অভিমানী অভিমন্যু

(author),
550 TK 412 TK
- Pages
  • Save 138 Tk.

Description
স্বদেশী যুগের মহা রাসবিহারী বসু , বাঘা যতীন , শ্ৰীশ কানাই বা সূর্য সেন . . . . সার বাধা সব অভিমন্যুর নাড়র ছেঁড়া বেদনার আখ্যান 'অভিমানী অভিমন্যু।' কেবল এঁরাই নন , এ রকম অজস্র বিপ্লবীকে সে সময় অসহ অভিমান নিয়ে সরে যেতে হয়েছে । সরে যেতে হয়েছে এই পৃথিবী থেকে ফাঁসীর দড়িতে জীবনাহুতি দিয়ে , সেলুলার জেলের অন্ধকারে , অথবা জননী জন্মভূমি ছেড়ে । সেই সব অভিমানের আশ্রয় ভূমি এই উপন্যাস । এবং এ অভিমানও নতুন কিছু নয় । অভিমান ছিল মহাভারতের অর্জুন - পুত্র অভিমন্যুরও । সময়টা কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের । তখনকার জটিল রণ - কৌশল চক্রবুহ্য ' । চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে আর বেরুতে পারতেন কেবল অর্জুন । । কেমন করে সেটা করতে হয়, একদিন সে কথা অর্জুন বােঝাচ্ছিলেন অভিমন্যুর মাকে , আর অভিমন্যু ছিল মায়ের গর্ভে । মায়ের শ্রবণের মধ্য দিয়ে অভিমন্য শুনতে পেয়েছিল কেমন করে ‘ চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে হয় , কিন্তু মা ঘুমিয়ে পড়ায় জানতে পারেনি কেমন করে বেরুতে হয় সে কথাটি । অর্জুনের অনুপস্থিতিতে যুদ্ধের প্রয়ােজনে অভিমন্যুকে ‘ চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে হয় । প্রত্যাশা ছিল অর্জুন তাড়াতাড়ি ফিরবেন । তিনি ফিরতে পারেননি । অর্জুন যথা সময়ে ফিরতে পারলে বা , মা ঘুমিয়ে না পড়লে এমন অসময়ে অভিমন্যকে মেরে ফেলতে পারত না সাত মহারথী সবে কিশাের বালক তখন সে। সেই অসহায় অভিমান । স্বদেশী যুগের বিপ্লবীদের অভিমানও ছিল অসহায় । আসলে অভিমন্যরা কখনাে মরে না । তখনকার , এখনকার . আপনার , আমার সব সময়ের সব অভিমানের ভেতরেই কোথাও না কোথাও জড়িয়ে থাকে একজন করে অভিমন্য । আখ্যানটি পড়বার পর এ রকম একটা অনুভব পাঠককে আচ্ছন্ন করতে বাধ্য।

