পুরো গল্প জুড়ে কী হয় কী হয় ধরনের একটা টেনশন, মানুষ বেশে ভূত-রাজকন্যার উচ্চশিক্ষা গ্রহন, মানুষের সাথে প্রেম, রোমান্স, বন্ধুত্ব, রোমহর্ষক যুদ্ধাবসস্থার নিপুন বিন্যাস। প্রচলিত ভূতে গল্পের চেয়ে ভিন্নতর টুপিখোলা স্যালুট লেখকের জন্য। আমার মনে হয় সবারই 'শাহজাদি আমান্ডা ভূত' পড়ার পর দারুন অনুভূতি হবে। ভার্সিটির হোস্টেলের রুমমেট আশার সাথে তার একটি ঘটনার মুহুর্ত বলার লোভ সংবরণ করতে পারছি না। যেমন-
"রুমে খাবার তেমন কিছু নেই। আশা আমান্ডাকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে ডিম কিনে আনতে বলে। আমান্ডা ছাতা না নিয়েই প্রবল বর্ষনের মাঝে ডিম কেনার জন্য দোকানে গেল। মুহুর্তে আমান্ডা একহালি ডিম নিয়ে রুমে হাজির হলো। কিন্তু আমান্ডার পা ভিজেনি। বিশয়টি লক্ষ্য করে আশা জিজ্ঞাসা করল কিরে তুই শুকনা কেন? বৃষ্টি কি তোকে ভেজাতে পারেনি? আশা জানে না ভূতের জাত বৃষ্টিতে ভিজতে পারে না।"
লেখকের কল্পনাশ্রমী 'শাহজাদী আমান্ডা ভূত'- সদুদ্দেশ্য তাড়িত ভিন্নমাত্রার আস্বাসপ্রবন একটি গল্প। আমার বন্ধু দানেশকে নিয়ে আমার গর্ব হয়। ছোটদের জন্য লেখকের বড় অভাব। এই ভুবনে তোমাকে স্বাগতম।
শেখ ফিরোজ আহমেদ
কবি/প্রবন্ধকার
Publisher:
যুক্ত প্রকাশনা
Category:
বইমেলা-২০১৯
ISBN:
Number of pages: -