পরীর স্বপ্ন

(author),
125 TK 93 TK
- Pages
  • Save 32 Tk.

Description
মেয়েটির হাসিটি খুব সুন্দর কিন্তু তার শব্দ করে হাসতে মানা, মেয়েটির কান্নার শব্দটি অত্যন্ত করুণ কিন্তু তার কাঁদতে মানা। মেয়েটির হাঁটুনিতেও একটা আর্ট আছে কিন্তু তার ঘর থেকে বের হতে মানা। মেয়েটি এখন ক্লাস এইটের ছাত্রী, আগামীতে তার জে.এস.সি পরীক্ষা কিন্তু তার স্কুল যাওয়া বন্ধ। তার সবকিছু আটকা পড়েছে পারিবারিক বেড়াজালে। সে বাসায় বন্দী, তার কাজ শুধু ঘরে বসে অপেক্ষা করা। বিয়ের জন্য অপেক্ষা। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে চিরদিনের মতো উৎসর্গ করে সমাজের চিরাচরিত নিয়মে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্বামী-সংসার নিয়ে দিন কাটানোর জন্য তার শুধু অপেক্ষা। মেয়েটির নাম পরী। ডানাকাটা পরীর মতোই সুন্দর মেয়েটি। সে যেন রূপে-গুণে অনন্যা। তিন বোনের মধ্যে পরী সবার ছোট। সেই শৈশব থেকে অবহেলা, অনাদর আর অবজ্ঞার মধ্যে বড় হয়েছে। বাবা-মা কোনোদিন স্কুলে পাঠায়নি। নিজে ব্র্যাক স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একদিন স্কুলে ভর্তি হয়ে ক্লাস এইট পর্যন্ত এসেছে। এখন তার বাবা-মা’র মাথা ভূত চেপেছে, বিয়ের ভূত। পরীকে বিয়ে দেয়াই তাদের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একের পর এক বিয়ের সম্পর্ক আসছে। যেকোনো দিন বিয়ে হয়ে যেতে পারে কিন্তু সে নিজের চোখে দেখেছে বড় বোন শাপলার কম বয়সে একে একে দু’টি সন্তান জন্ম দিয়ে তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেছে আর সেজন্যই তার দুলাভাই আরেকটা বিয়ে করেছে। মেজো বোন নূরী। তারও বিয়ে হয়েছে অল্প বয়সে। দুর্ভাগ্যক্রমে সন্তান প্রসবের সময় সে মারা গেছে। চোখের সামনে একে একে দু’বোনের করুণ অবস্থা, ব্র্যাক স্কুলে লেখাপড়া আর ব্র্যাক কিশোরী ক্লাবে যাতায়াতের ফলে তার চোখ খুলে গেছে। পরী স্নেহ, আদর, যত্নে বড় হওয়া কোনো সাধারণ কিশোরী নয়। সে এখন মেয়েদের লেখাপড়া জানার সুফল, অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক অবস্থা জানা কিশোরী। তাই সে পথ খুঁজছে তার বিয়ে প্রতিরোধ করার। কয়েক দিন স্কুলে না পেয়ে একদিন পরীর বান্ধবী মালা এলো। মালাকে সে তাকে এখান থেকে উদ্ধার করার কৌশল বলে দিলো। তার পরামর্শ মতো মালা কাজ করলো। একদিন ব্রাকের এক নারী কর্মী তার বাবা-মা’কে বোঝালো কিন' কোনো কাজ হলো না। তারা পরীর বিয়েতে অনঢ়। তারপর এলো মহিলা মেম্বার। সে পরীর বাবা-মা’কে বাল্য বিবাহ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধের কথা জানালে তারা ভয় পেলো। পরীর স্কুল যাওয়া আবার শুরু হলো। পরী ভেবেছিলো সে বুঝি বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেলো। কিন' তার ধারণা ভুল। এবার তার বিয়ের আয়োজন শুরু হলো গোপনে, তার ফুপুর বাড়িতে। পরী এসব কিছুই জানতো না। একদিন পরীর মা তাকে নিয়ে ফুপুর বাড়িতে গেলো। পরীর ফুপুর কোনো ছেলেমেয়ে নেই। সে পরীকে খুব স্নেহ করে। পরী ভেবেছিলো ফুপু তো প্রায়ই তাকে নিয়ে যায় আবার ঘন ঘন তাদের বাড়িতে আসে। কিন' পরী তার ফুপুর বাড়িতে গিয়ে পড়লো আরেক ষড়যন্ত্রের মধ্যে। বিয়ে ঠিক হয়েছে তারই ফুপুর দেবরের ছেলের সঙ্গে। দিনের বেলা কোনো কথা নেই। সন্ধ্যার পর শুরু হলো বিয়ের আয়োজন। তেমন কোনো ধুম ধাম নেই। বরের বাড়ি পাশেই। এই দু’বাড়ি আর প্রতিবেশীসহ দশ বারো জন লোকের সমাগম হলো। প্রথমে পরী বুঝতে পারেনি কিন' যখন বুঝতে পেরেছে তখন আর পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। পরীকে বর পক্ষের লম্বা-চওড়া এক মহিলা একরকম জোর করে বিয়ের শাড়ি-গয়না পরালো, তাকে উঠানে এনে বসালো। নতুন বউকে দেখার জন্য সবাই তাকে ঘিরে ধরলো। কাজি সাহেব আঙিনায় সাজানো চেয়ারে বসে তার রেজিস্টারে বর-কনের নাম ঠিকানাসহ রেজিস্টারে সবকিছু লিখে ফেলেছে। কিছুক্ষণ পর কাজি সাহেব সাক্ষী হিসেবে তার সঙ্গে আরো কয়েকজন লোক আঙিনা থেকে উঠানের কাছে এলো। তারপর কাজি সাহেব বর কনে উভয়ের নাম ঠিাকান বলে জিজ্ঞেস করলো, আপনি রাজি আছেন? কাজি সাহেব এ প্রশ্নের না উত্তর জীবনে শোনেনি। তার ধারণা পরী কম বয়সের একটা মেয়ে হয়তো কাঁদতে কাঁদতে বলবে, হুঁ। কিন্তু তা হলো না। পরী উঠে দাঁড়ালো, কোমরে শাড়ির আঁচল বেঁধে দু’হাত কোমরে রেখে দাঁতে দাঁত চেপে জোরে চিৎকার দিয়ে বললো, না। (বাল্য বিবাহ বিরোধী অসাধারণ এক কিশোর উপন্যাস। যা কিশোরীদের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবে।)

Publisher: নওরোজ কিতাবিস্তান
ISBN: 9789844001275
Number of pages: -


REVIEWS
মেয়েটির হাসিটি খুব সুন্দর কিন্তু তার শব্দ করে হাসতে মানা, মেয়েটির কান্নার শব্দটি অত্যন্ত করুণ কিন্তু তার কাঁদতে মানা। মেয়েটির হাঁটুনিতেও একটা আর্ট আছে কিন্তু তার ঘর থেকে বের হতে মানা। মেয়েটি এখন ক্লাস এইটের ছাত্রী, আগামীতে তার জে.এস.সি পরীক্ষা কিন্তু তার স্কুল যাওয়া বন্ধ। তার সবকিছু আটকা পড়েছে পারিবারিক বেড়াজালে। সে বাসায় বন্দী, তার কাজ শুধু ঘরে বসে অপেক্ষা করা। বিয়ের জন্য অপেক্ষা। