিজ্ঞতা বয়ান করে, ভুক্তভোগীদের দুখ গাঁথা তুলে ধরে বিস্তৃত আকারে তা পরিবেশন করা হয়েছে । তথ্য এবং তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে সুন্দর আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে । by: Baki Billah
অন্ধকার !! অন্ধকার নিয়ে কেউ লেখালেখি করে না, করতে চায় না। অন্ধকারকে সবাই ভয় পায়। অন্ধকার দেখলে পাশ কেটে চলে যায়। অন্ধকারকে অন্ধকারেই রেখে দেয়। ফলে সেই আঁধার আরো ঘন হয়। হয় আরো বিস্তৃত । বিস্তৃত অন্ধকার বিস্তীর্ণ হয়ে গ্রাস করে আলোর বাসিন্দাদেরকেও।অন্ধকার যাদের তৈরি, তারা বলে, মানুষ অন্ধকারে কিছুক্ষণ থাকলে অন্ধকার তাদের সয়ে যায় । কিন্তু এটা মুদ্রার এক পিঠের কথা মাত্র । মুদ্রার অন্য পিঠের কথাটা বড়ো ভয়ঙ্কর। বড়ো তিক্ত।পরম চরম বাস্তব এবং নির্মম সত্য । মুদ্রার অন্য পিঠের কথাটা হলো, -- অন্ধকারে মানুষ থাকলে ধীরে ধীরে সেই অন্ধকার মানুষের ভিতরে প্রবেশ করে। অন্ধকারে থাকতে থাকতে সে অন্ধ হয়ে যায় । অন্ধকারের বাসিন্দারা তখন আলো এবং আলোর বাসিন্দাদের সহ্য করে না, করতে পারে না । আলোর বাসিন্দাদেরকে তাদের মতোই অন্ধকারের বাসিন্দা বলে মনে করে বসে। কিছু কিছু অন্ধকারের ক্ষেত্রে মুদ্রার এই পিঠের কথাটাই একমাত্র সত্য । এমনি এক অন্ধকারের নাম 'নীল অন্ধকার'। ব্লু ফিল্ম । পর্নোগ্রাফি । এই নীল অন্ধকারের বাসিন্দা যারা, তাদের চিন্তা চেতনায় সবসময় থাকে সেক্স। এই চিন্তা থেকে জন্ম নেয় দুশ্চিন্তা। দুশ্চিন্তা থেকে হতাশা । হতাশায় চলে হস্তের কাজ, হস্তমৈথুন। আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় নিজেদের ।এর কারণে মড়মড় করে ভাঙছে পরিবার , ভাঙছে সমাজ, ভাঙছে আইন, মূল্যবোধ-- সুকুমারবৃত্তি। নষ্ট হচ্ছে জীবন। বাড়ছে ধর্ষণ । ধর্ষক হচ্ছে আমাদের 'ভাই' ।ধর্ষিতা হচ্ছে আমাদের বোন। এই নীল অন্ধকার এখন আমাদের দেশে, আলোঝলমল শহরে, নগরে, গ্রামের ঘরে ঘরে। শিশু কিশোর যুবক বৃদ্ধের হাতে হাতে। অথচ এই অন্ধকার নিয়ে কোন লেখালেখি হয় না। ভয় সংকোচ লজ্জা কাজ করে। এই অন্ধকার যাদের তৈরি, পর্ন ইন্ডাস্ট্রির লাভে লাভবান হয় যারা, তারা এই অন্ধকারকে সুস্থ বিনোদন হিসাবে প্রচার করে। এই অন্ধকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হস্তমৈথুনকে স্বাস্থ্যসম্মত প্রমাণ করতে বড় বড় আর্টিকেল প্রসব করে। এমনি এক সঙ্গীন মুহূর্তে এগিয়ে এল লস্ট মডেস্টি গ্রুপের ভাইয়েরা । হাতে কলম তুলে নিলেন। লিখতে থাকলেন এই মহামারীর ভয়াবহতা এবং তার প্রতিকার নিয়ে ।