দারুচিনি দ্বীপ(হার্ডকভার)

(author),
150 TK 112 TK
- Pages
  • Save 38 Tk.

Description
পড়াশোনার বেড়াজাল থেকে বের হয়ে এক ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেয় একদল তরুণ। জায়গা হিসেবে তারা বেছে নেয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে। সেখানকার জোছনা রাত উপভোগেরও বিভিন্ন কল্পনা তারা করতে থাকে। তারা এই প্রজেক্টের নাম দেয় ‘প্রজেক্ট দারুচিনি দ্বীপ’। এই প্রজেক্টকে ঘিরে চলতে থাকে তাদের নানান জল্পনা-কল্পনা। প্রথমে সঞ্জু, মোতালেব , রানা, বল্টুরা প্ল্যান করে যাওয়ার জন্য। শুভ্রকে তারা কোনমতেই নিতে রাজি না। কারণ সে চোখে কম দেখে। সে যাওয়া মানে একটা ঝামেলা। তবে এই দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে শুভ্রর বাবা-মার তেমন কোনো আপত্তি নেই। অপরদিকে দলের সাথে মেয়ে নিতে কোনোমতেই রাজি না ছেলেরা। তাদের ধারণা মেয়েরা সাথে গেলে ছুটির মজাটা ঠিকভাবে উপভোগ করা যায় না। তবে মেয়েদের প্রতিনিধি হিসেবে আনুশকা নাছোড়বান্দা। তার একটাই কথা, যে ছেলেদের সাথে তারা পাঁচজন মেয়েও যেতে চায়। এবং এই সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনোভাবেই নড়ানো যায় না। এদিকে আগে থেকেই মাকে টাকার কথা বলে রেখেছে সঞ্জু। বাবাকে বলার সাহস পায় নি। তার মাও কোনমতে টাকা জোগাড় করে রেখেছিল ছেলের জন্য। কিন্তু যেদিন টাকা দেওয়ার কথা সেদিন টাকা পাওয়া গেল না। বল্টুর হাতে টাকা পয়সা নেই। সে যেতে পারবে কিনা তারও ঠিক নেই। তবুও সে আশা ছাড়ে নি। সে তার ছাত্রের কাছে টাকা ধার হিসেবে চেয়ে রেখেছে। ওদিকে মুনাকে যে বল্টুর বেশ ভালো লাগে সে কথা সঞ্জুকে এখনো বলে নি বল্টু। যদি বন্ধু তার সাথে রাগ করে, সে আশংকায়। তবে এদিক দিয়ে মুনা মুখে কিছু প্রকাশ না করলেও তারও যে বল্টুর প্রতি কিছুটা দুর্বলতা আছে। বল্টু ফুটো স্যুয়েটার দুই বছর ধরে গায়ে দেয় বলে মুনা তাকে একটা নতুন স্যুয়েটার কিনে দেয় এবং সেন্ট মার্টিনে গিয়ে সেটা পড়তে বলে। ওদিকে অভাবের কারণে নিজের বেরাতে যাওয়ার চিন্তা আগেই মাথা থেকে বাদ দিয়েছিল জরী। নিজের বড় চাচার পছন্দ করা ছেলে মনিরুদ্দিনের সাথে বিয়ে ঠিক হয় জরীর। একদিন দুপুরে মনিরুদ্দিন জরীকে নিয়ে খেতে বের হয়। তখন গাড়িতে বসে সে জরীর হাঁটুতে এবং কাঁধে হাত রাখে, যা জরীর খুব বিরক্ত লাগে। তারপরেও সে কিছু বলে না। কিন্তু যখন মনিরুদ্দিন নিজের সীমা অতিক্রম করে, তখন সে আর সহ্য করতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে যায়। এবং বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানায় তাদের সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার কথা। ওদিকে মনিরুদ্দিন জরীর চাচাকে ফোন করে কথা শোনানোর জন্য সেদিন রাতেই তার বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার কথা ঠিক করা হয়। সময়মতো সবাই এসে পৌঁছেছে স্টেশনে। কিন্তু বল্টু কই? তাকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ সে টাকাটা জোগাড় করতে পারে নি। তবে সেও স্টেশনে এসেছে, কিন্তু সে ছিল সবার চোখের আড়ালে। দূরে দাঁড়িয়ে। সঞ্জুকে ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য এসেছে তার বাবা এবং মুনা। মুনাও খুঁজছে বল্টুকে। হঠাৎ তাকে দেখতে পেল মুনা। কিন্তু টেন তো ওদিকে ছেড়ে দিয়েছে! কি করবে এখন মুনা? কি করবে এখন বল্টু? জরীর কি বিয়ে হয়ে যাবে মনিরুদ্দিননের সাথে? তাহলে কি সে সবার সাথে যেতে পারবে না সেন্ট মার্টিন দ্বীপে? উত্তর রয়েছে বইটিতে। by: Shahrul Islam Sayem