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে চিরদিনের মতো উৎসর্গ করে সমাজের চিরাচরিত নিয়মে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্বামী-সংসার নিয়ে দিন কাটানোর জন্য তার শুধু অপেক্ষা। মেয়েটির নাম পরী। ডানাকাটা পরীর মতোই সুন্দর মেয়েটি। সে যেন রূপে-গুণে অনন্যা। তিন বোনের মধ্যে পরী সবার ছোট। সেই শৈশব থেকে অবহেলা, অনাদর আর অবজ্ঞার মধ্যে বড় হয়েছে। বাবা-মা কোনোদিন স্কুলে পাঠায়নি। নিজে ব্র্যাক স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একদিন স্কুলে ভর্তি হয়ে ক্লাস এইট পর্যন্ত এসেছে। এখন তার বাবা-মা’র মাথা ভূত চেপেছে, বিয়ের ভূত। পরীকে বিয়ে দেয়াই তাদের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একের পর এক বিয়ের সম্পর্ক আসছে। যেকোনো দিন বিয়ে হয়ে যেতে পারে কিন্তু সে নিজের চোখে দেখেছে বড় বোন শাপলার কম বয়সে একে একে দু’টি সন্তান জন্ম দিয়ে তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেছে আর সেজন্যই তার দুলাভাই আরেকটা বিয়ে করেছে। মেজো বোন নূরী। তারও বিয়ে হয়েছে অল্প বয়সে। দুর্ভাগ্যক্রমে সন্তান প্রসবের সময় সে মারা গেছে। চোখের সামনে একে একে দু’বোনের করুণ অবস্থা, ব্র্যাক স্কুলে লেখাপড়া আর ব্র্যাক কিশোরী ক্লাবে যাতায়াতের ফলে তার চোখ খুলে গেছে। পরী স্নেহ, আদর, যত্নে বড় হওয়া কোনো সাধারণ কিশোরী নয়। সে এখন মেয়েদের লেখাপড়া জানার সুফল, অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক অবস্থা জানা কিশোরী। তাই সে পথ খুঁজছে তার বিয়ে প্রতিরোধ করার। কয়েক দিন স্কুলে না পেয়ে একদিন পরীর বান্ধবী মালা এলো। মালাকে সে তাকে এখান থেকে উদ্ধার করার কৌশল বলে দিলো। তার পরামর্শ মতো মালা কাজ করলো। একদিন ব্রাকের এক নারী কর্মী তার বাবা-মা’কে বোঝালো কিন' কোনো কাজ হলো না। তারা পরীর বিয়েতে অনঢ়। তারপর এলো মহিলা মেম্বার। সে পরীর বাবা-মা’কে বাল্য বিবাহ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধের কথা জানালে তারা ভয় পেলো। পরীর স্কুল যাওয়া আবার শুরু হলো। পরী ভেবেছিলো সে বুঝি বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেলো। কিন' তার ধারণা ভুল। এবার তার বিয়ের আয়োজন শুরু হলো গোপনে, তার ফুপুর বাড়িতে। পরী এসব কিছুই জানতো না। একদিন পরীর মা তাকে নিয়ে ফুপুর বাড়িতে গেলো। পরীর ফুপুর কোনো ছেলেমেয়ে নেই। সে পরীকে খুব স্নেহ করে। পরী ভেবেছিলো ফুপু তো প্রায়ই তাকে নিয়ে যায় আবার ঘন ঘন তাদের বাড়িতে আসে। কিন' পরী তার ফুপুর বাড়িতে গিয়ে পড়লো আরেক ষড়যন্ত্রের মধ্যে। বিয়ে ঠিক হয়েছে তারই ফুপুর দেবরের ছেলের সঙ্গে। দিনের বেলা কোনো কথা নেই। সন্ধ্যার পর শুরু হলো বিয়ের আয়োজন। তেমন কোনো ধুম ধাম নেই। বরের বাড়ি পাশেই। এই দু’বাড়ি আর প্রতিবেশীসহ দশ বারো জন লোকের সমাগম হলো। প্রথমে পরী বুঝতে পারেনি কিন' যখন বুঝতে পেরেছে তখন আর পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। পরীকে বর পক্ষের লম্বা-চওড়া এক মহিলা