সোনালী দুঃখ

আগেই বলে নিচ্ছি এটা নিছক একটি প্রেমের উপন্যাস.. দুঃখীনা মা যে কিনা নিজের ছেলের নাম রেখেছিল দুঃখ ওরফে ত্রিস্তান।।কি এমন দুঃখ ছিলো মায়ের মনে, যার জন্য এরকম একটা নাম রেখেছিলেন তিনি?? এতো গেলো জন্মের সময়ের কথা,কিশোরবেলাতে অথবা বড় হওয়ার পরেও ত্রিস্তানের মনে কি সত্যিই কোন দুঃখ গেথে ছিলো?? জন্ম তো হয়েছিল রাজার ঘরে, আর এই জন্যে ত্রিস্তান আজন্ম যোদ্ধা,,, সারাদিন যুদ্ধে মেতে থাকা ত্রিস্তান কি কখনো তার জীবনের নারীর আগমনের কথা চিন্তা করেছিল?? আর করলেও সে সফল হয়েছিলো কতটুকুতে??? এই বইটির একটি লাইন আমার কাছে নজড়কারার মতো মনে হয়েছিল।। "ভালোবাসা হলো আগুনের মতো,,যেখানে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও সবাই ইচ্ছা করে ঝাপিয়ে পড়ে" আচ্ছা কখনও যদি এমন হয় আপনি যাকে পছন্দ করেন সেই মানুষটাকে মনে ধরেছে এমন একজনের যাকে ছাড়া আপনার অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায়না, কি করবেন ঐ মুহুর্তে,,??স্বার্থপরতা?? নাকি আত্নত্যাগ??একই ঘটনা ঘটে ত্রিস্তানের ক্ষেত্রে.. তার প্রতিক্রিয়া টা কেমন ছিলো তখন?? সে কি প্রেয়সি কে নিজের কাছে রেখেছিল নাকি করতে হয় ত্যাগ স্বীকার?? রাগ জিনিষটা মানুষের চরিত্রের অন্যতম নিদর্শন,,, কিন্তু কথায় বলে,, "রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন" তাহলে কি ত্রিস্তানের জীবন এখন অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে?? ভুলে যাবে সে তার সোনালিকে?? রাগের মাথায় নতুন কোন মধুক্ষনে যোগদান করবে?? নাকি বেছে নিবে আমৃত্যু যুদ্ধ?? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আপনাকে পড়তে হবে সোনালী দুঃখ উপন্যাসটি।। যখন বইটি পড়ি তখন ক্লাস 7 এ পড়তাম,, আমার জীবনে সবথেকে বেশিবার পড়া উপন্যাস হলো সোনালিদুঃখ।।আমাকে পুরো কাহিনি টা অনেক টেনেছিলো,,আর খুব কেদেছিলাম,, কিন্তু এতো বছর পড়ে যখন বইটির কথা ভাবি মনে হয় বারবার কতো আবেগপ্রবন ছিলাম আমি সেই সময়টা তে,, যারা বাস্তববাদি তাদের অনেকের কাছে কাহিনী কাল্পনিক মনে হতে পাররে,, কিন্তু আমার কথা গল্পতে তো সবই সম্ভব তাহলে এটা হবেনা কেন গ্রাহ্য!! by: Tasnim Mim