সংগঠন ও বাঙালি

ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ে অামরা একটা কবিতা পড়তাম।তার কয়েকটা লাইন ছিলো এরকম: একটা লতা ছিঁড়তে পারো তোমরা সকলেই, কিন্তু যদি দশটা লতা পাকিয়ে এনে দেই, তখন তারে ছিঁড়ে ফেলা নয়তো সহজ কাজ, ছিঁড়তে গেলে পাগলা হাতি হয়তো পাবে লাজ। এই-যে 'দশটা লতা পাকিয়ে এনে দেই'-এই পাকানোটাই হল সংগঠন।মানবসংঘকে একবার ঠিকমতো পাকিয়ে ফেলতে পারলে তা দিয়ে পাগলা হাতির মতো বিশ্বপ্রকৃতিকেও বেঁধে ফেলা যায়। একটা জাতি অসংখ্য ছোট বড় সংগঠনের যোগফলের নাম।এই সংগঠনগুলো সংখ্যায় যত বেশি হবে এবং শক্তিতে যত অপরাজেয় হবে ঐ জাতিও হবে তত অপ্রতিরাধ্য। অামরা বাঙালিরা এই সংগঠনের বেলায় দুর্বল।এই বইয়ে লেখক বাঙালির সংগঠনের দুর্বলতা ও ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেছেন। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণ হিসেবে লেখক ব্যক্তিস্বার্থ,ব্যক্তিগত অসহায়তা,অক্ষমতা,হীনমন্যতা ও অাত্মঘাতকেই দায়ী করেছেন।ব্যক্তিস্বার্থপরায়ণতার কারণ বা কী সেটারও ব্যাখ্যা করেছেন। লেখক এই অাত্মপরতার দুটো কারণ উল্লেখ করেছেন: ১.সাংস্কৃতিক(ঐতিহাসিক,ভৌগলিক,সামাজিক,মনস্তাত্ত্বিক) ২.শারীরিক অার সাংগঠনিক ব্যর্থতার মৌলিক কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যগত দুর্বলতাকে দায়ী করেছেন।অামাদের স্বাস্থ্য বা কর্মক্ষমতা কেন নিচুমানের সেটাও অনুসন্ধান করেছেন।এছাড়া এই বইয়ে অারো উল্লেখ করেছেন অামাদের সরকার-পদ্ধতির রূপরেখা,সংসদীয় সরকার-পদ্ধতির রূপরেখা,সংসদীয় বনাম রাষ্ট্রপতিপদ্ধতির গণতন্ত্র,অামাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর রূপরেখা ও সংগঠনের উত্তারিধার বিষয়ও উল্লেখ করেছেন। by: Jayed Al Mahmud