কালজয়ী সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনঃ জীবন ও সাধনা

(author),
500 TK 375 TK
- Pages
  • Save 125 Tk.

Description
বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী আবুল কালাম শামসুদ্দীন ( ১৮৯ . . ' ১৯৭৯ ) ছিলেন বাঙালি মুসলিম সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৎ । গত শতকের ত্রিশের দশক থেকে আমৃত্যু সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থেকে তিনি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন । দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । তবে ইতিহাসখ্যাত দৈনিক আজাদ ' পত্রিকায় দীর্ঘ ২২ বছর ( ১৯৪০ - ১৯৬২ ) সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে স্মরণীয় হয়ে আছেন । সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চায়ও তিনি খ্যাতি অর্জন করেন । সৃষ্টিশীল সাহিত্যের পাশাপাশি সমালােচনা সাহিত্য এবং অনুবাদের ক্ষেত্রে তার দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় । বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকবি হােমারের কালজয়ী মহাকাব্য ইলিয়ড ' তিনি প্রথম বাংলায় অনুবাদ করে খ্যাতি অর্জন করেন । মহাকবি কায়কোবাদের অমর মহাকাব্য ' মহাশ্মশান ' এর সমালােচনা মহাশ্মশান কাব্য ' প্রবন্ধ রচনা করে বাংলা সাহিত্যে আলােড়ন তুলেছিলেন । কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘ অগ্নিবীণা ' র প্রথম সমালােচনা করেছিলেন । তিনি এবং তাঁকে বাংলার জাতীয় কবি হিসেবে অভিহিত করেছিলেন ১৯২৭ সালে । অসম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চেতনায় শানিত ছিল তার হৃদয় । অদ্বৈত মল্লবর্মণের বিখ্যাত উপন্যাস “ তিতাস একটি নদীর নাম ' তিনি মাসিক ‘ মােহাম্মদী ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেন । শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তির ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন । সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশপাশি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন । ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র - জনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে তিনিই প্রথম প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন । ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে নির্মিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ( শহিদ মিনার ) তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন । ১৯৬৯ সালে তত্ত্বালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের শাসক আইয়ুব খানের গণবিরােধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তিনি তার দেয়া রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘ সেতারা - এ - খিদমত ( ১৯৬১ ) ও “ সিতারা - ই - ইমতিয়াজ ' ( ১৯৬৭ ) ত্যাগ করে দৃষ্টান্ত । স্থাপনে সক্ষম হন । আবুল কালাম শামসুদ্দীন ছিলেন বিবেকী ও প্রতিবাদী চেতনার সাংবাদিক । একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তিনি সবসময় সচেতন থাকতেন এবং জনতার সঙ্গে আত্মীয়তায় ও একাত্মায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ । সাংবাদিক হিসেবে তার জনপ্রিয়তা ও দুঃসাহসী ভূমিকার কথা সর্বজনবিদিত । সাংবাদিকতার মহান পেশায় নিয়ােজিত সাংবাদিকগণ গ্রন্থটি পাঠে প্রভূত উপকৃত হবেন । নতুন প্রজন্মের ইতিহাস সচেতন শিক্ষার্থীগণ এই বইয়ে খ্যাতিমান সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের সাধনা ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে জানার সুযােগ পাবেন ।

