ইলেভেন মিনিটস

(author),
300 TK 225 TK
- Pages
  • Save 75 Tk.

Description
কোনো এক সময়ে মারিয়া(ছদ্মনাম) নামে এক বেশ্যা ছিল। তার বাবা একজন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা, মা দর্জির কাজ করেন। তার বসবাস ছিল ব্রাজিলের প্রত্যন্ত এক শহরে। যেখানে মাত্র একটি করে সিনেমা হল, নাইট ক্লাব এবং ব্যাংক রয়েছে। তাই মারিয়া সবসময় আশা করে, তার স্বপ্নের রাজকুমার কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই একদিন এসে হাজির হবে, তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে, যাতে তারা দুজনে মিলে বিশ্ব জয় করতে। সে প্রথম প্রেমে পড়ে বয়স যখন এগারো ছিল। একদিন সকালে স্কুলে যাবার পথে ছেলেটি তার কাছে এসে বললো, সে একটি পেন্সিল ধার নিতে পারে কি না। মারিয়া কোন জবাব না দিয়ে খুব উত্তেজনা বোধ করলো এবং দ্রুত পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে এলো। মারিয়া স্বপ্ন দেখছিল, ছেলেটি তার হাত ধরবে, স্কুল গেইট পার হয়ে বাইরে যাবে, রাস্তার প্রান্তসীমায় পৌঁছাবে! তবে ছেলেটি তার সাথে একটি কথাও বলেনি। মারিয়াকে স্কুল বর্ষের শেষ দিন পর্যন্ত ভালোবাসা এবং কষ্ট নিয়ে তৃপ্ত থাকতে হয়েছে। একদিন সকালে মারিয়ার মা তার ঘরে প্রবেশ করে রক্তের দাগওয়ালা চাদর দেখে হেসে বললেন, 'আজ থেকে তুমি যুবতী।' পরদিন তার মা যে বিশেষ পোশাক বিশেষ দিনে পরার জন্য বানিয়ে রেখেছিলেন, তা পরে স্কুলে গেল। পরিশেষে বন্ধুদের কাছে জানতে পারলো ছেলেটি পরিবারের সাথে অন্যত্র চলে গিয়েছে। তারপর তিন বছর পার হলো। মারিয়া ভূগোল আর গণিত শিখেছে। বয়স যখন ঠিক পনেরো , তখন পবিত্র সপ্তাহের পদযাত্রায় দেখা হওয়া একটি ছেলের প্রেম পড়লো। যাহোক, তার পনেরোতম জন্মদিন শুধু মুখ প্রসারিত করে চুম্বন করবে এই বার্তা দেয়নি, পাশাপাশি এও বলেছে ভালোবাসা মোটের উপর একটা যন্ত্রণার কারণ। এভাবে কেটে মারিয়ার কৈশোরের দিনগুলো। সে দিন দিন মোহনীয় হয়ে উঠলো। একের পর এক ছেলে বদলে তাদের সাথে ডেট করা শুরু করলো। তবে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে সে কখনো প্রেমে পড়বে না। তারপর এমন এক ডেটের দিনে গাড়ির পেছনের সিটে মারিয়া তার কুমারিত্ব হারালো। তার দলে একমাত্র কুমারী হিসেবে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে ছেলেটিকে তার ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দিল। সে উনিশে উপনীত হলো। মাধ্যমিক স্কুল শেষ করে একটি পর্দার দোকানে চাকরি পেল। সেখানে তার বস সহসাই তার প্রেমে পড়ে গেলেন। ততদিনে মারিয়া জেনে গেছে নিজেকে অক্ষুণ্ণ রেখে কিভাবে পুরুষদের ব্যবহার করতে হয়। মারিয়া জানে সে দেখতে কতটা সুন্দরী। তার মা বলেছিলেন, 'সোনামণি রূপ বেশিদিন স্থায়ী