Publisher: অনুপম প্রকাশনী
ISBN:
Number of pages: -


REVIEWS
পড়াশোনার বেড়াজাল থেকে বের হয়ে এক ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেয় একদল তরুণ। জায়গা হিসেবে তারা বেছে নেয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে। সেখানকার জোছনা রাত উপভোগেরও বিভিন্ন কল্পনা তারা করতে থাকে। তারা এই প্রজেক্টের নাম দেয় ‘প্রজেক্ট দারুচিনি দ্বীপ’। এই প্রজেক্টকে ঘিরে চলতে থাকে তাদের নানান জল্পনা-কল্পনা। প্রথমে সঞ্জু, মোতালেব , রানা, বল্টুরা প্ল্যান করে যাওয়ার জন্য। শুভ্রকে তারা কোনমতেই নিতে রাজি না। কারণ সে চোখে কম দেখে। সে যাওয়া মানে একটা ঝামেলা। তবে এই দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে শুভ্রর বাবা-মার তেমন কোনো আপত্তি নেই। অপরদিকে দলের সাথে মেয়ে নিতে কোনোমতেই রাজি না ছেলেরা। তাদের ধারণা মেয়েরা সাথে গেলে ছুটির মজাটা ঠিকভাবে উপভোগ করা যায় না। তবে মেয়েদের প্রতিনিধি হিসেবে আনুশকা নাছোড়বান্দা। তার একটাই কথা, যে ছেলেদের সাথে তারা পাঁচজন মেয়েও যেতে চায়। এবং এই সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনোভাবেই নড়ানো যায় না। এদিকে আগে থেকেই মাকে টাকার কথা বলে রেখেছে সঞ্জু। বাবাকে বলার সাহস পায় নি। তার মাও কোনমতে টাকা জোগাড় করে রেখেছিল ছেলের জন্য। কিন্তু যেদিন টাকা দেওয়ার কথা সেদিন টাকা পাওয়া গেল না। বল্টুর হাতে টাকা পয়সা নেই। সে যেতে পারবে কিনা তারও ঠিক নেই। তবুও সে আশা ছাড়ে নি। সে তার ছাত্রের কাছে টাকা ধার হিসেবে চেয়ে রেখেছে। ওদিকে মুনাকে যে বল্টুর বেশ ভালো লাগে সে কথা সঞ্জুকে এখনো বলে নি বল্টু। যদি বন্ধু তার সাথে রাগ করে, সে আশংকায়। তবে এদিক দিয়ে মুনা মুখে কিছু প্রকাশ না করলেও তারও যে বল্টুর প্রতি কিছুটা দুর্বলতা আছে। বল্টু ফুটো স্যুয়েটার দুই বছর ধরে গায়ে দেয় বলে মুনা তাকে একটা নতুন স্যুয়েটার কিনে দেয় এবং সেন্ট মার্টিনে গিয়ে সেটা পড়তে বলে। ওদিকে অভাবের কারণে নিজের বেরাতে যাওয়ার চিন্তা আগেই মাথা থেকে বাদ দিয়েছিল জরী। নিজের বড় চাচার পছন্দ করা ছেলে মনিরুদ্দিনের সাথে বিয়ে ঠিক হয় জরীর। একদিন দুপুরে মনিরুদ্দিন জরীকে নিয়ে খেতে বের হয়। তখন গাড়িতে বসে সে জরীর হাঁটুতে এবং কাঁধে হাত রাখে, যা জরীর খুব বিরক্ত লাগে। তারপরেও সে কিছু বলে না। কিন্তু যখন মনিরুদ্দিন নিজের সীমা অতিক্রম করে, তখন সে আর সহ্য করতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে যায়। এবং বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানায় তাদের সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার কথা। ওদিকে মনিরুদ্দিন জরীর চাচাকে ফোন করে কথা শোনানোর জন্য সেদিন রাতেই তার বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার কথা ঠিক করা হয়। সময়মতো সবাই এসে পৌঁছেছে স্টেশনে। কিন্তু বল্টু কই? তাকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ সে টাকাটা জোগাড় করতে পারে নি। তবে সেও স্টেশনে এসেছে, কিন্তু সে ছিল সবার চোখের আড়ালে। দূরে দাঁড়িয়ে। সঞ্জুকে ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য এসেছে তার বাবা এবং মুনা। মুনাও খুঁজছে বল্টুকে। হঠাৎ তাকে দেখতে পেল মুনা। কিন্তু টেন তো ওদিকে ছেড়ে দিয়েছে! কি করবে এখন মুনা? কি করবে এখন বল্টু? জরীর কি বিয়ে হয়ে যাবে মনিরুদ্দিননের সাথে? তাহলে কি সে সবার সাথে যেতে পারবে না সেন্ট মার্টিন দ্বীপে? উত্তর রয়েছে বইটিতে। by: Shahrul Islam Sayem
