রাজশাহী শহরের প্রত্ন-ইমারত

(author),
350 TK 262 TK
- Pages
  • Save 88 Tk.

Description
বাংলাদেশের অন্যতম বিভাগীয় ও জেলা শহর রাজশাহী । শহরটির প্রাচীনত্ব খুব বেশি না হলেও নেহায়েৎ কম নয় । এর প্রাচীন নাম ছিল কথিত মহাকালগড় । ত্রয়ােদশ শতাব্দীর শেষার্ধে ( ১২৮৯ ) বাগদাদ থেকে আগত দরবেশ শাহ মখদুম রূপােশ ( রহ . ) ও তার সহচরদের প্রচেষ্টায় অত্র এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হয় । তখন মহাকালগড় নাম পরিবর্তিত হয়ে বুয়ালিয়া বা বােয়ালিয়া নামে পরিচিতি পায় । এরপরে এর নামকরণ হয় রামপুর - বােয়ালিয়া । ১৮২৫ সনে নাটোর থেকে জেলা সদর স্থানান্তরের মধ্যে দিয়ে শহর হিসেবে রামপুর - বােয়ালিয়ার বিকাশ ঘটে । জেলা সদর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক হারে এই শহরে জমিদার , ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশার লােকজনের আগমন ঘটতে থাকে । ফলে শহরে অফিস - আদালত গড়ে ওঠার সাথে সাথে নির্মিত হতে থাকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসবাসের জন্য আবাসগৃহ । এই শহরে বহু পূর্বকাল থেকেই মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লােকেরা বেশ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে । ফলে শহরে ধর্মীয় উপাসনালয় হিসেবে যেমন গড়ে ওঠে মসজিদ তেমনি নির্মিত হয় অসংখ্য মন্দিরাদি । তবে এই শহরে প্রাচীনকালের কোনাে স্থাপত্য নিদর্শন বিদ্যমান নেই । হাতে গােনা কয়েকটি ইমারত ছাড়া বেশিরভাগই আধুনিক যুগের নিদর্শন । বর্তমানে কিছুসংখ্যক মন্দির পূর্ণ অবয়বে থাকলেও মসজিদ সবই ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মিত হয়েছে । শিক্ষানগরী রাজশাহীর পুরাতন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলাের ভবনও জরাজীর্ণ । অফিস - আদালত ভেঙে ফেলে তদস্থলে নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে এবং হচ্ছে । আবাসগৃহ সবই ভগ্নদশাগ্রস্ত কিংবা ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মিত । কালের সাক্ষী হিসেবে ওলােন্দাজদের নির্মিত বড়কুঠি কোনােরকমে মাথা উচু করে দাড়িয়ে রয়েছে । অথচ রাজশাহী শহরের এসব ইমারত বাংলার ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের উল্লেখযােগ্য নিদর্শন । আধুনিকতার ছোঁয়ায় শহরে নির্মিত বহুতল ভবনের মাঝে এসব ইমারত হারিয়ে যেতে বসেছে । রাজশাহী শহরের প্রত্ন - ইমারত গ্রন্থটিতে এই শহরের ধর্মীয় ও লােকায়ত প্রত্ন - ইমারতসমূহের স্থাপত্যিক বিবরণ চিত্রসহ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে । সম্পূর্ণ মাঠ জরিপের উপর নির্ভর করে রচিত এই গ্রন্থটি কেবল প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধিৎসু ঔপনিবেশিক স্থাপত্য বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী গবেষকবৃন্দের উপকারে আসবে তা নয় বরং পর্যটকমহল ও সাধারণ পাঠক সমাজও রাজশাহী শহরের প্রত্ন - নিদর্শন সম্পর্কে যে বিস্তারিত ধারণা পাবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

