উড়ালপঙ্খি

শিক্ষিত বেকার যুবক মুহিব। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির তাগাদা করছে কিন্তু কোন চাকরি পাচ্ছে না। একের পর এক ইন্টার্ভিউ দিয়েই যাচ্ছে। পরিবারের টুকটাক কাজ, ইন্টার্ভিউ দেওয়া, বেকার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে তার দিন চলে যাচ্ছিল। তারা যৌথ পরিবারে একসাথে থাকে। তবে মুহিবের বাবা আলাদা থাকেন। কোন এক কারণে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মুহিব মাঝেমধ্যে গিয়ে তার অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক বাবা শামসুদ্দিনের সাথে দেখা করে আসে। মুহিবের বান্ধবী নোরা। বড়লোকের একমাত্র মেয়ে। খামখেয়ালি জীবনযাপনে সে অভ্যস্ত। গানেরগলা ভালো। কয়েকটি অ্যালবামও বের হয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যালবামের নাম 'উড়ালপঙ্খি'। নোরার কথা মনে পড়লে বা নোরা দেখা করতে বললে সে যেকোনো কাজ ফেলে চলে যায়। নোরা মুহিবের দুর্বলতা বলা যায়। তবে তারা সেরকম কোন সম্পর্কে আবদ্ধ নয়। মুহিবদের বেকার বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেয়। সেখানে কেউ চাকরি পেলে তাকে আড্ডা থেকে স্বসম্মানে বিদায় জানানো হয়। বেকার যুকবরা একত্র হলে যা হয় আরকি, তাদের আড্ডাবাজি তেমনি চলে। কখনো কখনো তারা মাত্রা ছাড়িয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করে ফেলে। তো একদিন তাদের বন্ধু হারুন ঘোষণা দিলো সে এই বেকার জীবনের প্রতিবাদ স্বরূপ তার জন্মদিনে আগুনে পুড়ে আত্মাহুতি দিবে। এনিয়ে তাদের বন্ধু মহলে নানা আয়োজন শুরু হয়ে গেলো। তারা এই ইস্যু কেন্দ্রিক জনমত গঠনে ব্যস্ত। অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত দিন ঘনিয়ে আসতে লাগলো। তবে কি হারুন সত্যি আত্মাহুতি দিয়ে প্রতিবাদ জানাবে? by: Bekheyali Himu