নিঃশব্দ(হার্ডকভার)

(author),
450 TK 337 TK
- Pages
  • Save 113 Tk.

Description
দেশ ভাগটা কেবলই যেন ধর্মের রেশ ধরে। নিজেদের শিকড় উপরে তাই হতে হয়েছে দেশান্তরী। তবে তা মোটেই যে ইচ্ছের নয়। বাপ দাদার ভিটে মাটি ছেড়ে যাবার ইচ্ছে তাদের কোন কালেই ছিলল না। তবে ভারতবর্ষ মানেই হিন্দুর দেশ, মুসলমানের ঠিকানা পূর্বপাকিস্তান মানে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের কোলঘেষে বয়ে চলা ইছামতী নদী, যার এককূলে ভারত অন্যদিকে বাংলাদেশ। কাঁটাতারের বেড়ায় অাটকে গেল তাদের অবাধ যাতায়াত। লুকিয়ে চুরিয়ে অাসতে গেলেও ধরা পরলে বন্ধুকের নলের মুখে দিতে হয় প্রাণ। যে মাটিকে ভালোবেসে একহাড়ির ভাত খেত হিন্দু মুসলিম, একই যাদের মায়ের ভাষা তারাই হয়ে গেল একে অন্যের শত্রু। দেশ ভাগকে কেন্দ্র করে বাঙালির যে মর্মভেদী অার্তনাদ সেই সব কাহিনী গেঁথেই পটভূমি রচনা নিঃশব্দের। ইছামতির পাড়ে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকে চার/ পাঁচ বছরের এক ছোট্ট ছেলে অপু তাকে ঘিরেই এ উপন্যাস। যদিও অপুর কোন সংলাপ উপন্যাসে নাই অার এখানেই যেন নামকরনের স্বার্থকতা গল্পের। সোমনাথের বাবা সৌমেন বিশ্বাস ছিল মোজাফফর সরদারের আড়তের মুহুরি। ব্যবসার থেকেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটাই বেশি ছিল যেন। তাই হঠাৎ সৌমেনর মৃত্যু হলে সরদার দিশেহারা হয়ে পরে। সোমনাথই তাই হাল ধরে ব্যবসার এক বিপদ থেকে সরদারকে হাত ধরে তুলতে গিয়ে অন্য বিপদে ফেলে দেয় যেন। ভেতর বাড়িতে যাতায়াত করার ফলে এক সময় সরদারের মেয়ে নাসিমা দুর্বল হয়ে পড়ে সোমনাথের উপর। পালিয়ে বাঁচতেই যেন নিজের অবস্থান ঢাকায় ফিরে অাসে সোমনাথ কিন্তু ভালোবাসার টানে ধর্মের শৃঙ্খল ভেঙ্গে সোমনাথের কাছে এসে ওঠে নাসিমা। উঁচুজাতের প্রেমিকা নিধি তাকে মেনে নিতে না পারলেও ভিন্ন ধর্মের নাসিমার ভালোবাসার কাছে হেরে যায় সোমনাথ। তাই অার ফিরিয়ে দিতে পারে না নাসিমাকে। একসময় জন্ম হয় অপুর কিন্তু বিধিবাম হলে যা হয় সন্তানের জীবন বাঁচাতে শীতের রাতেই সোমনাথকে পারি দিতে হয় ইছামতি। নদীর এপারে থেকে যায় মা নাসিমা। সোমনাথের দূর সম্পর্কের অাত্মীয় ভারতী দেবী। অল্প বয়সে বিধবা হবার পর খেটে খুঁটে সন্তাদের মানুষ করলেও বৃদ্ধ বয়সে ভাইয়ের সন্তাই যার ভরসা হয়। অভাবের সাথে সংগ্রাম করে প্রতিনিয়ত যে বেঁচে থাকার লড়াই করে যায়। ক্ষুধার জ্বালায় যেখানে নিজ ভাই, ভাইয়ের বৌয়ের অপমৃত্যু দেখতে হয়েছে তাকে। অাট মাস বয়সী অপুকে