Publisher: গ্রন্থ কুটির
ISBN: 978-984-21-0181-6
Number of pages: -


REVIEWS
বাংলাদেশের অন্যতম বিভাগীয় ও জেলা শহর রাজশাহী । শহরটির প্রাচীনত্ব খুব বেশি না হলেও নেহায়েৎ কম নয় । এর প্রাচীন নাম ছিল কথিত মহাকালগড় । ত্রয়ােদশ শতাব্দীর শেষার্ধে ( ১২৮৯ ) বাগদাদ থেকে আগত দরবেশ শাহ মখদুম রূপােশ ( রহ . ) ও তার সহচরদের প্রচেষ্টায় অত্র এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হয় । তখন মহাকালগড় নাম পরিবর্তিত হয়ে বুয়ালিয়া বা বােয়ালিয়া নামে পরিচিতি পায় । এরপরে এর নামকরণ হয় রামপুর - বােয়ালিয়া । ১৮২৫ সনে নাটোর থেকে জেলা সদর স্থানান্তরের মধ্যে দিয়ে শহর হিসেবে রামপুর - বােয়ালিয়ার বিকাশ ঘটে । জেলা সদর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক হারে এই শহরে জমিদার , ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশার লােকজনের আগমন ঘটতে থাকে । ফলে শহরে অফিস - আদালত গড়ে ওঠার সাথে সাথে নির্মিত হতে থাকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসবাসের জন্য আবাসগৃহ । এই শহরে বহু পূর্বকাল থেকেই মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লােকেরা বেশ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে । ফলে শহরে ধর্মীয় উপাসনালয় হিসেবে যেমন গড়ে ওঠে মসজিদ তেমনি নির্মিত হয় অসংখ্য মন্দিরাদি । তবে এই শহরে প্রাচীনকালের কোনাে স্থাপত্য নিদর্শন বিদ্যমান নেই । হাতে গােনা কয়েকটি ইমারত ছাড়া বেশিরভাগই আধুনিক যুগের নিদর্শন । বর্তমানে কিছুসংখ্যক মন্দির পূর্ণ অবয়বে থাকলেও মসজিদ সবই ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মিত হয়েছে । শিক্ষানগরী রাজশাহীর পুরাতন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলাের ভবনও জরাজীর্ণ । অফিস - আদালত ভেঙে ফেলে তদস্থলে নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে এবং হচ্ছে । আবাসগৃহ সবই ভগ্নদশাগ্রস্ত কিংবা ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মিত । কালের সাক্ষী হিসেবে ওলােন্দাজদের নির্মিত বড়কুঠি কোনােরকমে মাথা উচু করে দাড়িয়ে রয়েছে । অথচ রাজশাহী শহরের এসব ইমারত বাংলার ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের উল্লেখযােগ্য নিদর্শন । আধুনিকতার ছোঁয়ায় শহরে নির্মিত বহুতল ভবনের মাঝে এসব ইমারত হারিয়ে যেতে বসেছে । রাজশাহী শহরের প্রত্ন - ইমারত গ্রন্থটিতে এই শহরের ধর্মীয় ও লােকায়ত প্রত্ন - ইমারতসমূহের স্থাপত্যিক বিবরণ চিত্রসহ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে । সম্পূর্ণ মাঠ জরিপের উপর নির্ভর করে রচিত এই গ্রন্থটি কেবল প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধিৎসু ঔপনিবেশিক স্থাপত্য বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী গবেষকবৃন্দের উপকারে আসবে তা নয় বরং পর্যটকমহল ও সাধারণ পাঠক সমাজও রাজশাহী শহরের প্রত্ন - নিদর্শন সম্পর্কে যে বিস্তারিত ধারণা পাবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
বাংলাদেশের অন্যতম বিভাগীয় ও জেলা শহর রাজশাহী । শহরটির প্রাচীনত্ব খুব বেশি না হলেও নেহায়েৎ কম নয় । এর প্রাচীন নাম ছিল কথিত মহাকালগড় । ত্রয়ােদশ শতাব্দীর শেষার্ধে ( ১২৮৯ ) বাগদাদ থেকে আগত দরবেশ শাহ মখদুম রূপােশ ( রহ . ) ও তার সহচরদের প্রচেষ্টায় অত্র এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হয় । তখন মহাকালগড় নাম পরিবর্তিত হয়ে বুয়ালিয়া বা বােয়ালিয়া নামে পরিচিতি পায় । এরপরে এর নামকরণ হয় রামপুর - বােয়ালিয়া । ১৮২৫ সনে নাটোর থেকে জেলা সদর স্থানান্তরের মধ্যে দিয়ে শহর হিসেবে রামপুর - বােয়ালিয়ার বিকাশ ঘটে । জেলা সদর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক হারে এই শহরে জমিদার , ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশার লােকজনের আগমন ঘটতে থাকে । ফলে শহরে অফিস - আদালত গড়ে ওঠার সাথে সাথে নির্মিত হতে থাকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসবাসের জন্য আবাসগৃহ । এই শহরে বহু পূর্বকাল থেকেই মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লােকেরা বেশ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে । ফলে শহরে ধর্মীয় উপাসনালয় হিসেবে যেমন গড়ে ওঠে মসজিদ তেমনি নির্মিত হয় অসংখ্য মন্দিরাদি । তবে এই শহরে প্রাচীনকালের কোনাে স্থাপত্য নিদর্শন বিদ্যমান নেই । হাতে গােনা কয়েকটি ইমারত ছাড়া বেশিরভাগই আধুনিক যুগের নিদর্শন । বর্তমানে কিছুসংখ্যক মন্দির পূর্ণ অবয়বে থাকলেও মসজিদ সবই ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মিত হয়েছে । শিক্ষানগরী রাজশাহীর পুরাতন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলাের ভবনও জরাজীর্ণ । অফিস - আদালত ভেঙে ফেলে তদস্থলে নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে এবং হচ্ছে । আবাসগৃহ সবই ভগ্নদশাগ্রস্ত কিংবা ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মিত । কালের সাক্ষী হিসেবে ওলােন্দাজদের নির্মিত বড়কুঠি কোনােরকমে মাথা উচু করে দাড়িয়ে রয়েছে । অথচ রাজশাহী শহরের এসব ইমারত বাংলার ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের উল্লেখযােগ্য নিদর্শন । আধুনিকতার ছোঁয়ায় শহরে নির্মিত বহুতল ভবনের মাঝে এসব ইমারত হারিয়ে যেতে বসেছে । রাজশাহী শহরের প্রত্ন - ইমারত গ্রন্থটিতে এই শহরের ধর্মীয় ও লােকায়ত প্রত্ন - ইমারতসমূহের স্থাপত্যিক বিবরণ চিত্রসহ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে । সম্পূর্ণ মাঠ জরিপের উপর নির্ভর করে রচিত এই গ্রন্থটি কেবল প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধিৎসু ঔপনিবেশিক স্থাপত্য বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী গবেষকবৃন্দের উপকারে আসবে তা নয় বরং পর্যটকমহল ও সাধারণ পাঠক সমাজও রাজশাহী শহরের প্রত্ন - নিদর্শন সম্পর্কে যে বিস্তারিত ধারণা পাবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

Publisher: গ্রন্থ কুটির
Category: বইমেলা-২০১৯
ISBN: 978-984-21-0181-6
Number of pages: -

Related Products