আমি সুদূরের পিয়াসী

(author),
250 TK 187 TK
- Pages
  • Save 63 Tk.

Description
ক্ষুধার রাজ্যে এ পৃথিবী গদ্যময় ভেবে বয়সে কিশোর, কিন্তু জীবনবোধ পরিণত কবি সুকান্ত কবিতাকে ছুটি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কি তা পেরেছিলেন? না। কারণ কবিতাকে ছুটি দেয়ার কথা তাকে বলতে হয়েছিল কবিতার পঙক্তি দিয়েই। গভীর জীবনবোধ-সমৃদ্ধ মনন সহজেই কবিতালগ্ন হয়ে যায়। কিন্তু তবুও তো কবিতা বারোয়ারি কোন ব্যাপার হয়ে পারেনা। কেননা জীবনানন্দীয় তীর্যক পঙক্তি হল, ‘কেউ কেউ কবি, সবাই কবি না’। আসলে কোন পেশার সংশ্লিষ্ট সবাই নয়, কেউ কেউ পেশাদার হয়। তামান্না সারোয়ার- এর কবিতাগুচ্ছ যা, ‘আমি সুদূরের পিয়াসী শিরোনাম পেয়েছে পেশাদার কবিতার সংকলন। আর বতুন হলেও কবি পেশাদারিত্বে পরিণত। জীবন সম্পর্কে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি উৎসারিত সমৃদ্ধ মনন এই কবির কবিতাগুচ্ছের উৎসমুখ। বড়/ছোট ৪৯ টি কবিতা আছে সংকলনটির দুই মলাটের মধ্যে। কবিতা/ বই পাঠককে যদি না ভাবায়, তার চৈতন্যে যদি আলোড়ন না হয়, মনন যদি সমৃদ্ধ না হয় তাহলে তা কবিতা বা বই নয়; এবং টা চটুল পাঠকের সস্তা জনপ্রিয়তা সত্বেও। তামান্না সারোয়ার –এর কবিতা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করতবে, হাসাবে, এমনকি কাঁদাবেও। কবিতাগুলো পড়ে শব্দ/ পঙক্তি ভুলে গেলেও ভাব আর অর্থ মননশীল পাঠকের চেতনালগ্ন হয়ে থাকবে। সৃজন আর সৃষ্টির ফলদায়ী তাত্তপর্য এমনভাবেই নিরুপিত হয়। এমন বিচারের প্রক্ষাপটে তামান্না সারোয়ার- কবিতা কবিতা-ই। ‘আমার রবীন্দ্রনাথ’ কবিতাটি প্রথম, যাতে আছে জীবন-সত্যের রচ্চারণ, কে দেখাবে এত আলো রবীন্দ্রনাথ ছাড়া?’ আসলে মানবিক জীবনে এমন কোন মূহুর্ত নেই যখন রবীন্দ্রনাথ প্রাসঙ্গিক হয় না। উপমা-উৎপ্রক্ষার ব্যবহারে মুনশিয়ানা আছে। যেমন ‘রুপালী কাফনপরা পুর্ণিমা রাত’ বা ‘খামখেয়ালি রোদ’। মা-বাবাকে নিয়ে মন ছুঁয়ে যায় এমন কবিতা কবি-মানসের অন্তর্লীন ভাবনার দরজা পাঠকের জন্যে খুলে দেয়। নারী প্রগতি, পাকিস্তানের প্রতি বাঙ্গলির ঘৃণা, মুক্তিযুদ্ধে নারীর ত্যাগ- এমনই সব বিচিত্র কবিতা আছে, যা পাঠকের বিচিত্র আস্বাদনের খোরাক। তামান্না সারোয়ার-এর কবিতা বিনোদন নয়, জীবনধর্মী। কাজেই জীবনকে যে পাঠক তলিয়ে দেখতে চান তার জন্যে কবিতাগুলো। ** ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