নিয়ে তার কাছেই এসে ওঠে সোমনাথ। অভাবের সংসারের মুখ বাড়লেও কখনো অবহেলা করেনি অপুকে ভারতী দেবী। তার মায়াময় চোখের দিকে তাকিয়ে যেন সব ভুলে থাকা যায়। কিন্তু এভাবে তো সংসার চলে না। একদিন তাই সোমনাথ বাংলাদেশে ফেলে রাখা জমি বিক্রি করতে অাসে। দিনের পর দিন চলে যায় সোমনাথ অার ফিরে অাসে না। এদিকে অসুস্থ হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে অপু। শোক সামলাতে না পেরে অপুর একমাত্র অাশ্রয়কেন্দ্র ভারতীদেবীও পৃথিবী থেকে নিঃশব্দে প্রস্থান করে। নানা ঘরে নানান জনের ভালোবাসা কিংবা অনাদরে বেড়ে ওঠে অপু। অপু থেকে কখনো কখনো অপয়া বলতেও তাই দ্বিধা হয় না মাতৃতুল্য শোভা, ফুফু এমনকি পাড়ার মানুষদের। নিরব অভিমান বিসর্জন কিংবা বাবার প্রতিক্ষায়ই হয়তো সে দাঁড়িয়ে থাকে নদীর কিনারায়। by: Tasnim Rime

Publisher: নালন্দা
ISBN:
Number of pages: -


REVIEWS
দেশ ভাগটা কেবলই যেন ধর্মের রেশ ধরে। নিজেদের শিকড় উপরে তাই হতে হয়েছে দেশান্তরী। তবে তা মোটেই যে ইচ্ছের নয়। বাপ দাদার ভিটে মাটি ছেড়ে যাবার ইচ্ছে তাদের কোন কালেই ছিলল না। তবে ভারতবর্ষ মানেই হিন্দুর দেশ, মুসলমানের ঠিকানা পূর্বপাকিস্তান মানে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের কোলঘেষে বয়ে চলা ইছামতী নদী, যার এককূলে ভারত অন্যদিকে বাংলাদেশ। কাঁটাতারের বেড়ায় অাটকে গেল তাদের অবাধ যাতায়াত। লুকিয়ে চুরিয়ে অাসতে গেলেও ধরা পরলে বন্ধুকের নলের মুখে দিতে হয় প্রাণ। যে মাটিকে ভালোবেসে একহাড়ির ভাত খেত হিন্দু মুসলিম, একই যাদের মায়ের ভাষা তারাই হয়ে গেল একে অন্যের শত্রু। দেশ ভাগকে কেন্দ্র করে বাঙালির যে মর্মভেদী অার্তনাদ সেই সব কাহিনী গেঁথেই পটভূমি রচনা নিঃশব্দের। ইছামতির পাড়ে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকে চার/ পাঁচ বছরের এক ছোট্ট ছেলে অপু তাকে ঘিরেই এ উপন্যাস। যদিও অপুর কোন সংলাপ উপন্যাসে নাই অার এখানেই যেন নামকরনের স্বার্থকতা গল্পের। সোমনাথের বাবা সৌমেন বিশ্বাস ছিল মোজাফফর সরদারের আড়তের মুহুরি। ব্যবসার থেকেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটাই বেশি ছিল যেন। তাই হঠাৎ সৌমেনর মৃত্যু হলে সরদার দিশেহারা হয়ে পরে। সোমনাথই তাই হাল ধরে ব্যবসার এক বিপদ থেকে সরদারকে হাত ধরে তুলতে গিয়ে অন্য বিপদে ফেলে দেয় যেন। ভেতর বাড়িতে যাতায়াত করার ফলে এক সময় সরদারের মেয়ে নাসিমা দুর্বল হয়ে পড়ে সোমনাথের উপর। পালিয়ে বাঁচতেই যেন নিজের অবস্থান ঢাকায় ফিরে অাসে