সেই লেখাগুলোরই গ্রন্থিত রুপ হলো মুক্ত বাতাসের খোঁজে । চলুন এবার সেই মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইয়ের ভিতরে, পর্নোগ্রাফির লাল বৃত্তে প্রবেশ করি। ----------- পর্নো। যে পর্নো ছাড়া থাকতে পারে না সে পর্নো আসক্ত । পর্নো আসক্ত মাদকাসক্তের মতোই । বরং পর্ন আসক্তি ক্ষতি এবং পরিণামের দিক দিয়ে মাদকাসক্তের চেয়ে আরো ভয়ঙ্কর । কীভাবে ? প্রমাণ কী ? এর জওয়াবেই দেওয়া হয়েছে বইয়ের প্রথম প্রবন্ধ "মাদকের রাজ্যে"। একজন মানুষ যতো বেশী পর্নো দেখে, তার মস্তিষ্কের তত ক্ষতি হতে থাকে এবং ক্ষতি পূরণ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় । • হস্তমৈথুনের জন্য কেউ পর্ন দেখে, কেউ পর্ন দেখে হস্তমৈথুন করে। হস্তমৈথুন আর পর্ন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদল মুর্খমানব হস্তমৈথুনের পক্ষে প্রচারণা চালায়-- " ধর্মে নিষেধ করেছে তো কী হয়েছে, বিজ্ঞান আমাদের বলছে এটা শরীরের জন্য উপকারী"। এই উক্তিটি একটা চোরাবালি। এই চোরাবালিতে আটকে পড়েছে অনেকেই। এরকম আটকা পড়া কয়েকজন হতাভাগা ভাইয়ের জবানবন্দি বয়ান করা হয়েছে "চোরাবালি" প্রবন্ধে। তারপর - ''হস্তমৈথুন : বিজ্ঞানের আতশ কাচের নিচে'' প্রবন্ধ নিয়ে হাজির হয়েছে লস্ট মডেস্টির ভাইয়েরা । বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের কথার আলোকে হস্তমৈথুনকে পোস্টমর্টেম করেছেন। তুলে ধরেছেন এর ক্ষতিকর দিকগুলো । তুলোধোনা করেছেন মুর্খমানবদের বোকাসূলভ থিওরি এবং ডকুমেন্ট ।ফুটিয়ে তুলেছেন তাদের যুক্তির অসারতা। • পর্নগ্রাফির ক্ষতি শুধু পর্ন--আসক্তদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না। এর প্রভাব পড়ে দাম্পত্য জীবনে। বিষিয়ে তুলে পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনকে। এর থেকে মুক্ত নেই কেউ। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই তাতে আসক্ত । প্রতিটি পর্ন- আসক্ত ধর্ষক হয় না বটে, কিন্তু শতকরা নিরানব্বই পার্সেন্ট ধর্ষকই পর্নোআসক্ত। পর্নগ্রাফি পাল্টে দিচ্ছে যৌনতা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি । তৈরি হচ্ছে পর্নগ্রাফি প্রজন্ম। "১০৮টি নীল পদ্ম", "মৃত্যু ? দুই সেকেন্ড দূরে !" , "নীল রঙ্গের অন্ধকার", "অদ্ভৃত আঁধার এক !" প্রভৃতি প্রবন্ধাবলীর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো উপরের তথ্যগুলো ।জরিপ পেশ করে, বাস্তব অভিজ্ঞতা বয়ান করে, ভুক্তভোগীদের দুখ গাঁথা তুলে ধরে বিস্তৃত আকারে তা পরিবেশন করা হয়েছে । তথ্য এবং তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে সুন্দর আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে । by: Baki Billah

Publisher: ইলমহাউস পাবলিকেশন
Category: আত্ম-উন্নয়ন ও মেডিটেশন
ISBN:
Number of pages: -

Related Products