একরকম জোর করে বিয়ের শাড়ি-গয়না পরালো, তাকে উঠানে এনে বসালো। নতুন বউকে দেখার জন্য সবাই তাকে ঘিরে ধরলো। কাজি সাহেব আঙিনায় সাজানো চেয়ারে বসে তার রেজিস্টারে বর-কনের নাম ঠিকানাসহ রেজিস্টারে সবকিছু লিখে ফেলেছে। কিছুক্ষণ পর কাজি সাহেব সাক্ষী হিসেবে তার সঙ্গে আরো কয়েকজন লোক আঙিনা থেকে উঠানের কাছে এলো। তারপর কাজি সাহেব বর কনে উভয়ের নাম ঠিাকান বলে জিজ্ঞেস করলো, আপনি রাজি আছেন? কাজি সাহেব এ প্রশ্নের না উত্তর জীবনে শোনেনি। তার ধারণা পরী কম বয়সের একটা মেয়ে হয়তো কাঁদতে কাঁদতে বলবে, হুঁ। কিন্তু তা হলো না। পরী উঠে দাঁড়ালো, কোমরে শাড়ির আঁচল বেঁধে দু’হাত কোমরে রেখে দাঁতে দাঁত চেপে জোরে চিৎকার দিয়ে বললো, না। (বাল্য বিবাহ বিরোধী অসাধারণ এক কিশোর উপন্যাস। যা কিশোরীদের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবে।)
মেয়েটির হাসিটি খুব সুন্দর কিন্তু তার শব্দ করে হাসতে মানা, মেয়েটির কান্নার শব্দটি অত্যন্ত করুণ কিন্তু তার কাঁদতে মানা। মেয়েটির হাঁটুনিতেও একটা আর্ট আছে কিন্তু তার ঘর থেকে বের হতে মানা। মেয়েটি এখন ক্লাস এইটের ছাত্রী, আগামীতে তার জে.এস.সি পরীক্ষা কিন্তু তার স্কুল যাওয়া বন্ধ। তার সবকিছু আটকা পড়েছে পারিবারিক বেড়াজালে। সে বাসায় বন্দী, তার কাজ শুধু ঘরে বসে অপেক্ষা করা। বিয়ের জন্য অপেক্ষা। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে চিরদিনের মতো উৎসর্গ করে সমাজের চিরাচরিত নিয়মে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্বামী-সংসার নিয়ে দিন কাটানোর জন্য তার শুধু অপেক্ষা। মেয়েটির নাম পরী। ডানাকাটা পরীর মতোই সুন্দর মেয়েটি। সে যেন রূপে-গুণে অনন্যা। তিন বোনের মধ্যে পরী সবার ছোট। সেই শৈশব থেকে অবহেলা, অনাদর আর অবজ্ঞার মধ্যে বড় হয়েছে। বাবা-মা কোনোদিন স্কুলে পাঠায়নি। নিজে ব্র্যাক স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একদিন স্কুলে ভর্তি হয়ে ক্লাস এইট পর্যন্ত এসেছে। এখন তার বাবা-মা’র মাথা ভূত চেপেছে, বিয়ের ভূত। পরীকে বিয়ে দেয়াই তাদের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একের পর এক বিয়ের সম্পর্ক আসছে। যেকোনো দিন বিয়ে হয়ে যেতে পারে কিন্তু সে নিজের চোখে দেখেছে বড় বোন শাপলার কম বয়সে একে একে দু’টি সন্তান জন্ম দিয়ে তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেছে আর সেজন্যই তার দুলাভাই আরেকটা বিয়ে করেছে। মেজো বোন নূরী। তারও বিয়ে হয়েছে অল্প বয়সে। দুর্ভাগ্যক্রমে সন্তান প্রসবের সময় সে মারা গেছে। চোখের সামনে একে একে দু’বোনের করুণ অবস্থা, ব্র্যাক স্কুলে লেখাপড়া আর ব্র্যাক কিশোরী ক্লাবে যাতায়াতের ফলে তার চোখ খুলে