আরশিনগর

গ্রামের নাম যযাতিপুর। ভরা বরষার দিনে যখন চারদিকে বন্যার জলে ভেসে যাচ্ছে ঠিক তখনি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে নীলুফা বেগম মারা যাচ্ছে। মারা যাওয়ার সময় তার সন্তানকে শাশুড়ি আম্বরি বেগমের হাতে তুলে দিয়ে যান। আর তার নাম দিতে বলেন আরশি। কারণ তার চোখ আয়নার মত সচ্ছ রয়েছে এক বিচিএ মায়া। নীলুফা বেগম মারা যাওয়ার পর, আরশি তার দাদি আম্বরি বেগমের ছায়ায় বড় হতে থাকে। পালটে গেল বাবা মজিবর এর দারিদ্র্যতার দিন। আরশি খুব চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে। কোন বিষয়ে যেন তার কোন অভিযোগ নেই। বাবা ও দাদির ছায়ায় বেড়ে ওঠা আরশি হঠাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ শুরু করলো। সেই সাথে যুদ্ধ করে গেলো গ্রামের ইমাম আকরাম হোসেন ও গ্রামের প্রভাবশালী আতাহার তালুকদারের ছেলে বউ রুবিনা। এ যাত্রায় বেঁচে গেলো আরশি কিন্তু তারপর তার জীবনে এর সৎ মা লাইলি। শুরু হল অত্যাচার। এরই মধ্যে লতু হাওলাদার নামের নরপশুর মুখোমুখি হতে হয় মজিবরকে, হয়ে যায় পঙ্গু। এক ঝড়বৃষ্টির রাতে নিজের জীবন বাঁচাতে আরশি পালালো গ্রামের ইমাম আকরামের সাথে। গল্পের অন্যদিকে রয়েছে শুকরঞ্জন ডাক্তার যার ছেলে আশিষ যে বিয়ে করে মিলি নামের এক মুসলিম মেয়েকে। শুকরঞ্জন ডাক্তার ব্যাপারটা মেনে নিলেও তার স্ত্রী মেনে নেয় নি। কিন্তু যখন শুনেছে মিলি সন্তানসম্ভবা তখনি ছুটে গিয়েছে। মিলির ছেলে হয় নাম রাখা হয় সকাল। কিন্তু বছর কয়েক বাদে এক দুর্ঘটনায় ওপারে চলে যায় সকাল আর মিলি হারিয়ে ফেলে তার মানসিক ভারসাম্য। কি হবে তারপর তাদের জীবনে? কি হলো রাতের আঁধারে ঝড়বৃষ্টির মাঝে নিজেকে বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়া ছোট্ট সেই আরশির? কেনোই বা পালিয়ে গেলো আরশি? কি হলো ছেলে কে হারিয়ে পাগলপ্রায় সেই মায়ের? কিভাবে কাটালো আরশির বাবার অধমৃত হয়ে থাকার সেই জীবন? অথবা কখনো কি বাবা মজিবর দেখা পাবে তার সেই ছোট আরশির? by: Asha Mim