Publisher: আনন্দম প্রকাশনী
ISBN: 978-984-8048-12-2
Number of pages: -


REVIEWS
ক্ষুধার রাজ্যে এ পৃথিবী গদ্যময় ভেবে বয়সে কিশোর, কিন্তু জীবনবোধ পরিণত কবি সুকান্ত কবিতাকে ছুটি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কি তা পেরেছিলেন? না। কারণ কবিতাকে ছুটি দেয়ার কথা তাকে বলতে হয়েছিল কবিতার পঙক্তি দিয়েই। গভীর জীবনবোধ-সমৃদ্ধ মনন সহজেই কবিতালগ্ন হয়ে যায়। কিন্তু তবুও তো কবিতা বারোয়ারি কোন ব্যাপার হয়ে পারেনা। কেননা জীবনানন্দীয় তীর্যক পঙক্তি হল, ‘কেউ কেউ কবি, সবাই কবি না’। আসলে কোন পেশার সংশ্লিষ্ট সবাই নয়, কেউ কেউ পেশাদার হয়। তামান্না সারোয়ার- এর কবিতাগুচ্ছ যা, ‘আমি সুদূরের পিয়াসী শিরোনাম পেয়েছে পেশাদার কবিতার সংকলন। আর বতুন হলেও কবি পেশাদারিত্বে পরিণত। জীবন সম্পর্কে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি উৎসারিত সমৃদ্ধ মনন এই কবির কবিতাগুচ্ছের উৎসমুখ। বড়/ছোট ৪৯ টি কবিতা আছে সংকলনটির দুই মলাটের মধ্যে। কবিতা/ বই পাঠককে যদি না ভাবায়, তার চৈতন্যে যদি আলোড়ন না হয়, মনন যদি সমৃদ্ধ না হয় তাহলে তা কবিতা বা বই নয়; এবং টা চটুল পাঠকের সস্তা জনপ্রিয়তা সত্বেও। তামান্না সারোয়ার –এর কবিতা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করতবে, হাসাবে, এমনকি কাঁদাবেও। কবিতাগুলো পড়ে শব্দ/ পঙক্তি ভুলে গেলেও ভাব আর অর্থ মননশীল পাঠকের চেতনালগ্ন হয়ে থাকবে। সৃজন আর সৃষ্টির ফলদায়ী তাত্তপর্য এমনভাবেই নিরুপিত হয়। এমন বিচারের প্রক্ষাপটে তামান্না সারোয়ার- কবিতা কবিতা-ই। ‘আমার রবীন্দ্রনাথ’ কবিতাটি প্রথম, যাতে আছে জীবন-সত্যের রচ্চারণ, কে দেখাবে এত আলো রবীন্দ্রনাথ ছাড়া?’ আসলে মানবিক জীবনে এমন কোন মূহুর্ত নেই যখন রবীন্দ্রনাথ প্রাসঙ্গিক হয় না। উপমা-উৎপ্রক্ষার ব্যবহারে মুনশিয়ানা আছে। যেমন ‘রুপালী কাফনপরা পুর্ণিমা রাত’ বা ‘খামখেয়ালি রোদ’। মা-বাবাকে নিয়ে মন ছুঁয়ে যায় এমন কবিতা কবি-মানসের অন্তর্লীন ভাবনার দরজা পাঠকের জন্যে খুলে দেয়। নারী প্রগতি, পাকিস্তানের প্রতি বাঙ্গলির ঘৃণা, মুক্তিযুদ্ধে নারীর ত্যাগ- এমনই সব বিচিত্র কবিতা আছে, যা পাঠকের বিচিত্র আস্বাদনের খোরাক। তামান্না সারোয়ার-এর কবিতা বিনোদন নয়, জীবনধর্মী। কাজেই জীবনকে যে পাঠক তলিয়ে দেখতে চান তার জন্যে কবিতাগুলো। ** ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন
ক্ষুধার রাজ্যে এ পৃথিবী গদ্যময় ভেবে বয়সে কিশোর, কিন্তু জীবনবোধ পরিণত কবি সুকান্ত কবিতাকে ছুটি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কি তা পেরেছিলেন? না। কারণ কবিতাকে ছুটি দেয়ার কথা তাকে বলতে হয়েছিল কবিতার পঙক্তি দিয়েই। গভীর জীবনবোধ-সমৃদ্ধ মনন সহজেই কবিতালগ্ন হয়ে যায়। কিন্তু তবুও তো কবিতা বারোয়ারি কোন ব্যাপার হয়ে পারেনা। কেননা জীবনানন্দীয় তীর্যক পঙক্তি হল, ‘কেউ কেউ কবি, সবাই কবি না’। আসলে কোন পেশার সংশ্লিষ্ট সবাই নয়, কেউ কেউ পেশাদার হয়। তামান্না সারোয়ার- এর কবিতাগুচ্ছ যা, ‘আমি সুদূরের পিয়াসী শিরোনাম পেয়েছে পেশাদার কবিতার সংকলন। আর বতুন হলেও কবি পেশাদারিত্বে পরিণত। জীবন সম্পর্কে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি উৎসারিত সমৃদ্ধ মনন এই কবির কবিতাগুচ্ছের উৎসমুখ। বড়/ছোট ৪৯ টি কবিতা আছে সংকলনটির দুই মলাটের মধ্যে। কবিতা/ বই পাঠককে যদি না ভাবায়, তার চৈতন্যে যদি আলোড়ন না হয়, মনন যদি সমৃদ্ধ না হয় তাহলে তা কবিতা বা বই নয়; এবং টা চটুল পাঠকের সস্তা জনপ্রিয়তা সত্বেও। তামান্না সারোয়ার –এর কবিতা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করতবে, হাসাবে, এমনকি কাঁদাবেও। কবিতাগুলো পড়ে শব্দ/ পঙক্তি ভুলে গেলেও ভাব আর অর্থ মননশীল পাঠকের চেতনালগ্ন হয়ে থাকবে। সৃজন আর সৃষ্টির ফলদায়ী তাত্তপর্য এমনভাবেই নিরুপিত হয়। এমন বিচারের প্রক্ষাপটে তামান্না সারোয়ার- কবিতা কবিতা-ই। ‘আমার রবীন্দ্রনাথ’ কবিতাটি প্রথম, যাতে আছে জীবন-সত্যের রচ্চারণ, কে দেখাবে এত আলো রবীন্দ্রনাথ ছাড়া?’ আসলে মানবিক জীবনে এমন কোন মূহুর্ত নেই যখন রবীন্দ্রনাথ প্রাসঙ্গিক হয় না। উপমা-উৎপ্রক্ষার ব্যবহারে মুনশিয়ানা আছে। যেমন ‘রুপালী কাফনপরা পুর্ণিমা রাত’ বা ‘খামখেয়ালি রোদ’। মা-বাবাকে নিয়ে মন ছুঁয়ে যায় এমন কবিতা কবি-মানসের অন্তর্লীন ভাবনার দরজা পাঠকের জন্যে খুলে দেয়। নারী প্রগতি, পাকিস্তানের প্রতি বাঙ্গলির ঘৃণা, মুক্তিযুদ্ধে নারীর ত্যাগ- এমনই সব বিচিত্র কবিতা আছে, যা পাঠকের বিচিত্র আস্বাদনের খোরাক। তামান্না সারোয়ার-এর কবিতা বিনোদন নয়, জীবনধর্মী। কাজেই জীবনকে যে পাঠক তলিয়ে দেখতে চান তার জন্যে কবিতাগুলো। ** ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

Publisher: আনন্দম প্রকাশনী
Category: বইমেলা-২০১৯
ISBN: 978-984-8048-12-2
Number of pages: -

Related Products