বিচ্ছিন্ন সফলতার গল্প

প্রথম বালিকা পায় কালকে সঙ্গে এবং যুক্তরাষ্টে ও শঙ্করের বাংলাদেশি । | বিজ্ঞানী ও একজন বােকা মুসলিমের কথা প্রথমে আমার এই বইটির নাম ছিল এরকমই। নামটি পাঠকের কাছে বেখাপ্পা লাগবে। লাগবে কেন বলছি বেখাপ্পাই। আমার কাছেও কেমন কেমন যেন মনে হচ্ছে। একটা বইয়ের নাম এত বিশাল কেন হবে ? তাও যদি শুনতে ভালাে লাগতাে কিংবা দেখতে ভালাে লাগতাে। এখানে তার কোনােটিই নেই। কিন্তু তারপরেও এই নামটিই আমার রাখতে ইচ্ছে হলাে । কারণ হচ্ছে আমেরিকায় ৬ বছরের বাংলাদেশি যে বিজ্ঞানীর কথা বলছি তাকে দেখে আমি অবাক এবং বিস্মিত হয়েছি। ওকে দেখে আমার অন্যরকম এক অনুভূতি হয়েছে। তাই মনে হলাে - বইয়ের মলাটেই ক্ষুদে বিজ্ঞানীকে রাখতে চাই। আর যে বােকা মুসলিমের কথা বলছি তিনিও বাংলাদেশের। থাকেন কানাডায়। বলা যেতে পারে কানাডায় বেশ প্রভাবশালী এবং এলিট। ক্ষুদে বিজ্ঞানীর বয়স ৬ হলেও কানাডার বােকা মুসলিমের বয়স এখন ৮৫ ছুঁইইছুঁই । মনে হলাে তাকেও আমার মলাটে রাখা চাই । এই জন্য বইয়ের মলাটে রেখেছি দুজনকে। আর প্রথম বালিকা , দ্বিতীয় বালকের সঙ্গে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বালক বালিকা কেউ কাউকে চেনে না, জানে না । এমনকি জীবনে এক জনের সঙ্গে অন্য জনের দেখাও হয়নি। যাই হােক সহকর্মী পরাগ আজিম বল্লেন, বিশাল নাম । পাঠকের আগ্রহ নাও থাকতে পারে । তাকে বল্লাম, নাও থাকতে পারে মানে কী ? থাকবেই না । পরাগ ' এইসব বিচ্ছিন্ন সফলতার গল্প নামটি দিয়ে বলেন, দেখেন পছন্দ হয় কি - না । নামটি পছন্দ হয়েছে বটে তবে এর সঙ্গে বইয়ের বিষয়বস্তুও মলাটে রেখে দিলাম। দীর্ঘ নাম তারপরেও রাখলাম। তবে বইয়ের মূল কাজ যিনি করেন অর্থাৎ কম্পিউটারের কহ, সেই আনিসুর রহমান ভাই বলেন, বিচ্ছিন্নতার সফলতার গল্প ' নামটিই তার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এই নামটিই রেখে দিলাম।