পদ্মানদীর মাঝি

(author),
75 TK 56 TK
- Pages
  • Save 19 Tk.

Description
এটি একটি আঞ্চলিক উপন্যাস। বইটিতে প্রকাশ পেয়েছে পদ্মাতীরের কেতুপুর গ্রাম আর তার পাশের গ্রামের লোকদের জীবন প্রবাহ। নৌকা আর জালের মালিক ধনঞ্জয়ের নীরব শোষন জেলেপাড়ার জেলেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। অভাবের তাড়নায় চুরি করে মাছ বিক্রি করতে গেলেও পদ্মানদীর মাঝিকে ঠকায় শীতলবাবু। এই উপন্যাসের আরেক সুবিধাবাদী চরিত্র হোসেন মিয়া। যার আছে ময়নাদ্বীপ নামে এক দ্বীপ। মানুষের বসবাস অনুপযোগী এই দ্বীপে নিরুপায়দের নিয়ে গিয়ে নিজের রাজত্ব গড়তে চায় সে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র চার সন্তানের জনক পদ্মা নদীর মাঝি কুবের। উপন্যাসের ভাষায় সে 'গরীবের মধ্যে গরীব, ছোটলোকের মধ্যে আরো ছোটলোক। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত তার জীবন। কুবেরের মাছ ধরার সঙ্গী হচ্ছে গনেশ। কুবেরের ঘরে সুন্দরি স্ত্রী মালা আছে। যার পা বাঁকানো, তা না হলে তার হয়তো বাবুদের ঘরে বিয়ে হতো। কুবেরের মেয়ে আছে, ছেলে আছে। কিন্তু নিজের অতৃপ্ত মনে সে শালিকা কপিলার জন্য টান অনুভব করে। কপিলার সংসার আছে। স্বামী শ্যামাদাসের কাছ থেকেও বিতাড়িত হয়ে যার মন পড়ে থাকে স্বামীর বাড়িতে। তবুও মনের গহীন কোণে হয়ত সে দূর্বল কুবেরের প্রতি। ভাই নিতে এলে ফিরতে চায় না বাবার বাড়ি, আশ্বিনের ঝড়ে কুবের যখন দিশা পায়নি, কপিলা ছিল তার পাশে। কোন একসময় কপিলা চলে যায় শ্যামাদাসের বাড়ি। কুবেরও ছুটে যায়। কিন্তু নিরাশ হতে হয় শ্যামাদাসের বিত্তের কাছে। চুপিচুপি আফিমের ব্যবসা করা হোসেন মিয়ার নৌকায় মাঝির কাজটা সে ছাড়তে পারেনা। ছাড়বে কি করে? মানুষটা যে জাদু জানে। বড়ই রহস্যময় লোক এই হোসেন মিয়া। ছিন্ন লুঙ্গি নিয়ে কেতুপুর জেলেপাড়ায় এসেছিল একদিন। কিন্তু এখন সে বড় ব্যবসায়ী। নিত্যনতুন উপায়ে চলে তার ব্যবসা। আর আছে একটা দ্বীপ। ময়নাদ্বীপ। যেখানে একসাথে বাস করে হিন্দু মুসলিম সবাই। যেখানে মসজিদ মন্দির নিয়ে বিভেদ নেই। জমি, বাড়ি, খাদ্য বস্ত্র সবই হোসেন দেয়। সে শুধু চায় জমিন আবাদি হোক, লোকে ভরে উঠুক তার দ্বীপ। সেজন্য সে ভাবেনা ন্যায় অন্যায়। মালুর চরের খুনী রসুল ঠাঁয় পায় তার দ্বীপে। রসুলের বোনের সাথে বিয়ে হয় সদ্য বিপত্নীক আমিনুদ্দির। একদিন কুবেরকেও মিথ্যা চুরির অপবাদ থেকে রেহাই পেতে ময়নাদ্বীপ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।কে দিয়েছিল এই অপবাদ, আর কেনই বা দিয়েছিল, জানতে হলে পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসে মগ্ন হতে হবে। ময়নাদ্বীপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুবের রওনা হয়। পিছনে থাকে তার ঘর সংসার, স্ত্রী, পুত্র আর দীর্ঘদিনের জেলে জীবন। কেবল থেকে যেতে চায় কপিলা। শেষ যাত্রার আগে যে প্রশ্ন করে 'আমারে নিবা মাঝি লগে?' কুবের কী কপিলার আবদার রেখেছিলো? সেটা জানা যাবে পদ্মানদীর মাঝি পাঠের মাধ্যমে। by: Md Hridoy Mahmud

