শকুন্তলার কাহিনী এক প্রাচীন আখ্যান, যার উৎস ধরা হয় মহাভারত। পৌরাণিক মতে শকুন্তলা ঋষি বিশ্বামিত্র ও অপ্সরা মেনকার কন্যা। বিশ্বামিত্র একবার এক কঠোর তপস্যায় বসেন। তপস্যা এতই কঠোর ছিল যে বিশ্বামিত্রের জীবন নিয়ে দেবতাদের মনে সংশয় দেখা দেয়। তখন তাঁর এই তপস্যা ভঙ্গের জন্য স্বর্গের অপ্সরা মেনকা দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক পৃথিবীতে প্রেরিত হন। মেনকা তাঁর আপন রূপ ও মোহজালে বিশ্বামিত্রের ধ্যান ভঙ্গ করতে সক্ষম হন এবং তাঁদের মিলনের ফলে শকুন্তলার জন্ম হয়।
মেনকা বনমধ্যে শকুন্তলাকে ফেলে চলে গেলে সে শকুন্ত অর্থাৎ পাখি কর্তৃক রক্ষিত হয়ে বনমধ্যে তপোবনে মহর্ষি কন্বের কাছে লালিত পালিত হতে থাকে। এই হচ্ছে ঘটনার পূর্বপাঠ।
এবার আসি মূলপাঠে। বাবা যার ঋষি বিশ্বামিত্র , মা যার স্বয়ং স্বর্গের অপ্সরা, সে কন্যা যে রূপে গুণে পৃথিবীর আর দশটা কন্যার মতো হবেনা তা'ই অনুমেয়। শকুন্তলা ধীরে ধীরে যৌবনে উপনীত হতে লাগল। তার ছিল দুজন প্রিয় সখী- অনসূয়া, প্রিয়ংবদা। একদিন বনমাঝে রাজা দুষ্মন্ত শিকার করে ক্লান্ত ও সঙ্গী হারা হয়ে এক সরোবরের নিকট এলে তাদের দেখা হয়। দুজনই দুজনের জন্য ধীরে ধীরে ব্যাকুল হতে থাকে। একদিনও একজন আরেকজনকে না দেখে থাকতে পারে না। সে সময় কন্বমুনি পাহাড়ে তপস্যা করতে গিয়েছিলেন। অভিভাবক না থাকায় তাই গান্ধর্বমতে কিছুদিন পরে শকুন্তলা-দুষ্মন্তের বিয়ে হয়। দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে তপোবনে রেখে রাজপ্রাসাদে যান তাকে বরণ করে নিয়ে যাওয়ার সকল আয়োজন করতে। যাওয়ার আগে উপহার হিসেবে দিয়ে যায় তার নামাঙ্কিত রাজকীয় আংটি।
by: মাহমুদুল করিম জিসান
Publisher:
বাংলা একাডেমি
Category:
উপন্যাস
ISBN:
Number of pages: -