সোমনাথ কিন্তু ভালোবাসার টানে ধর্মের শৃঙ্খল ভেঙ্গে সোমনাথের কাছে এসে ওঠে নাসিমা। উঁচুজাতের প্রেমিকা নিধি তাকে মেনে নিতে না পারলেও ভিন্ন ধর্মের নাসিমার ভালোবাসার কাছে হেরে যায় সোমনাথ। তাই অার ফিরিয়ে দিতে পারে না নাসিমাকে। একসময় জন্ম হয় অপুর কিন্তু বিধিবাম হলে যা হয় সন্তানের জীবন বাঁচাতে শীতের রাতেই সোমনাথকে পারি দিতে হয় ইছামতি। নদীর এপারে থেকে যায় মা নাসিমা। সোমনাথের দূর সম্পর্কের অাত্মীয় ভারতী দেবী। অল্প বয়সে বিধবা হবার পর খেটে খুঁটে সন্তাদের মানুষ করলেও বৃদ্ধ বয়সে ভাইয়ের সন্তাই যার ভরসা হয়। অভাবের সাথে সংগ্রাম করে প্রতিনিয়ত যে বেঁচে থাকার লড়াই করে যায়। ক্ষুধার জ্বালায় যেখানে নিজ ভাই, ভাইয়ের বৌয়ের অপমৃত্যু দেখতে হয়েছে তাকে। অাট মাস বয়সী অপুকে নিয়ে তার কাছেই এসে ওঠে সোমনাথ। অভাবের সংসারের মুখ বাড়লেও কখনো অবহেলা করেনি অপুকে ভারতী দেবী। তার মায়াময় চোখের দিকে তাকিয়ে যেন সব ভুলে থাকা যায়। কিন্তু এভাবে তো সংসার চলে না। একদিন তাই সোমনাথ বাংলাদেশে ফেলে রাখা জমি বিক্রি করতে অাসে। দিনের পর দিন চলে যায় সোমনাথ অার ফিরে অাসে না। এদিকে অসুস্থ হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে অপু। শোক সামলাতে না পেরে অপুর একমাত্র অাশ্রয়কেন্দ্র ভারতীদেবীও পৃথিবী থেকে নিঃশব্দে প্রস্থান করে। নানা ঘরে নানান জনের ভালোবাসা কিংবা অনাদরে বেড়ে ওঠে অপু। অপু থেকে কখনো কখনো অপয়া বলতেও তাই দ্বিধা হয় না মাতৃতুল্য শোভা, ফুফু এমনকি পাড়ার মানুষদের। নিরব অভিমান বিসর্জন কিংবা বাবার প্রতিক্ষায়ই হয়তো সে দাঁড়িয়ে থাকে নদীর কিনারায়। by: Tasnim Rime
দেশ ভাগটা কেবলই যেন ধর্মের রেশ ধরে। নিজেদের শিকড় উপরে তাই হতে হয়েছে দেশান্তরী। তবে তা মোটেই যে ইচ্ছের নয়। বাপ দাদার ভিটে মাটি ছেড়ে যাবার ইচ্ছে তাদের কোন কালেই ছিলল না। তবে ভারতবর্ষ মানেই হিন্দুর দেশ, মুসলমানের ঠিকানা পূর্বপাকিস্তান মানে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের কোলঘেষে বয়ে চলা ইছামতী নদী, যার এককূলে ভারত অন্যদিকে বাংলাদেশ। কাঁটাতারের বেড়ায় অাটকে গেল তাদের অবাধ যাতায়াত। লুকিয়ে চুরিয়ে অাসতে গেলেও ধরা পরলে বন্ধুকের নলের মুখে দিতে হয় প্রাণ। যে মাটিকে ভালোবেসে একহাড়ির ভাত খেত হিন্দু মুসলিম, একই যাদের মায়ের ভাষা তারাই হয়ে গেল একে অন্যের শত্রু। দেশ ভাগকে কেন্দ্র করে বাঙালির যে মর্মভেদী অার্তনাদ সেই সব কাহিনী গেঁথেই পটভূমি রচনা নিঃশব্দের। ইছামতির