হোয়াইট ফ্যাং

হােয়াইট ফ্যাং ছােটদের মনের মতাে সাহিত্য রচনায় জুলফিকার ' নিউটনের কৃতিত্ব অনেক দিক থেকেই অনন্য । এখানে তাঁর স্থান ও অন্যদের চেয়ে আলাদা । কিশাের সাহিত্যে নানা মুখী বৈচিত্রসৃষ্টিতে জুলফিকার নিউটন শুরু থেকেই । সার্থক । তাঁর লেখা গল্প কাহিনী - ছােটদের মাতিয়ে রেখেছে অন্য আশ্বাদে , অন্যতর পরিবেশনার গুণে । তাঁর । প্রতিটি কিশাের উপন্যাস ক্ষুদে পাঠকদের মনােযােগ যেভাবে আকর্ষন করে , তা অনেকের কাছেই ঈর্ষনীয় । মুক্তোর মতাে স্বচ্ছ সংলাপে এবং শিশিরবিন্দুর মতাে নির্ভার গদ্যে লেখা সেই সব কাহিনী কিশাের মনে মূল্যবােধ তৈরি করে । একই সঙ্গে তাদেরকে সময় ও সমাজ সম্পর্কে সচেতন করে তােলে । সত্যজিৎ রায়ের পর সবচেয়ে সার্থকভাবে ছােটদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শব্দ ছবির ভিন্ন জগৎ । রূপকথা , লােককথার প্রচলিত আঙ্গিক নয় নিজস্ব ঢঙে ছােটদের তিনি শুনিয়েছেন তার কাহিনী । স্বপ্নের কল্পলােকেই শুধু তার বিচরণ নয় , প্রায়শই তিনি নেমে এসেছেন মাটির পৃথিবীতে । সচেতনভাবেই তার সব গল্প ছােটোদের মনে জাগাতে চায় শুভবােধ । কিন্তু কখনােই তা আরােপিত বলে মনে হয় না । ভাষার জাদুতে সংগী করে নেন খুদে পাঠককে । জুলফিকার নিউটন জানেন ছােটদের লেখায় কী করে ছােটদের স্বপ্ন আর আকাখা , কল্পনা আর অনুপ্রেরণা , । রােমাঞ্চ আর আনন্দ - যন্ত্রণাকে ফুটিয়ে তুলতে হয় । তাঁর সব লেখাতেই থাকে খুব সূক্ষ্মভাবে মেশানাে একটা পকথার গননা ভঙ্গিতে লেখা সেই সব অপরুপ ।