সত্যেন তার বন্ধু শুভেন, জ্যোতি আর এক স্কটিশ লোক কে নিয়ে শালডুংরি শিকারে যায়। নিত্যদিনই তারা হরিণ, ময়ূর, সম্বর, চিতাসহ নানা প্রাণী শিকার করে। আর জ্যোতি নানারকম সুস্বাদ খারাব রেঁধে খাওয়ায়। একদিন শিকার থেকে ফেরার পথে দেখতে আদিবাসীর মত হলেও এক বাঙালীবাবুর সাথে দেখা হয় ওদের! জ্যোতি লোকটার সাথে বেশ অভদ্রোচিত আচরণই করে। কেননা বাঙালীবাবু নামে পরিচিত লোকটা তাদের শিকার করতে নিষেধ করেন, স্কুলের হেডমাস্টার মশায়ের মত জ্ঞান দিচ্ছিলেন। কিন্তু বাঙালীবাবুকে সত্যেন এর খুব পছন্দ হয়ে যায়। সে আবার লেখক কিনা! মানুষকে চেনা তার এক নেশাই বলা যায়। বন্ধুরা পর দিন কলকাতা চলে গেলে সে তার লিখালিখির জন্য আরো কিছুদিনের জন্য শালডুংরিতে থেকে যায়।
সে তার কেয়ারটেকারকে নিয়ে বাঙালীবাবুর বাড়িতে দেখা করতে যায়। সেখানে অনেক গল্পের পরে চলে আসার সময় বাঙালীবাবু সত্যেন কে তার যৌবনে লিখা একটি ডাইরি দেয়। সত্যেন প্রথমে খুব অবাক হলেও, ভেতরে ভেতরে প্রবল আকর্ষণ বোধ করতে থাকে। বাংলোবাড়িতে পৌঁছে আর দেরি না করে সে ডুবে যায় ডায়রিতে । একের পর এক পাতা উল্টানোর সাথে সাথে সে নিজেকে আবিষ্কার করে নতুন ভাবে, সাথে সেই বাঙ্গালীবাবুকেও। এমন কি ছিল সেই ডাইরিতে? যার জন্য সত্যেন নাওয়া খাওয়া ছেড়ে পড়েছিল সেটা নিয়ে? জানতে চাইলতে আনাকে ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে বইটি। by: Aevin Euqah
Publisher:
দে’জ পাবলিশিং (ভারত)
Category:
অন্যান্য
ISBN:
Number of pages: -