মেলবোর্ন হতে ২৫৭ কিলোমিটার দূরে লেখক এর বাড়ি, অস্ট্রেলিয়ার উওরপূর্বে ভিক্টোরিয়ার শহর বিচওয়ার্থে সর্ববৃহৎ বেকারির মালিক লেখক।একটা সময় ছিল এই শহরের কোন কৃতিত্ব ছিল না,ছিল দারিদ্র্যতা,শহরটি ছিল ধীরগতীর।
এই শহরটি এখন পর্যটক দের আকর্ষণ এর কেন্দ্র বিন্দু তে পরিণত হল,এর একটি কারন হল এই
বিচওয়ার্থ বেকারী।
লেখক “টম ও টুল” এর জীবন শুরু হয়েছে অনেক কষ্টে,সে বেকারীতে রূটি বানানোর কারিগর ছিল,তার কাজ কে সে মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসতো,পরে অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে সে একটা বেকারি কিনলো,পরে আস্তে আস্তে এর অনেক শাখা খুললো,পরে ৫০ টি বেকারীর মালিক হল।তবে তার ব্যবসায়ীক টেকনিক গুলো ছিল আলাদা।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তার টেকলিক ফলো করা হয়,তাকে বক্তা হিসাবে ডাকা হয়।
নিচে বই এর ব্যবসায়িক কিছু টেকনিক তুলে ধরা হল।
সকল কর্মচারীদের পারিশ্রমিক এর টাকা নোটিশ বোর্ড ঝুলিয়ে রাখে।সপ্তাহ টি খারাপ না ভাল
নোটিশ বোর্ড এ অঙ্কের পরিমান দেখলে বুজা যাবে।আর এতে কর্মচারীদের কাজের দক্ষতা ও বেড়ে যায়।
তার বেকারীতে তিনটি নিয়ম চালু আছে,
১ম নিয়ম-গ্রাহকের দেখাশুনা কর।
২য় নিয়ম-গ্রাহকের দেখাশুনা কর।
৩য় নিয়ম-গ্রাহকের দেখাশুনা কর।
মাসের পর মাস লাগে একজন গ্রাহক তৈরি করতে,মাত্র এক সেকেন্ড খরচ হয় তাকে হারাতে।তাই সে গ্রাহক এর ব্যাপারে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে।
টম কখনো টেলিভিশন দেখে না,টেলিভিশন দেখা মানে জীবন এর সময় লুট করা।বিগত ২০ বছর সে টেভি দেখে না,কারন টেভিতে প্রায় একই জিনিস দেখায়,,,খুন৷ ডাকাতি,,, মৃত্যু.. অপহরন
তবে সে খবরের কাগজ পড়ে,,,আপডেট নিউজ পড়ার জন্য।এতে সময় কম ব্যয় হয়।
সর্বশ্রেষ্ঠ উৎপাদন সময় থাকতে পারে।
আপনার, তাছাড়া সর্বশ্রেষ্ঠ বিপণন কৌশল থাকলেই বা কী, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ।
আপনার হাতে না থাকলে আপনি হবেন ইদুরের লালা।
মাঝারি মানের চিন্তা মাঝারি মানের ফলাফলকেই আকর্ষণ করে এবং সুবৃহৎ চিন্তা
সুবৃহৎ ফলাফলকে আকর্ষণ করে। অতএব বিশাল ফলাফল পেতে হলে বিশাল চিন্তা করতে হবে আপনাকে।
কর্মচারীরাই ব্যবসার মূল সম্পদ,আমাদের কর্মীরা হচ্ছে ব্যবসার মূল বিনিয়ােগকারী-ওরা তাদের প্রাণশক্তি এবং কল্পনাকে বিনিয়ােগ করে আমাদের ব্যবসাতে। ওরা না থাকলে ব্যবসাও
থাকবে না।
দুধ কিংবা পাউরুটি যে কোনাে দোকান থেকে কিনতে পারেন আপনি,
বিচওয়ার্থ বেকারি থেকে কেন কিনবেন
ওটা শুধু ওদের জন্য।
আমার ম্যানেজারদের প্রায়ই বলি, 'দৃষ্টিভঙ্গি যাচাই করে নিয়ােগ কর এবং
দক্ষতার প্রশিক্ষণ দাও ওদের ' সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন একজন কর্মী নিয়ােগ করার অর্থ তিন চতুর্থাংশ প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করে ফেলা। দক্ষতা তার যতই বেশি থাকুক না কেন কিন্তু খারাপ দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন কোনাে মানুষের স্বভাব পাল্টানে মারাত্মক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
আমার কর্মচারীরাও সকল সামগ্রীকে রােজ একই স্থানে সাজিয়ে রাখতে চাই।কারণ প্রক্রিয়াটি সহজ। রােজকার এই নকশাকে ভেঙে ফেলতে পছন্দ করি আমি।
বিভিন্ন জিনিসের ওপর গ্রাহকের নজর বুলাতে বাধ্য করুন। রোজকার গ্রাহক
হলে বলবে, 'আপনাদের স্টিকগুলাে আজ কোথায় গেল?' ওরা দেখতে
পাবে না কারণ স্টিকগুলাে অন্যত্র সরানাে হয়েছে আজ। কাঙিক্ষত জিনিসটি।
খুজতে হবে অন্যত্র এবং খুজতে গিয়েই চোখ পড়বে তার আরেকটি জিনিসের
ওপর, হয়ত এর আগে জানাই ছিল না গ্রাহকের যে বস্তুটি আমার দোকানে আছে।
তখন বলবে তারা, “ওহ, আপনারা পামকিন ব্রেডও দেখছি তৈরি করেন ওটাও লাগবে আমার একটি।
by: Iqbal Hosen Rubel
Publisher:
ঐতিহ্য
Category:
ব্যবসা, বিনিয়োগ ও অর্থনীতি
ISBN:
Number of pages: -