পাড়ে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকে চার/ পাঁচ বছরের এক ছোট্ট ছেলে অপু তাকে ঘিরেই এ উপন্যাস। যদিও অপুর কোন সংলাপ উপন্যাসে নাই অার এখানেই যেন নামকরনের স্বার্থকতা গল্পের। সোমনাথের বাবা সৌমেন বিশ্বাস ছিল মোজাফফর সরদারের আড়তের মুহুরি। ব্যবসার থেকেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটাই বেশি ছিল যেন। তাই হঠাৎ সৌমেনর মৃত্যু হলে সরদার দিশেহারা হয়ে পরে। সোমনাথই তাই হাল ধরে ব্যবসার এক বিপদ থেকে সরদারকে হাত ধরে তুলতে গিয়ে অন্য বিপদে ফেলে দেয় যেন। ভেতর বাড়িতে যাতায়াত করার ফলে এক সময় সরদারের মেয়ে নাসিমা দুর্বল হয়ে পড়ে সোমনাথের উপর। পালিয়ে বাঁচতেই যেন নিজের অবস্থান ঢাকায় ফিরে অাসে সোমনাথ কিন্তু ভালোবাসার টানে ধর্মের শৃঙ্খল ভেঙ্গে সোমনাথের কাছে এসে ওঠে নাসিমা। উঁচুজাতের প্রেমিকা নিধি তাকে মেনে নিতে না পারলেও ভিন্ন ধর্মের নাসিমার ভালোবাসার কাছে হেরে যায় সোমনাথ। তাই অার ফিরিয়ে দিতে পারে না নাসিমাকে। একসময় জন্ম হয় অপুর কিন্তু বিধিবাম হলে যা হয় সন্তানের জীবন বাঁচাতে শীতের রাতেই সোমনাথকে পারি দিতে হয় ইছামতি। নদীর এপারে থেকে যায় মা নাসিমা। সোমনাথের দূর সম্পর্কের অাত্মীয় ভারতী দেবী। অল্প বয়সে বিধবা হবার পর খেটে খুঁটে সন্তাদের মানুষ করলেও বৃদ্ধ বয়সে ভাইয়ের সন্তাই যার ভরসা হয়। অভাবের সাথে সংগ্রাম করে প্রতিনিয়ত যে বেঁচে থাকার লড়াই করে যায়। ক্ষুধার জ্বালায় যেখানে নিজ ভাই, ভাইয়ের বৌয়ের অপমৃত্যু দেখতে হয়েছে তাকে। অাট মাস বয়সী অপুকে নিয়ে তার কাছেই এসে ওঠে সোমনাথ। অভাবের সংসারের মুখ বাড়লেও কখনো অবহেলা করেনি অপুকে ভারতী দেবী। তার মায়াময় চোখের দিকে তাকিয়ে যেন সব ভুলে থাকা যায়। কিন্তু এভাবে তো সংসার চলে না। একদিন তাই সোমনাথ বাংলাদেশে ফেলে রাখা জমি বিক্রি করতে অাসে। দিনের পর দিন চলে যায় সোমনাথ অার ফিরে অাসে না। এদিকে অসুস্থ হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে অপু। শোক সামলাতে না পেরে অপুর একমাত্র অাশ্রয়কেন্দ্র ভারতীদেবীও পৃথিবী থেকে নিঃশব্দে প্রস্থান করে। নানা ঘরে নানান জনের ভালোবাসা কিংবা অনাদরে বেড়ে ওঠে অপু। অপু থেকে কখনো কখনো অপয়া বলতেও তাই দ্বিধা হয় না মাতৃতুল্য শোভা, ফুফু এমনকি পাড়ার মানুষদের। নিরব অভিমান বিসর্জন কিংবা বাবার প্রতিক্ষায়ই হয়তো সে দাঁড়িয়ে থাকে নদীর কিনারায়। by: Tasnim Rime

Publisher: নালন্দা
Category: উপন্যাস
ISBN:
Number of pages: -

Related Products