হয় না।' মারিয়ার বস তাকে কোপাকাবানায় সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন। কে জানতো? এই সিদ্ধান্তই গাঢ় হয়ে থাকবে চিরকাল মারিয়ার জীবনে। মারিয়ার শখ সে নামীদামী মডেল হবে। সমুদ্রসৈকতে মারিয়ার সাথে এক দালালের পরিচয় ঘটে। লোকটি বললো সে সুইস। কাজ! ডলার! বিখ্যাত মডেল! চমকে গেল মারিয়া। এবং সিদ্ধান্ত নিলো সুইজারল্যান্ড যাবে। এছাড়া সুইজারল্যান্ড দারুণ চকলেট ও ঘড়ি উৎপাদন করে। মারিয়া লোকটির সাথে জেনেভায় গিয়েই বুঝতে পারলো সে দালালের খপ্পরে পড়েছে। এখানে এসেই মারিয়া তার পাসপোর্ট হারালো। ইউরোপিয়ানরা সকলেই একই রকম, তারা এখানে আসে এবং মনে করে ব্রাজিলের নারী মানেই ভোগবিলাসী এবং সাম্বা নাচ জানে। সে পুরোপুরি একজন পতিতায় পরিণত হতে বাধ্য হলো। জেনেভায় এসে মারিয়ার এক মহিলা লাইব্রেরিয়ানের সাথে পরিচয় ঘটে। আর মারিয়া সবসময় তার পাশে কুমারী মাতা মেরি'র ছায়া অনুভব করতো। মারিয়া তার স্বপ্ন পুরণে অদম্য ছিল। সে ব্রাজিলে ফিরে যেতে হিসেব করলো তিনমাস শক্তভাবে কাজ করতে হবে। মারিয়া এবার এক আরবের প্রেমে পড়লো এবং তা টিকলো মাত্র তিন সপ্তাহ। মারিয়ার সাথে মিলান নামে একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর পরিচয় ঘটে। মারিয়া এবার সিদ্ধান্ত নিলো, সে সুইজারল্যান্ড থেকে টাকা কামাবে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ব্রাজিল গিয়ে ফার্ম করবে। এজন্য তাকে প্রায় তিনমাস বেশি মানে আরো ছয়মাস পতিতাবৃত্তি করতে হবে। মারিয়ার মাঝে একটি বই লেখার স্বাদ জাগে। যেখানে একজন নারীর আর্তনাদ'র ব্যাখ্যা থাকবে। সে উদ্দেশ্যে সে তার স্মৃতি থেকে বিভিন্ন ঘটনা ডায়রিতে লিখে রাখতো। কিন্তু একঘেয়েমি চলে আশায় সে লেখা বন্ধ করে দিয়েছিল কোন এক সময়। by: Arafat W'Shaks Leo Tonmoy

Publisher: ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
ISBN:
Number of pages: -


REVIEWS
কোনো এক সময়ে মারিয়া(ছদ্মনাম) নামে এক বেশ্যা ছিল। তার বাবা একজন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা, মা দর্জির কাজ করেন। তার বসবাস ছিল ব্রাজিলের প্রত্যন্ত এক শহরে। যেখানে মাত্র একটি করে সিনেমা হল, নাইট ক্লাব এবং ব্যাংক রয়েছে। তাই মারিয়া সবসময় আশা করে, তার স্বপ্নের রাজকুমার কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই একদিন এসে হাজির হবে, তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে, যাতে তারা দুজনে মিলে বিশ্ব জয় করতে। সে প্রথম প্রেমে পড়ে বয়স যখন এগারো ছিল। একদিন সকালে স্কুলে যাবার পথে ছেলেটি তার কাছে এসে বললো, সে একটি পেন্সিল ধার নিতে পারে কি না। মারিয়া কোন জবাব না দিয়ে খুব উত্তেজনা বোধ করলো এবং দ্রুত পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে এলো। মারিয়া স্বপ্ন দেখছিল, ছেলেটি তার হাত ধরবে, স্কুল গেইট পার হয়ে বাইরে যাবে, রাস্তার প্রান্তসীমায় পৌঁছাবে! তবে ছেলেটি তার সাথে একটি কথাও বলেনি। মারিয়াকে স্কুল বর্ষের শেষ দিন পর্যন্ত ভালোবাসা এবং কষ্ট নিয়ে তৃপ্ত থাকতে হয়েছে। একদিন সকালে মারিয়ার মা তার ঘরে প্রবেশ করে রক্তের দাগওয়ালা চাদর দেখে হেসে বললেন, 'আজ থেকে তুমি যুবতী।' পরদিন তার মা যে বিশেষ পোশাক বিশেষ দিনে পরার জন্য বানিয়ে রেখেছিলেন, তা পরে স্কুলে গেল। পরিশেষে বন্ধুদের কাছে জানতে পারলো ছেলেটি পরিবারের সাথে অন্যত্র চলে গিয়েছে। তারপর তিন বছর পার হলো। মারিয়া ভূগোল আর গণিত শিখেছে। বয়স যখন ঠিক পনেরো , তখন পবিত্র সপ্তাহের পদযাত্রায় দেখা হওয়া একটি ছেলের প্রেম পড়লো। যাহোক, তার পনেরোতম জন্মদিন শুধু মুখ প্রসারিত করে চুম্বন করবে এই বার্তা দেয়নি, পাশাপাশি এও বলেছে ভালোবাসা মোটের উপর একটা যন্ত্রণার কারণ। এভাবে কেটে মারিয়ার কৈশোরের দিনগুলো। সে দিন দিন মোহনীয় হয়ে উঠলো। একের পর এক ছেলে বদলে তাদের সাথে ডেট করা শুরু করলো। তবে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে সে কখনো প্রেমে পড়বে না। তারপর এমন এক ডেটের দিনে গাড়ির পেছনের সিটে মারিয়া তার কুমারিত্ব হারালো। তার দলে একমাত্র কুমারী হিসেবে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে ছেলেটিকে তার ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দিল। সে উনিশে উপনীত হলো। মাধ্যমিক স্কুল শেষ করে একটি পর্দার দোকানে চাকরি পেল। সেখানে তার বস সহসাই তার প্রেমে পড়ে গেলেন। ততদিনে মারিয়া জেনে গেছে নিজেকে অক্ষুণ্ণ রেখে কিভাবে পুরুষদের ব্যবহার করতে হয়। মারিয়া জানে সে দেখতে কতটা সুন্দরী। তার মা বলেছিলেন, 'সোনামণি রূপ বেশিদিন স্থায়ী হয় না।' মারিয়ার বস তাকে কোপাকাবানায় সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন। কে জানতো? এই সিদ্ধান্তই গাঢ় হয়ে থাকবে চিরকাল মারিয়ার জীবনে। মারিয়ার শখ সে নামীদামী মডেল হবে। সমুদ্রসৈকতে মারিয়ার সাথে এক দালালের পরিচয় ঘটে। লোকটি বললো সে সুইস। কাজ! ডলার! বিখ্যাত মডেল! চমকে গেল মারিয়া। এবং সিদ্ধান্ত নিলো সুইজারল্যান্ড যাবে। এছাড়া সুইজারল্যান্ড দারুণ চকলেট ও ঘড়ি উৎপাদন করে। মারিয়া লোকটির সাথে জেনেভায় গিয়েই বুঝতে পারলো সে দালালের খপ্পরে পড়েছে। এখানে এসেই মারিয়া তার পাসপোর্ট হারালো। ইউরোপিয়ানরা সকলেই একই রকম, তারা এখানে আসে এবং মনে করে ব্রাজিলের নারী মানেই ভোগবিলাসী এবং সাম্বা নাচ জানে। সে পুরোপুরি একজন পতিতায় পরিণত হতে বাধ্য হলো। জেনেভায় এসে মারিয়ার এক মহিলা লাইব্রেরিয়ানের সাথে পরিচয় ঘটে। আর মারিয়া সবসময় তার পাশে কুমারী মাতা মেরি'র