বেয়াড়া চাঁদের ঘূর্ণী

কবি অর্ণব আশিক মনে করেন , কবিতা কবির মনের গভীর থেকে । জেগে উঠে । বর্তমান সময়ে বাংলা কবিতায় এক নিমগ্ন চিন্তক তিনি । বাংলা কবিতায় বিশ্ববি , শব্দ , চিত্রকল্প ও উপমা ব্যবহার নিয়ে যিনি প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছেন নানা ভাবে , নানা ভঙ্গিমায় । । তিনি কবিতায় নিমাধুর্যে , ব্যানবিন্যাসে আবেগদীপ্ত বা মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার অনন্যসাধারণ প্রকাশে বিশ্বাসী । তিনি বিশ্বাস করেন পদ্য , গদ্য যা - ই বলিনা কেন সাহিত্য মানেই শব্দের কাজ , শব্দের ছবি । কবি তাঁর নিজস্ব ভাবনা - চিন্তা , আবেগ , বেঞ্জনা , অভিজ্ঞতা ও সময়ের প্রেক্ষাপটকে তাঁর কবিতায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বার । বার । কবিতায় ভাষা ব্যবহারে স্বাধীন থাকার বিষয়টি তাঁর কবিতায় । উঠে আসে । ভাষার আবৱণে তিনি তাঁর ভাবনার উৎকৃষ্ট রূপটি শিল্পীতভাবে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে প্রয়াসী হয়েছেন । কবিতা । যে শুধু শাস্ত্রীয় ছন্দেই লেখতে হবে এই প্রথাগত আবেগকাতরতা । পরিহার করে শিল্পবদ্ধ কবিতা লেখার চেষ্টা করেছেন । কবিতায় । ভাবের প্রবাহমানতাকে ঠিক রেখে তিনি কবিতায় চিন্তা ও দর্শনের জটিল বিষয় ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন । চিত্রকল্পের জ্যোতির্ময় । আলােকছটা তার কবিতার পরতে পরতে । কবিতার বিষয়বস্তু নির্বাচন , শব্দ ব্যবহার ও চিত্রকল্পের বহুরৈখিক প্রকরণে তিনি বিশ্বাসী । ‘ বেয়াড়া চাদের ঘূর্ণী - অর্ণব আশিকের সপ্তম কাব্যগ্রন্থ । এ কাব্যে । তিনি রাষ্ট্র , সমাজ , ধর্ম ও প্রেম - কে তাঁর কবিতার উপজীব্য । করেছেন বেশি । শাসনের ফাঁস , বাজপাখির দাম্ভিকতা , তেরাে তলায় আগুন , ধর্ম শুধু উপায়ের নাম , ধর্মে শ্রেণীশত্রু কোথা , নির্মিত নিয়তি , উইপােকা স্বজন , ধর্ম সবার সাপলুডু - এ কাব্যের কিছু মনমুগ্ধকর কবিতা । যা পাঠক হৃদয়কে আন্দোলিত করবে বলেই । আশা করা যায় ।