রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি

(author),
300 TK 225 TK
- Pages
  • Save 75 Tk.

Description
ঢাকা থেকে নুরে ছফা নামের এক ব্যক্তি সুন্দরপুর গ্রামে এসে ক্ষুধার্ত অবস্থায়য় রাস্তার পাশে একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পায়। রেস্টুরেন্টের নাম দেখে কিছুটা অবাক হয় নুরে ছফা। রেস্টুরেন্টের নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"। নুরে ছফা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আবিষ্কার করে যে, এখানের খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। রেস্টুরেন্টের কাছেই রহমান মিয়ার চায়ের দোকান। গুঁড়ের চা বিক্রি করে সে। নুরে ছফা প্রথমে ওখান থেকেই জানতে পারে যে, রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরী এক অদ্ভুত চরিত্র। তারপর এই মহিলার সম্পর্কে আরও অদ্ভুত তথ্য সে জানে সুন্দরপুর গ্রামের বিবিসি খ্যাত দালাল প্রকৃতির লোক আতর আলীর কাছ থেকে। বড়ই অদ্ভুত আর ছলনাময়ী নারী এই মুশকান জুবেরী। তার সম্পর্কে গ্রামের সবাই নানান নেতিবাচক ধারণা পোষন করলেও কেউ তার সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানে না । মুশকান জুবেরী কোথা থেকে এসেছে সেটা জানতে নুরে ছফা যায় এলাকার বয়স্ক লোক রমাকান্ত মাস্টারের কাছে। সেখান থেকেই জানতে পারে যে, মহিলা এই গ্রামের পুরাতন জমিদার অলোকনাথ বসু'র নাতবৌ। প্রথমে নুরে ছফা সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রামে ঢুকলেও, একসময় সে যে ডিবির কর্মকর্তা সেটা ফাঁস করে দিতে বাধ্য হয়। এর ফলে তার সম্মান অনেক বেড়ে যায় সুন্দরপুরের আতর আলী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত এক লোকের ভাগ্নের নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত করতে সুন্দরপুর আসে নুরে ছফা। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নুরে ছফা মোট পাঁচ জন নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির মামলার সংশ্লিষ্টতা খোঁজে পায় উক্ত মামলাটির সাথে। উপন্যাসের আরেক চরিত্র গোরখোদক ফালু। গ্রামের মানুষের মতে সে কেউ মারা যাবার আগে অগ্রিম আভাস পেয়ে গোর খুঁড়ে রাখে। তারা ভাবে ফালু কামেল ব্যক্তি। কিন্তু এই ফালু যে কি ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যে গোর খুঁড়ে, সেটা অনেক পরে আতর আলী টের পায়। উপন্যাসের প্রধান এবং রহস্যময়ী চরিত্র মুশকান জুবেরির সাথে কথা বলতে গিয়ে একদিন নুরে ছফা এক ভয়ঙ্কর প্লেন ক্র্যাশের কথা জানতে পারে। যে প্লেনটি আটকে গিয়েছিলো একটি বরফের উপত্যকায়। উপন্যাসের সবচেয়ে গা ঘিনঘিন আর শিউরে উঠার গল্পটিই এই প্লেন ক্রাশের গল্প। জটিল এই মামলার তদন্ত করতে এসে বিপদে পড়ে যায় নুরে ছফা। মরতে মরতে বেঁচে উঠে সে। আসামী ধরতে না পারলেও কেসের জটলা খুলার জন্য বাহবা পায় সে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ অমায়িক স্বাদের "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসে নি" বন্ধ হয়ে যায় একদিন। নুরে ছফার তদন্তের জন্য পাল্টে যায় সুন্দরপুরের জমিদার বাড়ি আর "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"রেস্টুরেন্টের চেহারা। প্রায় মরতে মরতে আতর আলী আর নুরে ছফা বেঁচে উঠলেও বেঁচে উঠতে পারেনি আর দূর দূরান্ত পর্যন্ত মানুষের মন কেড়ে নেয়া হোটেল রবীন্দ্রনাথ। রমাকান্ত মাস্টার হয়তো রবীন্দ্রনাথে আবারও মানুষের সমাগম ঘটাতে পারবে মুশকান জুবেরির মতো। তবে মানুষ আর মুশকান জুবেরীর হাতের সেই জাদুমাখা খাবার খেতে আসবে না। যে খাবার খেতে আসবে সেটা খেয়ে মানুষের পেট ভরবে না, ভরবে মন। . by: Bekheyali Himu