ছায়া অনুভব করতো। মারিয়া তার স্বপ্ন পুরণে অদম্য ছিল। সে ব্রাজিলে ফিরে যেতে হিসেব করলো তিনমাস শক্তভাবে কাজ করতে হবে। মারিয়া এবার এক আরবের প্রেমে পড়লো এবং তা টিকলো মাত্র তিন সপ্তাহ। মারিয়ার সাথে মিলান নামে একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর পরিচয় ঘটে। মারিয়া এবার সিদ্ধান্ত নিলো, সে সুইজারল্যান্ড থেকে টাকা কামাবে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ব্রাজিল গিয়ে ফার্ম করবে। এজন্য তাকে প্রায় তিনমাস বেশি মানে আরো ছয়মাস পতিতাবৃত্তি করতে হবে। মারিয়ার মাঝে একটি বই লেখার স্বাদ জাগে। যেখানে একজন নারীর আর্তনাদ'র ব্যাখ্যা থাকবে। সে উদ্দেশ্যে সে তার স্মৃতি থেকে বিভিন্ন ঘটনা ডায়রিতে লিখে রাখতো। কিন্তু একঘেয়েমি চলে আশায় সে লেখা বন্ধ করে দিয়েছিল কোন এক সময়। by: Arafat W'Shaks Leo Tonmoy
কোনো এক সময়ে মারিয়া(ছদ্মনাম) নামে এক বেশ্যা ছিল। তার বাবা একজন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা, মা দর্জির কাজ করেন। তার বসবাস ছিল ব্রাজিলের প্রত্যন্ত এক শহরে। যেখানে মাত্র একটি করে সিনেমা হল, নাইট ক্লাব এবং ব্যাংক রয়েছে। তাই মারিয়া সবসময় আশা করে, তার স্বপ্নের রাজকুমার কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই একদিন এসে হাজির হবে, তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে, যাতে তারা দুজনে মিলে বিশ্ব জয় করতে। সে প্রথম প্রেমে পড়ে বয়স যখন এগারো ছিল। একদিন সকালে স্কুলে যাবার পথে ছেলেটি তার কাছে এসে বললো, সে একটি পেন্সিল ধার নিতে পারে কি না। মারিয়া কোন জবাব না দিয়ে খুব উত্তেজনা বোধ করলো এবং দ্রুত পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে এলো। মারিয়া স্বপ্ন দেখছিল, ছেলেটি তার হাত ধরবে, স্কুল গেইট পার হয়ে বাইরে যাবে, রাস্তার প্রান্তসীমায় পৌঁছাবে! তবে ছেলেটি তার সাথে একটি কথাও বলেনি। মারিয়াকে স্কুল বর্ষের শেষ দিন পর্যন্ত ভালোবাসা এবং কষ্ট নিয়ে তৃপ্ত থাকতে হয়েছে। একদিন সকালে মারিয়ার মা তার ঘরে প্রবেশ করে রক্তের দাগওয়ালা চাদর দেখে হেসে বললেন, 'আজ থেকে তুমি যুবতী।' পরদিন তার মা যে বিশেষ পোশাক বিশেষ দিনে পরার জন্য বানিয়ে রেখেছিলেন, তা পরে স্কুলে গেল। পরিশেষে বন্ধুদের কাছে জানতে পারলো ছেলেটি পরিবারের সাথে অন্যত্র চলে গিয়েছে। তারপর তিন বছর পার হলো। মারিয়া ভূগোল আর গণিত শিখেছে। বয়স যখন ঠিক পনেরো , তখন পবিত্র সপ্তাহের পদযাত্রায় দেখা হওয়া একটি ছেলের প্রেম পড়লো। যাহোক, তার পনেরোতম জন্মদিন শুধু মুখ প্রসারিত করে চুম্বন করবে এই বার্তা দেয়নি, পাশাপাশি এও বলেছে ভালোবাসা মোটের উপর একটা যন্ত্রণার কারণ। এভাবে কেটে মারিয়ার কৈশোরের দিনগুলো। সে দিন দিন মোহনীয় হয়ে