গেছে। পরী স্নেহ, আদর, যত্নে বড় হওয়া কোনো সাধারণ কিশোরী নয়। সে এখন মেয়েদের লেখাপড়া জানার সুফল, অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক অবস্থা জানা কিশোরী। তাই সে পথ খুঁজছে তার বিয়ে প্রতিরোধ করার। কয়েক দিন স্কুলে না পেয়ে একদিন পরীর বান্ধবী মালা এলো। মালাকে সে তাকে এখান থেকে উদ্ধার করার কৌশল বলে দিলো। তার পরামর্শ মতো মালা কাজ করলো। একদিন ব্রাকের এক নারী কর্মী তার বাবা-মা’কে বোঝালো কিন' কোনো কাজ হলো না। তারা পরীর বিয়েতে অনঢ়। তারপর এলো মহিলা মেম্বার। সে পরীর বাবা-মা’কে বাল্য বিবাহ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধের কথা জানালে তারা ভয় পেলো। পরীর স্কুল যাওয়া আবার শুরু হলো। পরী ভেবেছিলো সে বুঝি বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেলো। কিন' তার ধারণা ভুল। এবার তার বিয়ের আয়োজন শুরু হলো গোপনে, তার ফুপুর বাড়িতে। পরী এসব কিছুই জানতো না। একদিন পরীর মা তাকে নিয়ে ফুপুর বাড়িতে গেলো। পরীর ফুপুর কোনো ছেলেমেয়ে নেই। সে পরীকে খুব স্নেহ করে। পরী ভেবেছিলো ফুপু তো প্রায়ই তাকে নিয়ে যায় আবার ঘন ঘন তাদের বাড়িতে আসে। কিন' পরী তার ফুপুর বাড়িতে গিয়ে পড়লো আরেক ষড়যন্ত্রের মধ্যে। বিয়ে ঠিক হয়েছে তারই ফুপুর দেবরের ছেলের সঙ্গে। দিনের বেলা কোনো কথা নেই। সন্ধ্যার পর শুরু হলো বিয়ের আয়োজন। তেমন কোনো ধুম ধাম নেই। বরের বাড়ি পাশেই। এই দু’বাড়ি আর প্রতিবেশীসহ দশ বারো জন লোকের সমাগম হলো। প্রথমে পরী বুঝতে পারেনি কিন' যখন বুঝতে পেরেছে তখন আর পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। পরীকে বর পক্ষের লম্বা-চওড়া এক মহিলা একরকম জোর করে বিয়ের শাড়ি-গয়না পরালো, তাকে উঠানে এনে বসালো। নতুন বউকে দেখার জন্য সবাই তাকে ঘিরে ধরলো। কাজি সাহেব আঙিনায় সাজানো চেয়ারে বসে তার রেজিস্টারে বর-কনের নাম ঠিকানাসহ রেজিস্টারে সবকিছু লিখে ফেলেছে। কিছুক্ষণ পর কাজি সাহেব সাক্ষী হিসেবে তার সঙ্গে আরো কয়েকজন লোক আঙিনা থেকে উঠানের কাছে এলো। তারপর কাজি সাহেব বর কনে উভয়ের নাম ঠিাকান বলে জিজ্ঞেস করলো, আপনি রাজি আছেন? কাজি সাহেব এ প্রশ্নের না উত্তর জীবনে শোনেনি। তার ধারণা পরী কম বয়সের একটা মেয়ে হয়তো কাঁদতে কাঁদতে বলবে, হুঁ। কিন্তু তা হলো না। পরী উঠে দাঁড়ালো, কোমরে শাড়ির আঁচল বেঁধে দু’হাত কোমরে রেখে দাঁতে দাঁত চেপে জোরে চিৎকার দিয়ে বললো, না। (বাল্য বিবাহ বিরোধী অসাধারণ এক কিশোর উপন্যাস। যা কিশোরীদের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবে।)

Publisher: নওরোজ কিতাবিস্তান
Category: উপন্যাস
ISBN: 9789844001275
Number of pages: -

Related Products