যুদ্ধের ভিতরে যুদ্ধ

বাংলাদেশের মানুষ নিরন্তর যুদ্ধের মধ্যেই ছিলাে একাত্তরে ২৫ মার্চ । সভ্যতার ইতিহাসে একটি কালিমালিপ্ত দিন । জাগ্রত বাঙালি জাতিকে পদানত রাখার সর্বাত্মক হামলা । জনপদে অগ্নি সংযােগ , নির্বিচার গুলি , হত্যা , ধর্ষণ । বাঙালির সামনে দুটি পথ খােলা হয় মৃত্যু , নয় স্বাধীনতা । আক্রান্ত ইডেন ছাত্রীবাস থেকে পালিয়ে মেয়েটা আটকে গেলাে পুরনাে ঢাকায় । গােলাগুলির মাঝে উঠে পড়লাে একটি বাড়িতে । নির্জন । নবাবপুরের পরিত্যক্ত বাসার । অবস্থা দেখতে এলাে মশিউর । ঘাবড়ে গেলাে মেয়েটিকে দেখে । নিচের তলায় নিজের ওষুধালয়ে দিনের বেলা থাকে কবিরাজ । রাতে নির্জন । থাকার সমস্যা । বাবা রাজনীতি করেন । সর্বদা নিরাপত্তাহীনতা । শুরু হলাে টিকে থাকার যুদ্ধ । ভালােবাসার যুদ্ধ । প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে শঙ্কা । সেনা টহল । রাজাকার সন্ত্রাস । মুক্তিযােদ্ধাদের সতর্ক আগমণ যােগাযােগ । পটভূমি যুদ্ধ । হারুন উর রশীদ তার উপন্যাসের কাহিনি নির্মাণ করেছেন পায়ে পায়ে মৃত্যু ও আতঙ্কজড়ানাে রক্তাক্ত পথে থেকে । নিজের অভিজ্ঞতার বলয়ে । চরিত্র সবাই পরিচিত । ধারে কাছের মানুষ । পুরনাে ঢাকায় কীভাবে কেটেছে জীবন ? প্রাত্যহিক ঘটনাগুলাের রক্তপাত , মৃত্যু । পদে পদে শঙ্কা । অনিশ্চিত জীবন । এর ভেতরেও ফুটে ওঠে । ভালোবাসার ফুল । যৌবনের ধর্ম । দুজনের জন্য দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ে তবু ধর্ম দেয়াল তুলে দাড়াতে পারেনি ।