পড়াশোনার বেড়াজাল থেকে বের হয়ে এক ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেয় একদল তরুণ। জায়গা হিসেবে তারা বেছে নেয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে। সেখানকার জোছনা রাত উপভোগেরও বিভিন্ন কল্পনা তারা করতে থাকে। তারা এই প্রজেক্টের নাম দেয় ‘প্রজেক্ট দারুচিনি দ্বীপ’। এই প্রজেক্টকে ঘিরে চলতে থাকে তাদের নানান জল্পনা-কল্পনা। প্রথমে সঞ্জু, মোতালেব , রানা, বল্টুরা প্ল্যান করে যাওয়ার জন্য। শুভ্রকে তারা কোনমতেই নিতে রাজি না। কারণ সে চোখে কম দেখে। সে যাওয়া মানে একটা ঝামেলা। তবে এই দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে শুভ্রর বাবা-মার তেমন কোনো আপত্তি নেই। অপরদিকে দলের সাথে মেয়ে নিতে কোনোমতেই রাজি না ছেলেরা। তাদের ধারণা মেয়েরা সাথে গেলে ছুটির মজাটা ঠিকভাবে উপভোগ করা যায় না। তবে মেয়েদের প্রতিনিধি হিসেবে আনুশকা নাছোড়বান্দা। তার একটাই কথা, যে ছেলেদের সাথে তারা পাঁচজন মেয়েও যেতে চায়। এবং এই সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনোভাবেই নড়ানো যায় না। এদিকে আগে থেকেই মাকে টাকার কথা বলে রেখেছে সঞ্জু। বাবাকে বলার সাহস পায় নি। তার মাও কোনমতে টাকা জোগাড় করে রেখেছিল ছেলের জন্য। কিন্তু যেদিন টাকা দেওয়ার কথা সেদিন টাকা পাওয়া গেল না। বল্টুর হাতে টাকা পয়সা নেই। সে যেতে পারবে কিনা তারও ঠিক নেই। তবুও সে আশা ছাড়ে নি। সে তার ছাত্রের কাছে টাকা ধার হিসেবে চেয়ে রেখেছে। ওদিকে মুনাকে যে বল্টুর বেশ ভালো লাগে সে কথা সঞ্জুকে এখনো বলে নি বল্টু। যদি বন্ধু তার সাথে রাগ করে, সে আশংকায়। তবে এদিক দিয়ে মুনা মুখে কিছু প্রকাশ না করলেও তারও যে বল্টুর প্রতি কিছুটা দুর্বলতা আছে। বল্টু ফুটো স্যুয়েটার দুই বছর ধরে গায়ে দেয় বলে মুনা তাকে একটা নতুন স্যুয়েটার কিনে দেয় এবং সেন্ট মার্টিনে গিয়ে সেটা পড়তে বলে। ওদিকে অভাবের কারণে নিজের বেরাতে যাওয়ার চিন্তা আগেই মাথা থেকে বাদ দিয়েছিল জরী। নিজের বড় চাচার পছন্দ করা ছেলে মনিরুদ্দিনের সাথে বিয়ে ঠিক হয় জরীর। একদিন দুপুরে মনিরুদ্দিন জরীকে নিয়ে খেতে বের হয়। তখন গাড়িতে বসে সে জরীর হাঁটুতে এবং কাঁধে হাত রাখে, যা জরীর খুব বিরক্ত লাগে। তারপরেও সে কিছু বলে না। কিন্তু যখন মনিরুদ্দিন নিজের সীমা অতিক্রম করে, তখন সে আর সহ্য করতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে যায়। এবং বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানায় তাদের সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার কথা। ওদিকে মনিরুদ্দিন জরীর চাচাকে ফোন করে কথা শোনানোর জন্য সেদিন রাতেই তার বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার কথা ঠিক করা হয়। সময়মতো সবাই এসে পৌঁছেছে স্টেশনে। কিন্তু বল্টু কই? তাকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ সে টাকাটা জোগাড় করতে পারে নি। তবে সেও স্টেশনে এসেছে, কিন্তু সে ছিল সবার চোখের আড়ালে। দূরে দাঁড়িয়ে। সঞ্জুকে ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য এসেছে তার বাবা এবং মুনা। মুনাও খুঁজছে বল্টুকে। হঠাৎ তাকে দেখতে পেল মুনা। কিন্তু টেন তো ওদিকে ছেড়ে দিয়েছে! কি করবে এখন মুনা? কি করবে এখন বল্টু? জরীর কি বিয়ে হয়ে যাবে মনিরুদ্দিননের সাথে? তাহলে কি সে সবার সাথে যেতে পারবে না সেন্ট মার্টিন দ্বীপে? উত্তর রয়েছে বইটিতে। by: Shahrul Islam Sayem

Publisher: অনুপম প্রকাশনী
Category: উপন্যাস
ISBN:
Number of pages: -

Related Products