ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ভগ্নীদ্বয় জোন ও রুমার গডেনের পূর্ববঙ্গের স্মৃতিকথা

(author),
275 TK 206 TK
- Pages
  • Save 69 Tk.

Description
১৯১৪ সালের নভেম্বর মাসে জোন ও রুমার গডেন নামে । দুই বােন লন্ডন থেকে ভারতে ফিরলেন । ভারতবর্ষে তখন । ব্রিটিশ শাসন । গডেন ভগ্নীদ্বয়ের বাবা কাজ করতেন ভারতে , দুই মেয়েকে ' মানুষ করতে লন্ডন পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল , জেপেলিন এয়ারশিপের বােমা হামলার আশঙ্কায় তখন লন্ডনের মানুষ উদ্বিগ্ন । গডেনদের বাবার । কর্মস্থল তখন তৎকালীন পূর্ববঙ্গের নারায়ণগঞ্জে । উদ্বিগ্ন । মিস্টার ও মিসেস গডেন মেয়েদের লন্ডন থেকে ফিরিয়ে । আনলেন নিজেদের কাছে । জোনের বয়স তখন সাত আর রুমারের ছা । ১৯১৪ থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে পুরাে । গডেন - পরিবার নারায়ণগঞ্জে বাস করেছিল । নারায়ণগঞ্জে কাটানাে পাচটি বছরের স্মৃতি নিয়ে জোন ও রুমার গড়েন যৌথভাবে লিখেছেন টু আল্ডার দি ইন্ডিয়ান সান । বইটি ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় ; প্রকাশক ছিল আলফ্রেড এ . নফ এবং দ্য ভাইকিং প্রেস । প্রকাশের পর বইটি প্রভাবশালী বুক রিভিউয়ার , যেমন নিউ ইয়র্ক টাইমস , দ্য গার্ডিয়ান , সানডে টাইমস , ডেইলি টেলিগ্রাফ , বুকস অ্যান্ড । বুকমেন থেকে উচ্ছসিত প্রশংসা পায় । ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ভগ্নীদ্বয় জোন ও রুমার গডেনের পূর্ববঙ্গের স্মৃতিকথা এ ! গ্রন্থেরই অনুবাদ । । দুই বােনের জন্য নারায়ণগঞ্জে বসবাস ছিল এক অনন্য । অভিজ্ঞতা । তাদের শিশু কিন্তু অনুসন্ধিৎসু চোখ এবং মন সেকালের পূর্ববাংলার মানুষ ও সমাজকে দেখেছে গভীর মনােযােগে । মাটির ঘ্রাণ থেকে নদীর কলতান কিংবা বাজারে । মানুষের কোলাহল থেকে বর্ণপ্রথা কিছুই তাদের চোখ । এড়ায়নি । বাংলা তাদের কাছে ছিল পায়ে - লাগা রােদে পােড়া সােনালি ধূলিকণা , বাজারে নানা রঙের পােশাকের মানুষ । ভিক্ষুক , মন্দিরে থাকা দেব - দেবীর মূর্তি বা ছবি , স্টিমারের । সাইরেন , সরিষা - নারিকেল তেলের ঘ্রাণ , আকাশে ওড়া ঘুড়ি । বাংলার মানুষকেও দুইবােন দেখেছেন আগ্রহ নিয়ে । তারা আমাদের দেখিয়েছেন ধর্ম , জাত , রীতি - প্রথা , ত্বকের বর্ণ দিয়ে বিভক্ত বাংলার মানুষকে ; তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব , এমনকি দাঙ্গাকেও । জোন ও রুম্মার গডেনের এই স্মৃতিকথা কেবল শৈশবের । স্মৃতিচারণ নয় , বরং বিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার প্রাত্যহিক সমাজজীবনের এক জীবন্ত দলিল । বিংশ শতকের শুরুর ভাগে সময়টা আজকের মতাে ছিল না । জোন ও রুমার নিজেরাই লিখেছেন , “ তখন সবকিছু ছিল । সরল , অকপট । যা তা , সেটা তাই । আনন্দ মানে আনন্দ , আশা বলতে আশাহ বােঝাত , ভয় মানে ভয় , বেদনা মানে বেদনা , ব্যথা মনে ব্যথা ; এরা কেউই একে অন্যের ঘরে । অনুমতি না নিয়ে ঢুকে পড়েনি কিংবা একে অন্যের সঙ্গে । মিশেও যায়নি । পরবর্তীকালে জীবন অবশ্যম্ভাবীরূপে অস্পষ্ট হয়েছে , তাতে বাদ মিশেছে কিন্তু তখন সবকিছু ছিল বৃষ্টির । জলের মতাে টলমল , স্বচ্ছ । ”

