100 TK 75 TK
- Pages
  • Save 25 Tk.

Description
তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে লেখা অপরাজেয় কথাশিল্পী "শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়" এর বিখ্যাত উপন্যাস 'দেবদাস'। ছোটবেলা থেকেই দেবদাস আর পার্বতীর শখ্যতা। দুজনে একসাথে ঘুরাফেরা করে, পাঠশালায় যায়, মাছ ধরে। দেবদাস পার্বতীকে ডাকে 'পারু' বলে আর পারু দেববদাস কে 'দেবদা' বলে ডাকে। দেবদাস সবসময় পার্বতীর উপর খবরদারিত্ব করে। অল্প কারণেই গায়ে হাত উঠায়। একবার পারুর কপালে মেরে দেবদাস দাগ বসিয়ে দেয়। পারু সেই দাগকে দেবদা'র স্মৃতি ভেবে ভালোবাসার কোমলতায় গ্রহন করে। দেবদাস তার চঞ্চলতার কারণে নানান সমস্যায় পরে। পার্বতী সেই সকল সমস্যার সমাধানে মরিয়া থাকে সবসসয়। তার দেবদা'র কোন অনিষ্ট সে হতেই দিতে পারে না। দেবদাস শাস্তির ভয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকলে সেখানে তার জন্য খাবার নিয়ে যায় পার্বতী। উপন্যাসে এমন আরো কিছু ঘটনা দেবদাসের প্রতি পারুর এক আজন্ম টানের প্রকাশ বোঝায়। হঠাৎ দেবদাস পড়ালেখার জন্য দূরে চলে যায়। বড় হয়ে ফিরে আসে। পার্বতীর মনে দেবদাসের জন্য জমে থাকা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে চায় পার্বতী। একদিন রাতের আঁধারে দেবদাসের পায়ে পরে কান্না করে পার্বতী। দেবদাস নিজের পায়ে নোনাজলের স্পর্শে জেগে উঠে। দেবদাস আঁৎকে উঠে। জিজ্ঞাসা করে, কেউ দেখেছে কি না। পারু জানায়, একজন দেখেছে বোধ হয়। দেবদাস পার্বতীকে চলে যেতে বলে। কেউ দেখলে কলঙ্ক হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে। তখনই উপন্যাসের সেরা উক্তিটি করে পার্বতী। বলে, "দেবদা নদীতে কত জল। অত জলেও কি আমার কলঙ্ক চাপা পড়বে না"। পার্বতীর মা দেবদাসকে জামাই করতে রাজী থাকলেও জমিদার পুত্রের সাথে কিছুতেই বেচা-কেনা ঘরের মেয়ের বিয়ে হতে দিবে না দেবদাসের বাবা। বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়। এই অমর বাক্যকে সত্য প্রমাণিত করে পার্বতীর এক বৃদ্ধ ধনী ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়ে যায়। নিজের বুকে অসীম যন্ত্রণা নিয়েও দেবদাস কিছুই করতে পারে না। পার্বতীর বিয়ের পর থেকেই দেবদাসের জীবনে অধঃপতন শুরু হয়। মদকে সে আপন করে নেয়। বাড়ি ছেড়ে কলকাতা চলে যায়। দেবদাসের জীবনে আসে নর্তকী চন্দ্রমুখী। সে ভালোবেসে ফেলে দেবদাসকে। দেবদাসের মনে কী জায়গা পেয়েছিল চন্দ্রমুখী? কী কী ঘটেছিলো চন্দ্রমুখী আর দেবদাসের মধ্যে? সেটা তো "দেবদাস" পাঠের মাধ্যমেই জানা যাবে। মদ খেয়ে কঠিন অসুখ বাঁধায় দেবদাস। পার্বতীর স্বামীর বাড়ির সামনে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। সৎ পুত্রের কাছে যখন পার্বতী দেবদাসের মৃত্যুর খবর জানতে পারে, তখন পার্বতীর কেমন অনুভূতি হয়েছিল, সেটা কী আমরা অনুভব করতে পারি? by: Md Hridoy Mahmud