Publisher: মূর্ধন্য
ISBN: 9789845043304
Number of pages: -


REVIEWS
স্বদেশী যুগের মহা রাসবিহারী বসু , বাঘা যতীন , শ্ৰীশ কানাই বা সূর্য সেন . . . . সার বাধা সব অভিমন্যুর নাড়র ছেঁড়া বেদনার আখ্যান 'অভিমানী অভিমন্যু।' কেবল এঁরাই নন , এ রকম অজস্র বিপ্লবীকে সে সময় অসহ অভিমান নিয়ে সরে যেতে হয়েছে । সরে যেতে হয়েছে এই পৃথিবী থেকে ফাঁসীর দড়িতে জীবনাহুতি দিয়ে , সেলুলার জেলের অন্ধকারে , অথবা জননী জন্মভূমি ছেড়ে । সেই সব অভিমানের আশ্রয় ভূমি এই উপন্যাস । এবং এ অভিমানও নতুন কিছু নয় । অভিমান ছিল মহাভারতের অর্জুন - পুত্র অভিমন্যুরও । সময়টা কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের । তখনকার জটিল রণ - কৌশল চক্রবুহ্য ' । চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে আর বেরুতে পারতেন কেবল অর্জুন । । কেমন করে সেটা করতে হয়, একদিন সে কথা অর্জুন বােঝাচ্ছিলেন অভিমন্যুর মাকে , আর অভিমন্যু ছিল মায়ের গর্ভে । মায়ের শ্রবণের মধ্য দিয়ে অভিমন্য শুনতে পেয়েছিল কেমন করে ‘ চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে হয় , কিন্তু মা ঘুমিয়ে পড়ায় জানতে পারেনি কেমন করে বেরুতে হয় সে কথাটি । অর্জুনের অনুপস্থিতিতে যুদ্ধের প্রয়ােজনে অভিমন্যুকে ‘ চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে হয় । প্রত্যাশা ছিল অর্জুন তাড়াতাড়ি ফিরবেন । তিনি ফিরতে পারেননি । অর্জুন যথা সময়ে ফিরতে পারলে বা , মা ঘুমিয়ে না পড়লে এমন অসময়ে অভিমন্যকে মেরে ফেলতে পারত না সাত মহারথী সবে কিশাের বালক তখন সে। সেই অসহায় অভিমান । স্বদেশী যুগের বিপ্লবীদের অভিমানও ছিল অসহায় । আসলে অভিমন্যরা কখনাে মরে না । তখনকার , এখনকার . আপনার , আমার সব সময়ের সব অভিমানের ভেতরেই কোথাও না কোথাও জড়িয়ে থাকে একজন করে অভিমন্য । আখ্যানটি পড়বার পর এ রকম একটা অনুভব পাঠককে আচ্ছন্ন করতে বাধ্য।
স্বদেশী যুগের মহা রাসবিহারী বসু , বাঘা যতীন , শ্ৰীশ কানাই বা সূর্য সেন . . . . সার বাধা সব অভিমন্যুর নাড়র ছেঁড়া বেদনার আখ্যান 'অভিমানী অভিমন্যু।' কেবল এঁরাই নন , এ রকম অজস্র বিপ্লবীকে সে সময় অসহ অভিমান নিয়ে সরে যেতে হয়েছে । সরে যেতে হয়েছে এই পৃথিবী থেকে ফাঁসীর দড়িতে জীবনাহুতি দিয়ে , সেলুলার জেলের অন্ধকারে , অথবা জননী জন্মভূমি ছেড়ে । সেই সব অভিমানের আশ্রয় ভূমি এই উপন্যাস । এবং এ অভিমানও নতুন কিছু নয় । অভিমান ছিল মহাভারতের অর্জুন - পুত্র অভিমন্যুরও । সময়টা কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের । তখনকার জটিল রণ - কৌশল চক্রবুহ্য ' । চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে আর বেরুতে পারতেন কেবল অর্জুন । । কেমন করে সেটা করতে হয়, একদিন সে কথা অর্জুন বােঝাচ্ছিলেন অভিমন্যুর মাকে , আর অভিমন্যু ছিল মায়ের গর্ভে । মায়ের শ্রবণের মধ্য দিয়ে অভিমন্য শুনতে পেয়েছিল কেমন করে ‘ চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে হয় , কিন্তু মা ঘুমিয়ে পড়ায় জানতে পারেনি কেমন করে বেরুতে হয় সে কথাটি । অর্জুনের অনুপস্থিতিতে যুদ্ধের প্রয়ােজনে অভিমন্যুকে ‘ চক্রবুহ্য ভেদ করে ঢুকতে হয় । প্রত্যাশা ছিল অর্জুন তাড়াতাড়ি ফিরবেন । তিনি ফিরতে পারেননি । অর্জুন যথা সময়ে ফিরতে পারলে বা , মা ঘুমিয়ে না পড়লে এমন অসময়ে অভিমন্যকে মেরে ফেলতে পারত না সাত মহারথী সবে কিশাের বালক তখন সে। সেই অসহায় অভিমান । স্বদেশী যুগের বিপ্লবীদের অভিমানও ছিল অসহায় । আসলে অভিমন্যরা কখনাে মরে না । তখনকার , এখনকার . আপনার , আমার সব সময়ের সব অভিমানের ভেতরেই কোথাও না কোথাও জড়িয়ে থাকে একজন করে অভিমন্য । আখ্যানটি পড়বার পর এ রকম একটা অনুভব পাঠককে আচ্ছন্ন করতে বাধ্য।

Publisher: মূর্ধন্য
Category: বইমেলা-২০১৯
ISBN: 9789845043304
Number of pages: -

Related Products