এডভেঞ্চার লালবাগ কেল্লা

বিষয়টি যখন লালবাগ কেল্লার তখন জানার কৌতুহলটা সকলের একটু বেশি । কেননা , এই লালবাগ কেল্লাটি সেই মুঘল আমলেই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা । সময়ের বিবর্তনে কালক্রমে মানুষ ভুলেই যেতে বসেছে সেই ঐতিহাসিক স্থাপনাটির ইতিহাস । নতুন প্রজন্মকে সেই বিষয় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস এডভেঞ্চার লালবাগ কেল্লা ' বইটি । পূর্ণিমার রাত আমার ভায়রা ভাই শফিককে ডাক দিয়ে নিয়ে গেল ৫ / ৭ জন বন্ধু । তারা লালবাগ মাঠে খুব ভােরে উঠেই ফুটবল খেলে । মাঠের ভিতরে গিয়ে দেখে ৫ / ৭ জন বন্ধু ছাড়া আর কোন বন্ধু নেই । হঠাৎ শফিক মনে মনে ভয় পেতে লাগলাে তাদের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে যে , তাদের পা উল্টো । শফিক ভয়ের মাঝেও সাহস ছাড়ে না । গায়ের লােম মুহূর্তে দাড়িয়ে যায় । যত প্রার্থনা মনে মনে । তখনি এক জিন বলল , আরে বন্ধু তুই ঘাবরাচ্ছিস কেন ? আমরা কি তােকে মেরে ফেলব ? |শফিক আরাে ভয় পেল মনে মনে । কেল্লার ভেতরে কেউ নেই । শফিক জীবনের মূল্য এইবার বুঝেছে । হঠাৎ চারদিকে আযানের ধ্বনি শুরু হলাে । মােরগগুলাে ডাকছে । মুহূর্তেই দুষ্ট জিনেরা চোখের সামনে থেকে গায়েব হয়ে গেল । শফিক দৌড়ে লালবাগের মসজিদের ভেতর ঢুকে নামাজ পড়তে শুরু করল । লালবাগ কেল্লায় অনেক রাজা - বাদশাহ ছিল । এখন তারা স্মৃতি । আদম সন্তানের দুটি দল আছে । তার মধ্যে একটি দল বাহ্যিক রূপটাকে বড় করে দেখে এবং নিজের জীবনের দীর্ঘায়ু কামনা করে । অপরটি হচ্ছে বুদ্ধিমান ব্যক্তিবর্গের দল । তারা শেষ নিঃশ্বাসটাকেই জীবনের পরম লক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করে । মানুষ যদি পরকাল এবং জীবনকাল সম্পর্কে হিসাব - নিকাশ করে তবে দেখতে পাবে দুনিয়াটা হচ্ছে একটি রাস্তার মত - যার আরম্ভ হচ্ছে দোলনা এবং শেষ হচ্ছে কবর । এই দুইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে কতগুলাে বিভিন্ন মঞ্জিল রয়েছে । প্রতিটি বৎসর এক - একটি স্বপ্ন , প্রতিটি মাস এক - একটি পরিকল্পনা । কেউ তার জীবন ভােগ বিলাসে পার্থিব উল্লাসে এবং কেউ তার জীবন সুশ খেলভাবে আত্মিক সাধনায় মানব কল্যাণে কাটিয়ে দেয় ।