নজরুল সাহিত্যবিশারদের সাধনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ

এই বইয়ের ভূমিকায় লেখক লিখেছেন , কারাে যদি সত্যি সত্যি বলার কিছু না থাকে , তবে সেক্ষেত্রে তাঁর বলতে বা লিখতে যাওয়াটা স্রেফ বিড়ম্বনার পরিচায়ক । ' কথাগুলাে লেখার কারণ সম্ভবত এই যে , বর্তমানে আমাদের দেশে মৌলিকতাহীন বুদ্ধি ও মননচর্চার পরিমাণ ক্রমে বাড়ছে । একাডেমিক ডিগ্রির কিংবা প্রাবন্ধিক বা গবেষক হিসেবে পরিচিতি লাভের জন্য কেবল এখান সেখান থেকে কিছু উদ্ধৃতি নিয়ে ও কোনােরকমে তা সাজিয়ে প্রবন্ধ বা অভিসন্দর্ভ হিসেবে উপস্থাপনের প্রবণতা আজ চারপাশে ব্যাপকভাবেই দৃশ্যমান । বর্তমান প্রবন্ধগ্রন্থের লেখক গােড়া থেকেই এ ব্যাপারে তার স্বাতন্ত্রকে সুচিহ্নিত করতে পেরেছেন । পাঠক এই বইয়ের প্রবন্ধগুলােতেও যার পরিচয় পাবেন । লেখকের নিজস্ব চিন্তা বা দৃষ্টিভঙ্গি , তীক্ষ পর্যবেক্ষণ শক্তি , প্রবল যুক্তিনির্ভরতা , বক্তব্যের ধার ও স্বচ্ছতা , । ভাষার সারল্য ও স্পষ্টতা , এ সবকটি বৈশিষ্ট্যেরই সাক্ষাৎ যেমন তার অন্য সব রচনায় , তেমনি এই বইয়ের প্রবন্ধগুলােতেও পাওয়া যাবে । তা সে প্রবন্ধের বিষয় নজরুল , আবদুল করিম । সাহিত্যবিশারদ কিংবা সিকান্দার আবু জাফরের মতাে সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব , ফিদেল কাস্ত্রোর মতাে বিপ্লবী , হাজী মহসিনের মতাে দাতা যিনিই হন ; কিংবা হ্যালহেডের ব্যাকরণ বা রবীন্দ্রনাথের ছােটগল্প , যে বিষয়েই তিনি লেখেন না কেন । গবেষণাপ্রবৃত্তি তার লেখাকে সমৃদ্ধ করে , কিন্তু পাঠকের কাছে দুপাঠ্য করে তােলে না । এবার বইমেলায় স্বনামধন্য এই প্রাবন্ধিক - গবেষকের নতুন একটি প্রবন্ধের বই পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত