২০১৪ সালের ৯ জুলাই, দীর্ঘ ৫ বছর পরে বিদেশ থেকে দেশে ফেরে অরনী। সে ফিরেছে তার মা আফরোজার মৃত্যু সংবাদ শুনে। দেশে ফিরে মর্গে গিয়ে মায়ের লাশের সাথে অদ্ভুত এক রহস্যের সন্ধান পায় অরনী। সেখানে এক ব্যক্তি তাকে দেয় একটা খাম। খাম খুলতেই বেরিয়ে এলো একটা ডায়েরি, একটা বিশেষ প্রতীক সহ কয়েন এবং একটা পা ভাঙা ঘোড়ার পুরনো ছবি যার উপরে লেখা ‘ট্রুথ ইজ অলওয়েজ ইন ফ্রন্ট অব ইউ’।
ওদিকে পুলিশ আফরোজার খুনি সন্দেহে গ্রেফতার করে আফরোজারই প্রিয় ছাত্র হাসানকে, কারণ হাআসানের গাড়িতেই আফরোজার লাশ পাওয়া যায়। হাসানকে অরনী ভালোভাবেই চিনতো, জেলে হাসানের সাথে দেখা করতে গিয়ে এবং তার সাথে কথা বলে অরনী বুঝতে পারে হাসান খুনি নয় এবং সে হাসানকে তার মাআয়ের রেখে যাওয়া সূত্রগুলো দেখায়। এরপরে দুজনে একসাথে এই রহস্যের সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ড্রাইভার আমির চাচার সাহায্যে অভিনব এক উপায়ে হাসানকে নিয়ে কোর্ট থেকে পালায় অরনী। এরপরে অপরাধীর তালিকায় হাসানের সাথে অরনীর নাম যুক্ত হয়ে যায়। তারপরে হাসান ও অরনী সূত্র ধরে এগোতে থাকে। কিন্তু তাদের প্রতি পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বেশ নাআমকরা এবং সাহসী এসপি আতিকুর রহমান। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো যতবারই হাসান আর অরনী ঝামেলায় পড়ছিলো, ততোবারই আড়াল থেকে তাদের ঝামেলামুক্ত করতে এগিয়ে আসছিলো তৃতীয় কোনো পক্ষ।
২৫শে মার্চ, ১৯৭১। নিজের বন্ধু হাফিজের আত্মহত্যার খবর শুনে তার লাশ দেখতে মর্গে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মনিরুজ্জামান। সেখান থেকে সে পায় তার জন্য হাফিজের রেখে যাওয়া কিছু জিনিস। একটা পুরনো কয়েন এবং একটা পা ভাঙা ঘোড়ার ছবি যার উপরে লেখা ‘ট্রুথ ইজ অলওয়েজ ইন ফ্রন্ট অব ইউ’।
সেখান থেকে মনিরুজ্জামান সাহেব ওনার দুই ছাত্র আবু আর কবিরকে নিয়ে হাফিজের বাসায় যান। সেখানে হাফিজের রেখে যাওয়া কিছু সূত্র ধরে এগোতে থাকে তারা। আর ওই লুকায়িত জিনিসের প্রতি পাকিস্তান সরকারেরও নজর পড়ে যায়। তারাও মনিরুজ্জামানের পিছু নিতে থাকে যেন সে জিনিসটা খুঁজে পেলে সেটা তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে যায় ইতিহাসের অন্যতম বর্বর অধ্যায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। সেই ভয়াবহ রাতে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে জিনিসটা খুঁজতে যায় মনিরুজ্জামান। কিন্তু আগেই সেখানে এসে মনিরুজ্জামানের অপেক্ষা করছিলো কর্নেল হাবিব। পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ে যায় মনিরুজ্জামান, আবু ও কবির।
কি ছিলো হাফিজের সেই রেখে যাওয়া ছবির পা ভাঙা ঘোড়ায়? মনিরুজ্জমান কি পেরেছিলো সেই ঘোড়া উদ্ধার করতে? নাকি সে সব বলে দিয়েছিলো পাকিস্তানি হানাদারদের কাছে? আর ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কিভাবে যুক্ত হতে পারে ২০১৪ সালের এক খুনের সাথে?
উত্তর রয়েছে ‘২৫শে মার্চ’ বইটিতে।
তবে আশ্চর্যের বা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে এই ঘটনার শুরু হয় ১৮৫৭ সালে, সিপাহী বিদ্রোহের সময়।
by: Shahrul Islam Sayem
Publisher:
বাতিঘর প্রকাশনী
Category:
অন্যান্য
ISBN:
Number of pages: -