অক্টারিন

ঘটনা শুরু নতুন হাশেম, পুরাতন হাশেম আর সিএনজি চালক ওসমাইন্না এর মধ্যে জুয়া খেলার বিরোধ নিয়ে। খেলার হারজিৎ শেষে, বিশাল ভবনের গার্ড হাশেমকে রাতের অন্ধকারে কি যেন ঝাপ্টে ধরে নিয়ে গেলো লোকচক্ষুর অন্তরালে। আর এদিকে সকালে, স্কুলের শিক্ষক মুমিন সকালের নাস্তা সেরে রেডি হতেই পারলো না, স্কুলের বড়কর্তা আজগর স্যার তাড়া দিলেন বাসার নিচে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে এখনই ম্যাডামের সাথে দেখা করতে হবে। হঠাৎ কার বাসায় যেতে হবে, কেন যেতে হবে কিছুই জানেন না মুমিন। এদিকে কলিমুদ্দিন সাহেবের স্ত্রী অপেক্ষা করছেন মুমিন এর জন্য।সৈয়দ কলিমুদ্দিন সাহেবের বিশাল প্রতিপত্তি, গাড়ি-বাড়ি সবকিছু রেখে পরপারে যাত্রা করেছেন বেশ অনেকদিন আগেই। তার স্ত্রীই সব দেখা শোনা করেন বেশ গুছিয়ে।এখন বিত্তশালী পরিবার ফুলে ফেঁপে উঠেছে আরো বহুগুন। এদিকে শহরের স্বনামধন্য বিত্তশালীর মেয়ে আয়েশার উপর নাকি জিনের আছর পড়েছে। এরকম তো কতজনের পড়ে। কিন্তু এর কেইস তাই ডিফারেন্ট। একদিন পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করার জন্য মায়ের বকুনি খেয়ে সেই যে মেয়েটা ঝপাৎ করে ঘুমিয়ে পড়লো তারপর থেকে টানা ২ সপ্তাহ হয়ে গেছে উঠার নাম নেই। কেউ বলছে কোমায় গেছে, কেউ বলছে নার্কোলেপ্সি।কিন্তু ভিকটিমের এর রোগের সিম্পটম মিলছে না। হঠাৎ করে হাশেম কোথায় গায়েব হলো? এতো প্রভাবশালী পরিবার, কিন্তু তাদের দরকারটা কোথায় মুমিনের কাছে? আয়েশার আসলে এমন কি হলো যার রহস্য কেউ পারছে না বের করতে? এইসকল গ্যাড়াকলে পড়ে নিতান্তই বেচারা বনে যাওয়া মুমিন রসহ্য উদ্ঘাটন করতে তৎপর হলেও পরোক্ষনে টের পায় সমস্যার জট খোলা তার ভাবনার চাইতেও কঠিন।প্রতি পদক্ষেপে বাধা দেয় কার যেন অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা, এক সুযোগসন্ধানী আততায়ী, খুন, ম্যাজিক আর চক্রান্তের এক জটিল রসায়ন।মুমিনের সহায়তায় রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ান কি পারবে রহস্যের ভেদ করতে? by: Ruponti Shahrin