ছুঁয়ে দাও তানপুয়ার নূপুর বাজুক

চিরকালীন সাহিত্যের মধ্যে কাব্যসাহিত্যই হচ্ছে মৌলিক নির্যাস । কাব্য রচিত এবং উদ্ভাসিত হয় একটি মুহুর্তের নুভূতি এবং তার নান্দনিক প্রকাশে । পৃথিবীর সকল মহাকাব্য এবং ধর্মগ্রন্থই কাব্যছন্দে রচিত । তার জন্যেই তা অযুত মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছে । বৈয়াকরণগণের সূত্রে কাব্য রচনার কিছু নিবন্ধিত আইন - কানুন রয়েছে , যেমন - নানাবিধ দুন্দ , মাত্রা । উপমা , উৎপ্রেক্ষা । তবুও আমার ধারণা - কাব্যের মূল । উপাদান হলাে - মুহর্তের দর্শনের নান্দনিক এবং ছন্দিত শব্দাবলী , যা পাঠকের অনুভূতিকে দোল্যয়িত এবং ভাবনার ক্ষেত্রকে প্রলম্বিত করে । নাঈমা খানম তেমনই একজন ভাববাদী মানুষ । তিনি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী । এবং পারিবারিকভাবে বড় হয়েছেন শিক্ষা এবং শিল্প - সাহিত্যের আবহে । সেখানেই তাঁর ভাবনার অঙ্কুরােদগম । আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অনেক । প্রথিতযশা কৰি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন , যাঁরা । পাশ্চাত্যের আধুনিক কাব্যধারার মাত্রা আমাদের সাহিত্যে । যুক্ত করেছেন , যেমন - বুদ্ধদেব বসু , জীবনানন্দ দাশ , শামসুর রাহমান প্রমুখ । স্মরণীয় এসব কবিদের মতাে । নাঈমা খানমও ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী । সুতরাং মনে । করি , সাহিত্যের মূল উপাদান তাঁর করায়ত্ত । ইয়ে দাও । তানপুরায় নুপুর বাজুক ' শিরােনামের কাব্যগ্রন্থটির প্রতিটি । কবিতা সেই সুরেই ঝংকৃত হয়ে উঠেছে । । সাহিত্য নির্মাণের সূত্র - কৌশল সসম্মানে সরিয়ে রেখে বলতে পারি , ' ছুঁয়ে দাও তানপুরায় নূপুর বাজুক কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা নাঈমা খানম মৌলিক অনুভূতির ওপর । ভর করে আত্মপ্রকাশ করছেন । তার এই শুভ মুহূর্তকে । স্বাগত জানাই । নাঈমা , থামবেন না , এগিয়ে যান। ওভমন্তু ! (জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়)