উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অপালা। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। অপালার মা হেলেনা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ এবং চিকিৎসার জন্য তিনি এখন লন্ডন আছেন।
অপালা বাবা ফখরুদ্দিন অত্যন্ত ধনাঢ্য ব্যক্তি । অপালার সাথে আকস্মিকভাবে পরিচয় হয় ফিরোজের। ফিরোজ েপশায় একজন হোম ডেকোরেটর। ফিরোজ অপালাদের বাড়ির বসার ঘরের ডেকোরেশন করার জন্যে এসেছিল। ফিরোজের প্রথম দেখাতেই অপালার প্রতি একটা ভাললাগা কাজ করতে থাকে। কিন্তু এ যে বড় অসম সম্পর্ক। তাই ফিরোজ বেশি দূর এগোনোর সাহস পায় না। কিন্তু বারবার ঘুরে-ফিরে নানা ছুতোয় অপালার কাছে আসতে থাকে। ওদিকে অপালা ফিরোজের প্রতি এক সহজাত ঔদাসীন্য দেখাতে থাকে।
ফিরোজ কী পারবে তার মনের কথা অপালাকে বলতে! আর যদি বলে তাহলে অপালা কী তা মেনে নেবে!
অপর দিকে ফিরোজের বাড়িওয়ালার মেয়ে লতিফার আবির্ভাব ঘটে গল্পে। ফিরোজের বাড়িওয়ালা কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা হাজি সাহেবকে তার মেয়ের বিয়ের পাত্র খুঁজে দেয়ার আশ্বাস দেয় ফিরোজ। কিন্তু হাজি সাহেবের মেয়ে লতিফার ছবি দেখে ফিরোজ বিস্মিত হয়ে যায়। এত সুন্দর মানুষ হতে পারে!
ফিরোজের বাসা ভাড়া দিতে হবে। প্রচুর টাকা বাকি পড়ে আছে। বাড়িওয়ালা নোটিশও দিয়ে দিয়েছে বাড়ি ছাড়ার। বাড়িওয়ালার হাত থেকে বাচারঁ জন্যই মিথ্যে ফাদঁ তৈরী করে।
এভাবে ফিরোজের সাথে অপালা আর লতিফা দুজনের কাহিনীই সমান্তরালভাবে চলতে থাকে।
বাবা তার ব্যবসায়ের কাজে দেশের বাইরে, মা হসপিটালে- এই একাকিত্বের ভেতরই কেটে যাচ্ছিল অপলার একাকিত্ব দিন। কিন্তু হটাৎই এক ঘটনায় উলটপালট হয়ে যায় অপালার জীবন। বাবার অফিসের এক দরিদ্র কর্মচারী তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত নিয়ে আসে অপালাদের বাড়িতে। অপালা কি ভেবে কৌতুহল বশত যেন সেই বাড়িতে যায়। সেই লোকটির মেয়েদের সাথে কথা বলে, গল্প করে। অজানা এক রহস্যের দ্বার উন্মোচিত হল, ওলটপালট করে দিল তার নিস্তরঙ্গ পৃথিবী। জানতে পারে এক রহস্যজনক কাহিনী। কী ছিল সেই রহস্য?
তারপর হয় অপালার? আর কি এমন কথাই সে জানতে পারে যার কারণে অপালার সাজানো জীবনটাকে উলটপালট করে দেয়?
জানতে হলে এক্ষুনি বইটা পড়ে ফেলুন।
by: Princezz Rehena
Publisher:
প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা
Category:
অন্যান্য
ISBN:
Number of pages: -