Publisher: অবসর প্রকাশনা সংস্থা
ISBN: 984701660023
Number of pages: -


REVIEWS
এটি একটি আঞ্চলিক উপন্যাস। বইটিতে প্রকাশ পেয়েছে পদ্মাতীরের কেতুপুর গ্রাম আর তার পাশের গ্রামের লোকদের জীবন প্রবাহ। নৌকা আর জালের মালিক ধনঞ্জয়ের নীরব শোষন জেলেপাড়ার জেলেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। অভাবের তাড়নায় চুরি করে মাছ বিক্রি করতে গেলেও পদ্মানদীর মাঝিকে ঠকায় শীতলবাবু। এই উপন্যাসের আরেক সুবিধাবাদী চরিত্র হোসেন মিয়া। যার আছে ময়নাদ্বীপ নামে এক দ্বীপ। মানুষের বসবাস অনুপযোগী এই দ্বীপে নিরুপায়দের নিয়ে গিয়ে নিজের রাজত্ব গড়তে চায় সে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র চার সন্তানের জনক পদ্মা নদীর মাঝি কুবের। উপন্যাসের ভাষায় সে 'গরীবের মধ্যে গরীব, ছোটলোকের মধ্যে আরো ছোটলোক। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত তার জীবন। কুবেরের মাছ ধরার সঙ্গী হচ্ছে গনেশ। কুবেরের ঘরে সুন্দরি স্ত্রী মালা আছে। যার পা বাঁকানো, তা না হলে তার হয়তো বাবুদের ঘরে বিয়ে হতো। কুবেরের মেয়ে আছে, ছেলে আছে। কিন্তু নিজের অতৃপ্ত মনে সে শালিকা কপিলার জন্য টান অনুভব করে। কপিলার সংসার আছে। স্বামী শ্যামাদাসের কাছ থেকেও বিতাড়িত হয়ে যার মন পড়ে থাকে স্বামীর বাড়িতে। তবুও মনের গহীন কোণে হয়ত সে দূর্বল কুবেরের প্রতি। ভাই নিতে এলে ফিরতে চায় না বাবার বাড়ি, আশ্বিনের ঝড়ে কুবের যখন দিশা পায়নি, কপিলা ছিল তার পাশে। কোন একসময় কপিলা চলে যায় শ্যামাদাসের বাড়ি। কুবেরও ছুটে যায়। কিন্তু নিরাশ হতে হয় শ্যামাদাসের বিত্তের কাছে। চুপিচুপি আফিমের ব্যবসা করা হোসেন মিয়ার নৌকায় মাঝির কাজটা সে ছাড়তে পারেনা। ছাড়বে কি করে? মানুষটা যে জাদু জানে। বড়ই রহস্যময় লোক এই হোসেন মিয়া। ছিন্ন লুঙ্গি নিয়ে কেতুপুর জেলেপাড়ায় এসেছিল একদিন। কিন্তু এখন সে বড় ব্যবসায়ী। নিত্যনতুন উপায়ে চলে তার ব্যবসা। আর আছে একটা দ্বীপ। ময়নাদ্বীপ। যেখানে একসাথে বাস করে হিন্দু মুসলিম সবাই। যেখানে মসজিদ মন্দির নিয়ে বিভেদ নেই। জমি, বাড়ি, খাদ্য বস্ত্র সবই হোসেন দেয়। সে শুধু চায় জমিন আবাদি হোক, লোকে ভরে উঠুক তার দ্বীপ। সেজন্য সে ভাবেনা ন্যায় অন্যায়। মালুর চরের খুনী রসুল ঠাঁয় পায় তার দ্বীপে। রসুলের বোনের সাথে বিয়ে হয় সদ্য বিপত্নীক আমিনুদ্দির। একদিন কুবেরকেও মিথ্যা চুরির অপবাদ থেকে রেহাই পেতে ময়নাদ্বীপ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।কে দিয়েছিল এই অপবাদ, আর কেনই বা দিয়েছিল, জানতে হলে পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসে মগ্ন হতে হবে। ময়নাদ্বীপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুবের রওনা হয়। পিছনে থাকে তার ঘর সংসার, স্ত্রী, পুত্র আর দীর্ঘদিনের জেলে জীবন। কেবল থেকে যেতে চায় কপিলা। শেষ যাত্রার আগে যে প্রশ্ন করে 'আমারে নিবা মাঝি লগে?' কুবের কী কপিলার আবদার রেখেছিলো? সেটা জানা যাবে পদ্মানদীর মাঝি পাঠের মাধ্যমে। by: Md Hridoy Mahmud