Publisher: দিব্য প্রকাশ
ISBN: 978-984-92395225
Number of pages: -


REVIEWS
১৯১৪ সালের নভেম্বর মাসে জোন ও রুমার গডেন নামে । দুই বােন লন্ডন থেকে ভারতে ফিরলেন । ভারতবর্ষে তখন । ব্রিটিশ শাসন । গডেন ভগ্নীদ্বয়ের বাবা কাজ করতেন ভারতে , দুই মেয়েকে ' মানুষ করতে লন্ডন পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল , জেপেলিন এয়ারশিপের বােমা হামলার আশঙ্কায় তখন লন্ডনের মানুষ উদ্বিগ্ন । গডেনদের বাবার । কর্মস্থল তখন তৎকালীন পূর্ববঙ্গের নারায়ণগঞ্জে । উদ্বিগ্ন । মিস্টার ও মিসেস গডেন মেয়েদের লন্ডন থেকে ফিরিয়ে । আনলেন নিজেদের কাছে । জোনের বয়স তখন সাত আর রুমারের ছা । ১৯১৪ থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে পুরাে । গডেন - পরিবার নারায়ণগঞ্জে বাস করেছিল । নারায়ণগঞ্জে কাটানাে পাচটি বছরের স্মৃতি নিয়ে জোন ও রুমার গড়েন যৌথভাবে লিখেছেন টু আল্ডার দি ইন্ডিয়ান সান । বইটি ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় ; প্রকাশক ছিল আলফ্রেড এ . নফ এবং দ্য ভাইকিং প্রেস । প্রকাশের পর বইটি প্রভাবশালী বুক রিভিউয়ার , যেমন নিউ ইয়র্ক টাইমস , দ্য গার্ডিয়ান , সানডে টাইমস , ডেইলি টেলিগ্রাফ , বুকস অ্যান্ড । বুকমেন থেকে উচ্ছসিত প্রশংসা পায় । ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ভগ্নীদ্বয় জোন ও রুমার গডেনের পূর্ববঙ্গের স্মৃতিকথা এ ! গ্রন্থেরই অনুবাদ । । দুই বােনের জন্য নারায়ণগঞ্জে বসবাস ছিল এক অনন্য । অভিজ্ঞতা । তাদের শিশু কিন্তু অনুসন্ধিৎসু চোখ এবং মন সেকালের পূর্ববাংলার মানুষ ও সমাজকে দেখেছে গভীর মনােযােগে । মাটির ঘ্রাণ থেকে নদীর কলতান কিংবা বাজারে । মানুষের কোলাহল থেকে বর্ণপ্রথা কিছুই তাদের চোখ । এড়ায়নি । বাংলা তাদের কাছে ছিল পায়ে - লাগা রােদে পােড়া সােনালি ধূলিকণা , বাজারে নানা রঙের পােশাকের মানুষ । ভিক্ষুক , মন্দিরে থাকা দেব - দেবীর মূর্তি বা ছবি , স্টিমারের । সাইরেন , সরিষা - নারিকেল তেলের ঘ্রাণ , আকাশে ওড়া ঘুড়ি । বাংলার মানুষকেও দুইবােন দেখেছেন আগ্রহ নিয়ে । তারা আমাদের দেখিয়েছেন ধর্ম , জাত , রীতি - প্রথা , ত্বকের বর্ণ দিয়ে বিভক্ত বাংলার মানুষকে ; তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব , এমনকি দাঙ্গাকেও । জোন ও রুম্মার গডেনের এই স্মৃতিকথা কেবল শৈশবের । স্মৃতিচারণ নয় , বরং বিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার প্রাত্যহিক সমাজজীবনের এক জীবন্ত দলিল । বিংশ শতকের শুরুর ভাগে সময়টা আজকের মতাে ছিল না । জোন ও রুমার নিজেরাই লিখেছেন , “ তখন সবকিছু ছিল । সরল , অকপট । যা তা , সেটা তাই । আনন্দ মানে আনন্দ , আশা বলতে আশাহ বােঝাত , ভয় মানে ভয় , বেদনা মানে বেদনা , ব্যথা মনে ব্যথা ; এরা কেউই একে অন্যের ঘরে । অনুমতি না নিয়ে ঢুকে পড়েনি কিংবা একে অন্যের সঙ্গে । মিশেও যায়নি । পরবর্তীকালে জীবন অবশ্যম্ভাবীরূপে অস্পষ্ট হয়েছে , তাতে বাদ মিশেছে কিন্তু তখন সবকিছু ছিল বৃষ্টির । জলের মতাে টলমল , স্বচ্ছ । ”