Publisher: অবসর প্রকাশনা সংস্থা
ISBN:
Number of pages: -


REVIEWS
তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে লেখা অপরাজেয় কথাশিল্পী "শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়" এর বিখ্যাত উপন্যাস 'দেবদাস'। ছোটবেলা থেকেই দেবদাস আর পার্বতীর শখ্যতা। দুজনে একসাথে ঘুরাফেরা করে, পাঠশালায় যায়, মাছ ধরে। দেবদাস পার্বতীকে ডাকে 'পারু' বলে আর পারু দেববদাস কে 'দেবদা' বলে ডাকে। দেবদাস সবসময় পার্বতীর উপর খবরদারিত্ব করে। অল্প কারণেই গায়ে হাত উঠায়। একবার পারুর কপালে মেরে দেবদাস দাগ বসিয়ে দেয়। পারু সেই দাগকে দেবদা'র স্মৃতি ভেবে ভালোবাসার কোমলতায় গ্রহন করে। দেবদাস তার চঞ্চলতার কারণে নানান সমস্যায় পরে। পার্বতী সেই সকল সমস্যার সমাধানে মরিয়া থাকে সবসসয়। তার দেবদা'র কোন অনিষ্ট সে হতেই দিতে পারে না। দেবদাস শাস্তির ভয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকলে সেখানে তার জন্য খাবার নিয়ে যায় পার্বতী। উপন্যাসে এমন আরো কিছু ঘটনা দেবদাসের প্রতি পারুর এক আজন্ম টানের প্রকাশ বোঝায়। হঠাৎ দেবদাস পড়ালেখার জন্য দূরে চলে যায়। বড় হয়ে ফিরে আসে। পার্বতীর মনে দেবদাসের জন্য জমে থাকা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে চায় পার্বতী। একদিন রাতের আঁধারে দেবদাসের পায়ে পরে কান্না করে পার্বতী। দেবদাস নিজের পায়ে নোনাজলের স্পর্শে জেগে উঠে। দেবদাস আঁৎকে উঠে। জিজ্ঞাসা করে, কেউ দেখেছে কি না। পারু জানায়, একজন দেখেছে বোধ হয়। দেবদাস পার্বতীকে চলে যেতে বলে। কেউ দেখলে কলঙ্ক হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে। তখনই উপন্যাসের সেরা উক্তিটি করে পার্বতী। বলে, "দেবদা নদীতে কত জল। অত জলেও কি আমার কলঙ্ক চাপা পড়বে না"। পার্বতীর মা দেবদাসকে জামাই করতে রাজী থাকলেও জমিদার পুত্রের সাথে কিছুতেই বেচা-কেনা ঘরের মেয়ের বিয়ে হতে দিবে না দেবদাসের বাবা। বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়। এই অমর বাক্যকে সত্য প্রমাণিত করে পার্বতীর এক বৃদ্ধ ধনী ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়ে যায়। নিজের বুকে অসীম যন্ত্রণা নিয়েও দেবদাস কিছুই করতে পারে না। পার্বতীর বিয়ের পর থেকেই দেবদাসের জীবনে অধঃপতন শুরু হয়। মদকে সে আপন করে নেয়। বাড়ি ছেড়ে কলকাতা চলে যায়। দেবদাসের জীবনে আসে নর্তকী চন্দ্রমুখী। সে ভালোবেসে ফেলে দেবদাসকে। দেবদাসের মনে কী জায়গা পেয়েছিল চন্দ্রমুখী? কী কী ঘটেছিলো চন্দ্রমুখী আর দেবদাসের মধ্যে? সেটা তো "দেবদাস" পাঠের মাধ্যমেই জানা যাবে। মদ খেয়ে কঠিন অসুখ বাঁধায় দেবদাস। পার্বতীর স্বামীর বাড়ির সামনে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। সৎ পুত্রের কাছে যখন পার্বতী দেবদাসের মৃত্যুর খবর জানতে পারে, তখন পার্বতীর কেমন অনুভূতি হয়েছিল, সেটা কী আমরা অনুভব করতে পারি? by: Md Hridoy Mahmud
তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে লেখা অপরাজেয় কথাশিল্পী "শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়" এর বিখ্যাত উপন্যাস 'দেবদাস'। ছোটবেলা থেকেই দেবদাস আর পার্বতীর শখ্যতা। দুজনে একসাথে ঘুরাফেরা করে, পাঠশালায় যায়, মাছ ধরে। দেবদাস পার্বতীকে ডাকে 'পারু' বলে আর পারু দেববদাস কে 'দেবদা' বলে ডাকে। দেবদাস সবসময় পার্বতীর উপর খবরদারিত্ব করে। অল্প কারণেই গায়ে হাত উঠায়। একবার পারুর কপালে মেরে দেবদাস দাগ বসিয়ে দেয়। পারু সেই দাগকে দেবদা'র স্মৃতি ভেবে ভালোবাসার কোমলতায় গ্রহন করে। দেবদাস তার চঞ্চলতার কারণে নানান সমস্যায় পরে। পার্বতী সেই সকল সমস্যার সমাধানে মরিয়া থাকে সবসসয়। তার দেবদা'র কোন অনিষ্ট সে হতেই দিতে পারে না। দেবদাস শাস্তির ভয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকলে সেখানে তার জন্য খাবার নিয়ে যায় পার্বতী। উপন্যাসে এমন আরো কিছু ঘটনা দেবদাসের প্রতি পারুর এক আজন্ম টানের প্রকাশ বোঝায়। হঠাৎ দেবদাস পড়ালেখার জন্য দূরে চলে যায়। বড় হয়ে ফিরে আসে। পার্বতীর মনে দেবদাসের জন্য জমে থাকা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে চায় পার্বতী। একদিন রাতের আঁধারে দেবদাসের পায়ে পরে কান্না করে পার্বতী। দেবদাস নিজের পায়ে নোনাজলের স্পর্শে জেগে উঠে। দেবদাস আঁৎকে উঠে। জিজ্ঞাসা করে, কেউ দেখেছে কি না। পারু জানায়, একজন দেখেছে বোধ হয়। দেবদাস পার্বতীকে চলে যেতে বলে। কেউ দেখলে কলঙ্ক হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে। তখনই উপন্যাসের সেরা উক্তিটি করে পার্বতী। বলে, "দেবদা নদীতে কত জল। অত জলেও কি আমার কলঙ্ক চাপা পড়বে না"। পার্বতীর মা দেবদাসকে জামাই করতে রাজী থাকলেও জমিদার পুত্রের সাথে কিছুতেই বেচা-কেনা ঘরের মেয়ের বিয়ে হতে দিবে না দেবদাসের বাবা। বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়। এই অমর বাক্যকে সত্য প্রমাণিত করে পার্বতীর এক বৃদ্ধ ধনী ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়ে যায়। নিজের বুকে অসীম যন্ত্রণা নিয়েও দেবদাস কিছুই করতে পারে না। পার্বতীর বিয়ের পর থেকেই দেবদাসের জীবনে অধঃপতন শুরু হয়। মদকে সে আপন করে নেয়। বাড়ি ছেড়ে কলকাতা চলে যায়। দেবদাসের জীবনে আসে নর্তকী চন্দ্রমুখী। সে ভালোবেসে ফেলে দেবদাসকে। দেবদাসের মনে কী জায়গা পেয়েছিল চন্দ্রমুখী? কী কী ঘটেছিলো চন্দ্রমুখী আর দেবদাসের মধ্যে? সেটা তো "দেবদাস" পাঠের মাধ্যমেই জানা যাবে। মদ খেয়ে কঠিন অসুখ বাঁধায় দেবদাস। পার্বতীর স্বামীর বাড়ির সামনে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। সৎ পুত্রের কাছে যখন পার্বতী দেবদাসের মৃত্যুর খবর জানতে পারে, তখন পার্বতীর কেমন অনুভূতি হয়েছিল, সেটা কী আমরা অনুভব করতে পারি? by: Md Hridoy Mahmud

Publisher: অবসর প্রকাশনা সংস্থা
Category: উপন্যাস
ISBN:
Number of pages: -

Related Products