কবিতার ক্যানভাস

আমায় কথা কবিতায় ত্রয়ী কোন নতুন ধরণ বা ধারা নয়। হিন্দিতে বলা হয় ত্রিবেণী এবং একজন বিখ্যাত উর্দু কবি গুলজার এই ত্রয়ী কবিতাকে বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছেন। উর্দু ভাষায় কবিতার এই ধরণকে “ সালাসি ” বলা হয়। নামকরা উর্দু কবি হেমায়েত আলী শায়ের উর্দু ভাষায় ত্রয়ী লিখে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন । বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ উর্দু কবি জনাব শামীম জামানভীও এই বিষয়ে বেশ পারদর্শী । আমার ত্রয়ী লেখার কারণ ভিন্ন। একবার আমি কিছু তরুণদের জিজ্ঞাসা করলাম তাঁরা কি কবিতা পড়ে? পড়লে কোন মাধ্যমে পড়ে। বেশীরভাগ তরুণরা বলল তারা কবিতা পড়ে কিন্তু ফেসবুকে পড়ে। আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম তারা কি সম্পূর্ণ কবিতা পড়ে? তখন তাদের মধ্যে অধিক সংখ্যক উত্তর ছিল, “ যেখানে বলা হয় , “ see more . . . . ( আরাে দেখেন ) তখন আর ক্লিক করি না "। ফেসবুকে কোন পােস্ট দিলে মাত্র তিন লাইনের পর এই লেখাটি চলে আসে। তখন আমি চিন্তা করলাম আমার ভাবনার “ ক্যাপসুল " বানিয়ে তিন লাইনে ব্যক্ত করতে হবে। আমি জানি আমার ত্রয়ী ’ র মান খুব উৎকৃষ্ট নয়, কিন্তু এটা একটি নগণ্য চেষ্টা মাত্র। এই ত্রয়ী ’ র সংকলনে নতুন মাত্রা যুগিয়েছে তরুণ চিত্র শিল্পী তারিক জুলফিকার। প্রত্যেকটি ত্রয়ীর সাথে তাঁর আঁকা চিত্র, কবিতার ভাবনাকে আরাে স্পষ্ট করে তুলেছে। এক কথায় বলা যেতে পারে এটা আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা। তারিক কে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ আমার প্রাক্তন সহকর্মী জানাব রওশন জাদীদ ’ এর কাছে তিনি আমাকে উৎসাহ দান করেছেন, আমার লেখা পড়েছেন এবং উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে লেখাটি আরাে সমদ্ধ করেছেন। আমার প্রকাশক জনাব জামাল আহমাদকে ধন্যবাদ জানাই যিনি এই বই প্রকাশ করার ঝুঁকি নিয়েছেন। সর্বশেষে আমার অর্ধাঙ্গিনী সালমা আক্তার হেনা কে ধন্যবাদ। এই বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়িত ব্যপারে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য । আশা করি এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সমাদৃত হবে । হাইকেল হাশমী ঢাকা , ১৮ / ০১ / ১৯