Publisher: বাতিঘর প্রকাশনী
ISBN: 9789848729755
Number of pages: -


REVIEWS
ঢাকা থেকে নুরে ছফা নামের এক ব্যক্তি সুন্দরপুর গ্রামে এসে ক্ষুধার্ত অবস্থায়য় রাস্তার পাশে একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পায়। রেস্টুরেন্টের নাম দেখে কিছুটা অবাক হয় নুরে ছফা। রেস্টুরেন্টের নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"। নুরে ছফা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আবিষ্কার করে যে, এখানের খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। রেস্টুরেন্টের কাছেই রহমান মিয়ার চায়ের দোকান। গুঁড়ের চা বিক্রি করে সে। নুরে ছফা প্রথমে ওখান থেকেই জানতে পারে যে, রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরী এক অদ্ভুত চরিত্র। তারপর এই মহিলার সম্পর্কে আরও অদ্ভুত তথ্য সে জানে সুন্দরপুর গ্রামের বিবিসি খ্যাত দালাল প্রকৃতির লোক আতর আলীর কাছ থেকে। বড়ই অদ্ভুত আর ছলনাময়ী নারী এই মুশকান জুবেরী। তার সম্পর্কে গ্রামের সবাই নানান নেতিবাচক ধারণা পোষন করলেও কেউ তার সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানে না । মুশকান জুবেরী কোথা থেকে এসেছে সেটা জানতে নুরে ছফা যায় এলাকার বয়স্ক লোক রমাকান্ত মাস্টারের কাছে। সেখান থেকেই জানতে পারে যে, মহিলা এই গ্রামের পুরাতন জমিদার অলোকনাথ বসু'র নাতবৌ। প্রথমে নুরে ছফা সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রামে ঢুকলেও, একসময় সে যে ডিবির কর্মকর্তা সেটা ফাঁস করে দিতে বাধ্য হয়। এর ফলে তার সম্মান অনেক বেড়ে যায় সুন্দরপুরের আতর আলী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত এক লোকের ভাগ্নের নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত করতে সুন্দরপুর আসে নুরে ছফা। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নুরে ছফা মোট পাঁচ জন নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির মামলার সংশ্লিষ্টতা খোঁজে পায় উক্ত মামলাটির সাথে। উপন্যাসের আরেক চরিত্র গোরখোদক ফালু। গ্রামের মানুষের মতে সে কেউ মারা যাবার আগে অগ্রিম আভাস পেয়ে গোর খুঁড়ে রাখে। তারা ভাবে ফালু কামেল ব্যক্তি। কিন্তু এই ফালু যে কি ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যে গোর খুঁড়ে, সেটা অনেক পরে আতর আলী টের পায়। উপন্যাসের প্রধান এবং রহস্যময়ী চরিত্র মুশকান জুবেরির সাথে কথা বলতে গিয়ে একদিন নুরে ছফা এক ভয়ঙ্কর প্লেন ক্র্যাশের কথা জানতে পারে। যে প্লেনটি আটকে গিয়েছিলো একটি বরফের উপত্যকায়। উপন্যাসের সবচেয়ে গা ঘিনঘিন আর শিউরে উঠার গল্পটিই এই প্লেন ক্রাশের গল্প। জটিল এই মামলার তদন্ত করতে এসে বিপদে পড়ে যায় নুরে ছফা। মরতে মরতে বেঁচে উঠে সে। আসামী ধরতে না পারলেও কেসের জটলা খুলার জন্য বাহবা পায় সে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ অমায়িক স্বাদের "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসে নি" বন্ধ হয়ে যায় একদিন। নুরে ছফার তদন্তের জন্য পাল্টে যায় সুন্দরপুরের জমিদার বাড়ি আর "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"রেস্টুরেন্টের চেহারা। প্রায় মরতে মরতে আতর আলী আর নুরে ছফা বেঁচে উঠলেও বেঁচে উঠতে পারেনি আর দূর দূরান্ত পর্যন্ত মানুষের মন কেড়ে নেয়া হোটেল রবীন্দ্রনাথ। রমাকান্ত মাস্টার হয়তো রবীন্দ্রনাথে আবারও মানুষের সমাগম ঘটাতে পারবে মুশকান জুবেরির মতো। তবে মানুষ আর মুশকান জুবেরীর হাতের সেই জাদুমাখা খাবার খেতে আসবে না। যে খাবার খেতে আসবে সেটা খেয়ে মানুষের পেট ভরবে না, ভরবে মন। . by: Bekheyali Himu