১৯১৪ সালের নভেম্বর মাসে জোন ও রুমার গডেন নামে । দুই বােন লন্ডন থেকে ভারতে ফিরলেন । ভারতবর্ষে তখন । ব্রিটিশ শাসন । গডেন ভগ্নীদ্বয়ের বাবা কাজ করতেন ভারতে , দুই মেয়েকে ' মানুষ করতে লন্ডন পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল , জেপেলিন এয়ারশিপের বােমা হামলার আশঙ্কায় তখন লন্ডনের মানুষ উদ্বিগ্ন । গডেনদের বাবার । কর্মস্থল তখন তৎকালীন পূর্ববঙ্গের নারায়ণগঞ্জে । উদ্বিগ্ন । মিস্টার ও মিসেস গডেন মেয়েদের লন্ডন থেকে ফিরিয়ে । আনলেন নিজেদের কাছে । জোনের বয়স তখন সাত আর রুমারের ছা । ১৯১৪ থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে পুরাে । গডেন - পরিবার নারায়ণগঞ্জে বাস করেছিল । নারায়ণগঞ্জে কাটানাে পাচটি বছরের স্মৃতি নিয়ে জোন ও রুমার গড়েন যৌথভাবে লিখেছেন টু আল্ডার দি ইন্ডিয়ান সান । বইটি ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় ; প্রকাশক ছিল আলফ্রেড এ . নফ এবং দ্য ভাইকিং প্রেস । প্রকাশের পর বইটি প্রভাবশালী বুক রিভিউয়ার , যেমন নিউ ইয়র্ক টাইমস , দ্য গার্ডিয়ান , সানডে টাইমস , ডেইলি টেলিগ্রাফ , বুকস অ্যান্ড । বুকমেন থেকে উচ্ছসিত প্রশংসা পায় । ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ভগ্নীদ্বয় জোন ও রুমার গডেনের পূর্ববঙ্গের স্মৃতিকথা এ ! গ্রন্থেরই অনুবাদ । । দুই বােনের জন্য নারায়ণগঞ্জে বসবাস ছিল এক অনন্য । অভিজ্ঞতা । তাদের শিশু কিন্তু অনুসন্ধিৎসু চোখ এবং মন সেকালের পূর্ববাংলার মানুষ ও সমাজকে দেখেছে গভীর মনােযােগে । মাটির ঘ্রাণ থেকে নদীর কলতান কিংবা বাজারে । মানুষের কোলাহল থেকে বর্ণপ্রথা কিছুই তাদের চোখ । এড়ায়নি । বাংলা তাদের কাছে ছিল পায়ে - লাগা রােদে পােড়া সােনালি ধূলিকণা , বাজারে নানা রঙের পােশাকের মানুষ । ভিক্ষুক , মন্দিরে থাকা দেব - দেবীর মূর্তি বা ছবি , স্টিমারের । সাইরেন , সরিষা - নারিকেল তেলের ঘ্রাণ , আকাশে ওড়া ঘুড়ি । বাংলার মানুষকেও দুইবােন দেখেছেন আগ্রহ নিয়ে । তারা আমাদের দেখিয়েছেন ধর্ম , জাত , রীতি - প্রথা , ত্বকের বর্ণ দিয়ে বিভক্ত বাংলার মানুষকে ; তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব , এমনকি দাঙ্গাকেও । জোন ও রুম্মার গডেনের এই স্মৃতিকথা কেবল শৈশবের । স্মৃতিচারণ নয় , বরং বিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলার প্রাত্যহিক সমাজজীবনের এক জীবন্ত দলিল । বিংশ শতকের শুরুর ভাগে সময়টা আজকের মতাে ছিল না । জোন ও রুমার নিজেরাই লিখেছেন , “ তখন সবকিছু ছিল । সরল , অকপট । যা তা , সেটা তাই । আনন্দ মানে আনন্দ , আশা বলতে আশাহ বােঝাত , ভয় মানে ভয় , বেদনা মানে বেদনা , ব্যথা মনে ব্যথা ; এরা কেউই একে অন্যের ঘরে । অনুমতি না নিয়ে ঢুকে পড়েনি কিংবা একে অন্যের সঙ্গে । মিশেও যায়নি । পরবর্তীকালে জীবন অবশ্যম্ভাবীরূপে অস্পষ্ট হয়েছে , তাতে বাদ মিশেছে কিন্তু তখন সবকিছু ছিল বৃষ্টির । জলের মতাে টলমল , স্বচ্ছ । ”

Publisher: দিব্য প্রকাশ
Category: বইমেলা-২০১৯
ISBN: 978-984-92395225
Number of pages: -

Related Products