নিস্তব্ধ সিমলার কোলে

উপন্যাসটিতে তারুণ্যের জয়গান রয়েছে ।প্রাণবন্ত তারুণ্যের ছায়াতলে লক্ষ করা যায় জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের শৃঙ্খলার মধ্যে ফুটে ওঠে অনাগত ভবিষ্যতের রূপ । কখনাে কখনাে জীবনের জলছবিতে তুলির আঁচড় পড়ে কালের সীমানা ধরে । সেখানে বাস্তব জীবন যেমন সত্য হয়ে ওঠে , তেমনি শিল্পের মাধ্যম হিসেবে ঐতিহাসিক ঘটনার আশ্রয় নিতে দেখা যায় । ঐতিহাসিক চরিত্রের মধ্যে বর্তমান যাপিতজীবনকে মিলিয়ে দেখার অভীপ্সা তৈরি হয় । ইতিহাস থেকে রসদ নিয়ে বাস্তব জীবনকে সুখ - দুঃখ - স্নেহ - বিষাদে পূর্ণ করতে দেখা যায় । মূলত উপন্যাসিক এখানে ইতিহাসের পাঠ নেওয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তব চরিত্রের মানবীয় দিকগুলােকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন । এই উদ্দেশ্যে উপন্যাসিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীকে সুদূর সিমলা নিয়ে গেছেন । আপন পরিবেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা নতুন প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয় । নিজেদের উপলব্ধিতেই জাগিয়ে তােলে হৃদয়ের সুপ্ত বাসনা । অতৃপ্ত হৃদয় । বারবার প্রাকৃতিক পরিবেশকে উপলব্ধি করতে চায় । কিন্তু সেই উপলব্ধিতে বাধা হয়ে দাড়ায় সময়ের । অনিবার্য সংকট |