এটি একটি আঞ্চলিক উপন্যাস। বইটিতে প্রকাশ পেয়েছে পদ্মাতীরের কেতুপুর গ্রাম আর তার পাশের গ্রামের লোকদের জীবন প্রবাহ। নৌকা আর জালের মালিক ধনঞ্জয়ের নীরব শোষন জেলেপাড়ার জেলেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। অভাবের তাড়নায় চুরি করে মাছ বিক্রি করতে গেলেও পদ্মানদীর মাঝিকে ঠকায় শীতলবাবু। এই উপন্যাসের আরেক সুবিধাবাদী চরিত্র হোসেন মিয়া। যার আছে ময়নাদ্বীপ নামে এক দ্বীপ। মানুষের বসবাস অনুপযোগী এই দ্বীপে নিরুপায়দের নিয়ে গিয়ে নিজের রাজত্ব গড়তে চায় সে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র চার সন্তানের জনক পদ্মা নদীর মাঝি কুবের। উপন্যাসের ভাষায় সে 'গরীবের মধ্যে গরীব, ছোটলোকের মধ্যে আরো ছোটলোক। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত তার জীবন। কুবেরের মাছ ধরার সঙ্গী হচ্ছে গনেশ। কুবেরের ঘরে সুন্দরি স্ত্রী মালা আছে। যার পা বাঁকানো, তা না হলে তার হয়তো বাবুদের ঘরে বিয়ে হতো। কুবেরের মেয়ে আছে, ছেলে আছে। কিন্তু নিজের অতৃপ্ত মনে সে শালিকা কপিলার জন্য টান অনুভব করে। কপিলার সংসার আছে। স্বামী শ্যামাদাসের কাছ থেকেও বিতাড়িত হয়ে যার মন পড়ে থাকে স্বামীর বাড়িতে। তবুও মনের গহীন কোণে হয়ত সে দূর্বল কুবেরের প্রতি। ভাই নিতে এলে ফিরতে চায় না বাবার বাড়ি, আশ্বিনের ঝড়ে কুবের যখন দিশা পায়নি, কপিলা ছিল তার পাশে। কোন একসময় কপিলা চলে যায় শ্যামাদাসের বাড়ি। কুবেরও ছুটে যায়। কিন্তু নিরাশ হতে হয় শ্যামাদাসের বিত্তের কাছে। চুপিচুপি আফিমের ব্যবসা করা হোসেন মিয়ার নৌকায় মাঝির কাজটা সে ছাড়তে পারেনা। ছাড়বে কি করে? মানুষটা যে জাদু জানে। বড়ই রহস্যময় লোক এই হোসেন মিয়া। ছিন্ন লুঙ্গি নিয়ে কেতুপুর জেলেপাড়ায় এসেছিল একদিন। কিন্তু এখন সে বড় ব্যবসায়ী। নিত্যনতুন উপায়ে চলে তার ব্যবসা। আর আছে একটা দ্বীপ। ময়নাদ্বীপ। যেখানে একসাথে বাস করে হিন্দু মুসলিম সবাই। যেখানে মসজিদ মন্দির নিয়ে বিভেদ নেই। জমি, বাড়ি, খাদ্য বস্ত্র সবই হোসেন দেয়। সে শুধু চায় জমিন আবাদি হোক, লোকে ভরে উঠুক তার দ্বীপ। সেজন্য সে ভাবেনা ন্যায় অন্যায়। মালুর চরের খুনী রসুল ঠাঁয় পায় তার দ্বীপে। রসুলের বোনের সাথে বিয়ে হয় সদ্য বিপত্নীক আমিনুদ্দির। একদিন কুবেরকেও মিথ্যা চুরির অপবাদ থেকে রেহাই পেতে ময়নাদ্বীপ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।কে দিয়েছিল এই অপবাদ, আর কেনই বা দিয়েছিল, জানতে হলে পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসে মগ্ন হতে হবে। ময়নাদ্বীপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুবের রওনা হয়। পিছনে থাকে তার ঘর সংসার, স্ত্রী, পুত্র আর দীর্ঘদিনের জেলে জীবন। কেবল থেকে যেতে চায় কপিলা। শেষ যাত্রার আগে যে প্রশ্ন করে 'আমারে নিবা মাঝি লগে?' কুবের কী কপিলার আবদার রেখেছিলো? সেটা জানা যাবে পদ্মানদীর মাঝি পাঠের মাধ্যমে। by: Md Hridoy Mahmud

Publisher: অবসর প্রকাশনা সংস্থা
Category: উপন্যাস
ISBN: 984701660023
Number of pages: -

Related Products