Publisher: সূচীপত্র
ISBN:
Number of pages: -


REVIEWS
বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী আবুল কালাম শামসুদ্দীন ( ১৮৯ . . ' ১৯৭৯ ) ছিলেন বাঙালি মুসলিম সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৎ । গত শতকের ত্রিশের দশক থেকে আমৃত্যু সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থেকে তিনি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন । দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । তবে ইতিহাসখ্যাত দৈনিক আজাদ ' পত্রিকায় দীর্ঘ ২২ বছর ( ১৯৪০ - ১৯৬২ ) সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে স্মরণীয় হয়ে আছেন । সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চায়ও তিনি খ্যাতি অর্জন করেন । সৃষ্টিশীল সাহিত্যের পাশাপাশি সমালােচনা সাহিত্য এবং অনুবাদের ক্ষেত্রে তার দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় । বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকবি হােমারের কালজয়ী মহাকাব্য ইলিয়ড ' তিনি প্রথম বাংলায় অনুবাদ করে খ্যাতি অর্জন করেন । মহাকবি কায়কোবাদের অমর মহাকাব্য ' মহাশ্মশান ' এর সমালােচনা মহাশ্মশান কাব্য ' প্রবন্ধ রচনা করে বাংলা সাহিত্যে আলােড়ন তুলেছিলেন । কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘ অগ্নিবীণা ' র প্রথম সমালােচনা করেছিলেন । তিনি এবং তাঁকে বাংলার জাতীয় কবি হিসেবে অভিহিত করেছিলেন ১৯২৭ সালে । অসম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চেতনায় শানিত ছিল তার হৃদয় । অদ্বৈত মল্লবর্মণের বিখ্যাত উপন্যাস “ তিতাস একটি নদীর নাম ' তিনি মাসিক ‘ মােহাম্মদী ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেন । শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তির ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন । সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশপাশি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন । ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র - জনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে তিনিই প্রথম প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন । ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে নির্মিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ( শহিদ মিনার ) তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন । ১৯৬৯ সালে তত্ত্বালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের শাসক আইয়ুব খানের গণবিরােধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তিনি তার দেয়া রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘ সেতারা - এ - খিদমত ( ১৯৬১ ) ও “ সিতারা - ই - ইমতিয়াজ ' ( ১৯৬৭ ) ত্যাগ করে দৃষ্টান্ত । স্থাপনে সক্ষম হন । আবুল কালাম শামসুদ্দীন ছিলেন বিবেকী ও প্রতিবাদী চেতনার সাংবাদিক । একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তিনি সবসময় সচেতন থাকতেন এবং জনতার সঙ্গে আত্মীয়তায় ও একাত্মায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ । সাংবাদিক হিসেবে তার জনপ্রিয়তা ও দুঃসাহসী ভূমিকার কথা সর্বজনবিদিত । সাংবাদিকতার মহান পেশায় নিয়ােজিত সাংবাদিকগণ গ্রন্থটি পাঠে প্রভূত উপকৃত হবেন । নতুন প্রজন্মের ইতিহাস সচেতন শিক্ষার্থীগণ এই বইয়ে খ্যাতিমান সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের সাধনা ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে জানার সুযােগ পাবেন ।
বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী আবুল কালাম শামসুদ্দীন ( ১৮৯ . . ' ১৯৭৯ ) ছিলেন বাঙালি মুসলিম সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৎ । গত শতকের ত্রিশের দশক থেকে আমৃত্যু সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থেকে তিনি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন । দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । তবে ইতিহাসখ্যাত দৈনিক আজাদ ' পত্রিকায় দীর্ঘ ২২ বছর ( ১৯৪০ - ১৯৬২ ) সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে স্মরণীয় হয়ে আছেন । সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চায়ও তিনি খ্যাতি অর্জন করেন । সৃষ্টিশীল সাহিত্যের পাশাপাশি সমালােচনা সাহিত্য এবং অনুবাদের ক্ষেত্রে তার দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় । বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকবি হােমারের কালজয়ী মহাকাব্য ইলিয়ড ' তিনি প্রথম বাংলায় অনুবাদ করে খ্যাতি অর্জন করেন । মহাকবি কায়কোবাদের অমর মহাকাব্য ' মহাশ্মশান ' এর সমালােচনা মহাশ্মশান কাব্য ' প্রবন্ধ রচনা করে বাংলা সাহিত্যে আলােড়ন তুলেছিলেন । কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘ অগ্নিবীণা ' র প্রথম সমালােচনা করেছিলেন । তিনি এবং তাঁকে বাংলার জাতীয় কবি হিসেবে অভিহিত করেছিলেন ১৯২৭ সালে । অসম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চেতনায় শানিত ছিল তার হৃদয় । অদ্বৈত মল্লবর্মণের বিখ্যাত উপন্যাস “ তিতাস একটি নদীর নাম ' তিনি মাসিক ‘ মােহাম্মদী ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেন । শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তির ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন । সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশপাশি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন । ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র - জনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে তিনিই প্রথম প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন । ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে নির্মিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ( শহিদ মিনার ) তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন । ১৯৬৯ সালে তত্ত্বালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের শাসক আইয়ুব খানের গণবিরােধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তিনি তার দেয়া রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘ সেতারা - এ - খিদমত ( ১৯৬১ ) ও “ সিতারা - ই - ইমতিয়াজ ' ( ১৯৬৭ ) ত্যাগ করে দৃষ্টান্ত । স্থাপনে সক্ষম হন । আবুল কালাম শামসুদ্দীন ছিলেন বিবেকী ও প্রতিবাদী চেতনার সাংবাদিক । একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তিনি সবসময় সচেতন থাকতেন এবং জনতার সঙ্গে আত্মীয়তায় ও একাত্মায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ । সাংবাদিক হিসেবে তার জনপ্রিয়তা ও দুঃসাহসী ভূমিকার কথা সর্বজনবিদিত । সাংবাদিকতার মহান পেশায় নিয়ােজিত সাংবাদিকগণ গ্রন্থটি পাঠে প্রভূত উপকৃত হবেন । নতুন প্রজন্মের ইতিহাস সচেতন শিক্ষার্থীগণ এই বইয়ে খ্যাতিমান সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের সাধনা ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে জানার সুযােগ পাবেন ।

Publisher: সূচীপত্র
Category: বইমেলা-২০১৯
ISBN:
Number of pages: -

Related Products