প্রতি বছর নতুন ব্যাচ এলে তাদের ফ্যাকাল্টি থেকে ট্যুরের আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য : পরস্পরের মধ্যে আইস ব্রেকিং। সবাই যেন সব শিক্ষক-ছাত্রকে এক এক করে চিনে নিতে পারে এইজন্যেই এই আয়োজন। উন্নত দেশে এরকম করা হয়। তাদের অনুকরণে ফ্যাকাল্টি ডীন শাহনেওয়াজ কবির এখানে এই সংস্কৃতি চালু করেছেন। অঙ্কুর ও তার বন্ধুরাও আনন্দে হৈ হৈ করে উঠল। আলোচনার পর ডীন স্যার তাদের গন্তব্যস্থল নির্ধারণ করলেন মিস্টেরিল্যান্ড। অদ্ভুত রহস্যেঘেরা ছোট এক দ্বীপ। সেন্টমার্টিন থেকে পূর্বদিকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে অবস্থান। দ্বীপটা নিয়ে নানা ভয়ংকর, অবিশ্বাস্য ও আজগুবি কথাবার্তা প্রচলিত থাকলও বছরখানেকের মাথায় টুকটাক টুরিস্ট আসাযাওয়া বাড়তে থাকে। দ্বীপটির নাম মিস্টেরিল্যান্ড হলেও মাঝিদের থেকে জানা যায় স্থানীয়রা বলে "শয়তানের দ্বীপ"। যা শুনে ছাত্র-ছাত্রীদের মত শিক্ষকদের মাঝেও একটা ভয়ার্ত শিহরণ বয়ে যায়।
কিন্তু দ্বীপের নয়ন জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে সব ভুলিয়ে দিল। তাবু থেকে রাতের আঁধারে দস্যিপনায় মেতে উঠা ছয় তরুণ অঙ্কুর, শাহেদ, আবির, তমাল, বর্ণাঢ্য ও দীপক। ঘুরতে ঘুরতে ঘন ঝোপের আড়ালে হঠাৎ হেলিপ্যাডের মত গোল বৃত্তের মাঝখানে এসে দাঁড়াল ছয়জন। একসাথে ছয়জনে লাফদিয়ে নিজেদের অজান্তেই খুলে ফেলল এক অজানা দিপদের দরজা।
অন্যদিকে এই দ্বীপ নিয়ে গবেষণা করতে এসে নিখোঁজ হয়েছেন ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রফেসর। আর অপর দিকে একই সময়ে উধাও হয় বিজ্ঞানী জ্যাকব শ্যারন। যে কিনা করে ফেলেছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কারটি! কী সেই আবিষ্কার? কেন এত লুকোচুরি? সবই কি কাকতালীয়? নাকি এ সব একটা ফাঁদ? ছয় বন্ধু কি ফিরে আসতে পারবে চিরচেনা মাটির পৃথিবীতে? পারবে কি পাগল বিজ্ঞানীর পাগলামো থামাতে? পারবে কি তারা আপন গৃহতুল্য অপারস্নেহের আধার এই পৃথীবিকে রক্ষা করতে?
by: Aevin Euqah
Publisher:
সময় প্রকাশন
Category:
সায়েন্স ফিকশন
ISBN:
Number of pages: -