ঢাকা থেকে নুরে ছফা নামের এক ব্যক্তি সুন্দরপুর গ্রামে এসে ক্ষুধার্ত অবস্থায়য় রাস্তার পাশে একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পায়। রেস্টুরেন্টের নাম দেখে কিছুটা অবাক হয় নুরে ছফা। রেস্টুরেন্টের নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"। নুরে ছফা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আবিষ্কার করে যে, এখানের খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। রেস্টুরেন্টের কাছেই রহমান মিয়ার চায়ের দোকান। গুঁড়ের চা বিক্রি করে সে। নুরে ছফা প্রথমে ওখান থেকেই জানতে পারে যে, রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরী এক অদ্ভুত চরিত্র। তারপর এই মহিলার সম্পর্কে আরও অদ্ভুত তথ্য সে জানে সুন্দরপুর গ্রামের বিবিসি খ্যাত দালাল প্রকৃতির লোক আতর আলীর কাছ থেকে। বড়ই অদ্ভুত আর ছলনাময়ী নারী এই মুশকান জুবেরী। তার সম্পর্কে গ্রামের সবাই নানান নেতিবাচক ধারণা পোষন করলেও কেউ তার সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানে না । মুশকান জুবেরী কোথা থেকে এসেছে সেটা জানতে নুরে ছফা যায় এলাকার বয়স্ক লোক রমাকান্ত মাস্টারের কাছে। সেখান থেকেই জানতে পারে যে, মহিলা এই গ্রামের পুরাতন জমিদার অলোকনাথ বসু'র নাতবৌ। প্রথমে নুরে ছফা সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রামে ঢুকলেও, একসময় সে যে ডিবির কর্মকর্তা সেটা ফাঁস করে দিতে বাধ্য হয়। এর ফলে তার সম্মান অনেক বেড়ে যায় সুন্দরপুরের আতর আলী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত এক লোকের ভাগ্নের নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত করতে সুন্দরপুর আসে নুরে ছফা। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নুরে ছফা মোট পাঁচ জন নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির মামলার সংশ্লিষ্টতা খোঁজে পায় উক্ত মামলাটির সাথে। উপন্যাসের আরেক চরিত্র গোরখোদক ফালু। গ্রামের মানুষের মতে সে কেউ মারা যাবার আগে অগ্রিম আভাস পেয়ে গোর খুঁড়ে রাখে। তারা ভাবে ফালু কামেল ব্যক্তি। কিন্তু এই ফালু যে কি ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যে গোর খুঁড়ে, সেটা অনেক পরে আতর আলী টের পায়। উপন্যাসের প্রধান এবং রহস্যময়ী চরিত্র মুশকান জুবেরির সাথে কথা বলতে গিয়ে একদিন নুরে ছফা এক ভয়ঙ্কর প্লেন ক্র্যাশের কথা জানতে পারে। যে প্লেনটি আটকে গিয়েছিলো একটি বরফের উপত্যকায়। উপন্যাসের সবচেয়ে গা ঘিনঘিন আর শিউরে উঠার গল্পটিই এই প্লেন ক্রাশের গল্প। জটিল এই মামলার তদন্ত করতে এসে বিপদে পড়ে যায় নুরে ছফা। মরতে মরতে বেঁচে উঠে সে। আসামী ধরতে না পারলেও কেসের জটলা খুলার জন্য বাহবা পায় সে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ অমায়িক স্বাদের "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসে নি" বন্ধ হয়ে যায় একদিন। নুরে ছফার তদন্তের জন্য পাল্টে যায় সুন্দরপুরের জমিদার বাড়ি আর "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"রেস্টুরেন্টের চেহারা। প্রায় মরতে মরতে আতর আলী আর নুরে ছফা বেঁচে উঠলেও বেঁচে উঠতে পারেনি আর দূর দূরান্ত পর্যন্ত মানুষের মন কেড়ে নেয়া হোটেল রবীন্দ্রনাথ। রমাকান্ত মাস্টার হয়তো রবীন্দ্রনাথে আবারও মানুষের সমাগম ঘটাতে পারবে মুশকান জুবেরির মতো। তবে মানুষ আর মুশকান জুবেরীর হাতের সেই জাদুমাখা খাবার খেতে আসবে না। যে খাবার খেতে আসবে সেটা খেয়ে মানুষের পেট ভরবে না, ভরবে মন। . by: Bekheyali Himu

Publisher: বাতিঘর প্রকাশনী
Category: উপন্যাস
ISBN: 9789848729755
Number of pages: -

Related Products