উঠলো। একের পর এক ছেলে বদলে তাদের সাথে ডেট করা শুরু করলো। তবে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে সে কখনো প্রেমে পড়বে না। তারপর এমন এক ডেটের দিনে গাড়ির পেছনের সিটে মারিয়া তার কুমারিত্ব হারালো। তার দলে একমাত্র কুমারী হিসেবে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে ছেলেটিকে তার ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দিল। সে উনিশে উপনীত হলো। মাধ্যমিক স্কুল শেষ করে একটি পর্দার দোকানে চাকরি পেল। সেখানে তার বস সহসাই তার প্রেমে পড়ে গেলেন। ততদিনে মারিয়া জেনে গেছে নিজেকে অক্ষুণ্ণ রেখে কিভাবে পুরুষদের ব্যবহার করতে হয়। মারিয়া জানে সে দেখতে কতটা সুন্দরী। তার মা বলেছিলেন, 'সোনামণি রূপ বেশিদিন স্থায়ী হয় না।' মারিয়ার বস তাকে কোপাকাবানায় সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন। কে জানতো? এই সিদ্ধান্তই গাঢ় হয়ে থাকবে চিরকাল মারিয়ার জীবনে। মারিয়ার শখ সে নামীদামী মডেল হবে। সমুদ্রসৈকতে মারিয়ার সাথে এক দালালের পরিচয় ঘটে। লোকটি বললো সে সুইস। কাজ! ডলার! বিখ্যাত মডেল! চমকে গেল মারিয়া। এবং সিদ্ধান্ত নিলো সুইজারল্যান্ড যাবে। এছাড়া সুইজারল্যান্ড দারুণ চকলেট ও ঘড়ি উৎপাদন করে। মারিয়া লোকটির সাথে জেনেভায় গিয়েই বুঝতে পারলো সে দালালের খপ্পরে পড়েছে। এখানে এসেই মারিয়া তার পাসপোর্ট হারালো। ইউরোপিয়ানরা সকলেই একই রকম, তারা এখানে আসে এবং মনে করে ব্রাজিলের নারী মানেই ভোগবিলাসী এবং সাম্বা নাচ জানে। সে পুরোপুরি একজন পতিতায় পরিণত হতে বাধ্য হলো। জেনেভায় এসে মারিয়ার এক মহিলা লাইব্রেরিয়ানের সাথে পরিচয় ঘটে। আর মারিয়া সবসময় তার পাশে কুমারী মাতা মেরি'র ছায়া অনুভব করতো। মারিয়া তার স্বপ্ন পুরণে অদম্য ছিল। সে ব্রাজিলে ফিরে যেতে হিসেব করলো তিনমাস শক্তভাবে কাজ করতে হবে। মারিয়া এবার এক আরবের প্রেমে পড়লো এবং তা টিকলো মাত্র তিন সপ্তাহ। মারিয়ার সাথে মিলান নামে একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর পরিচয় ঘটে। মারিয়া এবার সিদ্ধান্ত নিলো, সে সুইজারল্যান্ড থেকে টাকা কামাবে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ব্রাজিল গিয়ে ফার্ম করবে। এজন্য তাকে প্রায় তিনমাস বেশি মানে আরো ছয়মাস পতিতাবৃত্তি করতে হবে। মারিয়ার মাঝে একটি বই লেখার স্বাদ জাগে। যেখানে একজন নারীর আর্তনাদ'র ব্যাখ্যা থাকবে। সে উদ্দেশ্যে সে তার স্মৃতি থেকে বিভিন্ন ঘটনা ডায়রিতে লিখে রাখতো। কিন্তু একঘেয়েমি চলে আশায় সে লেখা বন্ধ করে দিয়েছিল কোন এক সময়। by: Arafat W'Shaks Leo Tonmoy

Publisher: ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
Category: অন্যান্য
ISBN:
Number of pages: -

Related Products